পীরগাছা সাবরেজিষ্ট্রার ও মুহুরী পূষ্পরঞ্জন দাসের যোগসাজসে ভূয়া খতিয়ান
https://www.obolokon24.com/2016/09/rangpur_708.html
ফজলুর রহমান, পীরগাছা(রংপুর)প্রতিনিধিঃ
সাব রেজিষ্ট্রারের যোগসাজসে রংপুরের পীরগাছায় মুহুরীর মাধ্যমে ভুয়া খতিয়ান সৃষ্টি করে দলিল সম্পাদন করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ভুক্তভোগীদ্বয় সম্পাদনকৃত দলিল বাতিলের জন্য জেলা রেজিষ্ট্রারসহ বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। জমি দখলে এলাকায় উত্তেজনা সংঘর্ষের আশংকা।
প্রাপ্ত অভিযোগে জানা যায়, উপজেলার দায়িত্বপ্রাপ্ত সাবরেজিষ্ট্রার দায়িত্ব গ্রহনের পর থেকে বিভিন্ন অনিয়মের মাধ্যমে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন। তিনি যোগদানের পর থেকে প্রতি দলিল সম্পাদন করা বাবদ বিভিন্ন অজুহাতে ২হাজার ১শত টাকা করে দলিল গ্রহীতার নিকট থেকে জোর পূর্বক আদায় করে থাকেন। কোন দলিল গ্রহীতা দিতে অস্বীকৃতি জানালে তাকে বিভিন্নভাবে হয়রানী করা হয়।
সম্প্রতি গত ১৩ জুলাই সাবরেজিষ্ট্রার ও মুহুরী পূষ্পরঞ্জন দাস এর যোগসাজসে মোটা অংকের বিনিময়ে তিনটি এস এ হাতে লেখা ভুয়া খতিয়ান সৃষ্টি করে ১একর ২৬শতকের একটি দলিল সম্পাদন করেন। দলিল নম্বর-৪৭৫০/১৬ বলে লিখিত অভিযোগ সুত্রে পাওয়া যায়। উপজেলা রহমতচর মৌজার মূল এস এ খতিয়ান ৩৬৩ দাগ নং-৮৫০ জমি ১একর ৩৪শতক এর মালিক মেহের আলী , আবুল কাশিম ওআব্দুল করিম । ওই খতিয়ানে শুধু মেহের আলীর নাম ঠিক রাখিয়া আবুল কাশিম ও আব্দুল করিম এর নাম বাদ দিয়া একই গ্রামের সাইদালি প্রামানিকের পুত্র মফিজুদ্দিন প্রামানিক, সেকেন্দার আলী প্রামানিক ও আব্দুল করিম প্রামানিক এর নাম অর্ন্তভূক্ত করেন। অপর তফশীল এর এস এ খতিয়ান-৩৬৫ দাগ নং-৮৫০ জমি ২একর ৭০শতক এর সম অংশে মুল মালিক আজিমুদ্দিন ও মহিতুল্লাহ বলে জানা যায়। ওই খতিয়ানে আজিমুদ্দিন এর নাম ঠিক রেখে মহিতুল্লার নাম বাদ দিয়ে দেন। ওই ভূয়া খতিয়ান সৃষ্টি করে সাবরেজিষ্ট্রার ও মুহুরী পূষ্পরঞ্জন দাস এর যোগসাজসে ভূয়া দাতা সেজে মফিজুদ্দিন, সেকেন্দার আলী ও আব্দুল করিম ১একর ২৬শতক জমি বিক্রয় করেন। অপরদিকে ভূয়া খতিয়ান সাপেক্ষে এলাকায় বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির উদ্যেশ্যে জেনেশুনে রহমতচর মৌজার ফারাজ উদ্দিনের পুত্র আব্দুল লতিফ, নজরুল ইসলাম, বাবু মিয়া, লাবলু মিয়া, লিটন মিয়া ও মুনছুর আলী ওরফে ফুনসুর আলীর পুত্র ইউনুছ আলী, এমদাদুল হক জমি ক্রয় করেন। ভূয়া খতিয়ান সৃষ্টি সাপেক্ষে জমি ক্রয় করে বর্তমানে জমি দখলের চেষ্টা চলছে বলে এলাকাবাসী সুত্রে জানা যায়। জমি ক্রয়কারীগন লাঠিয়াল বাহিনী দিয়ে যে কোন মূল্যে জমি দখলের পায়তারা করছেন। অপরদিকে মূল খতিয়ান ভূক্ত মালিকের ওয়ারিশগণ নিজের জমি রক্ষা করতে সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। ফলে উভয় পক্ষ জমি নিজের কব্জায় রাখতে জোর প্রচেষ্টা চালানোর কারণে এলাকায় যে কোন সময়ে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ সহ প্রাণহানীর ঘটনা ঘটার আশংকা করছে এলাকার সুধীমহল। তাই এলাকাবাসীর দাবী উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ যেন দ্রুত ঘটনাস্থল সরজমিনে পরিদর্শন সাপেক্ষে সম্পাদন করা দলিল বাতিলসহ দায়ী সংশ্লিষ্ট সাবরেজিষ্টার ও মুহুরীর বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করেন।
এব্যাপারে পীরগাছা উপজেলা সাবরেজিষ্টার ফাতেমা খাতুন এর মোবাইলে চেষ্টা করে তাকে পাওয়া যায়নি।