পীরগঞ্জে কয়েক জন কাজীর জন্য বাল্য বিবাহ বন্ধ হচ্ছে না
https://www.obolokon24.com/2016/09/rangpur_62.html
মামুনুর রশিদ মেরাজুল রংপুর পীরগঞ্জ থেকেঃ
পীরগঞ্জ উপজেলায় ১৫টি ইউনিয়নে শিশু বিবাহ মুক্ত (বাল্য বিবাহ) ঘোষনা করা হলেও গুটি কয়েক নিকাহ রেজিষ্ট্রার (কাজী) অবৈধ অর্থলোভের কারনে বর্তমান সরকারের ভিসন ম্লান হওয়ার পথে জানা গেছে সরকারি নিয়োগ পাওয়া কাজীগণ বিশেষ কৌশল অবলম্বন করে তাদের নিয়োগ দেওয়া (সাব-কাজী) জামাই, পুত্র, ভাতিজার দ্বারা কোন সময় পাত্রীর বাড়ীতে সেখানে সামান্য অসুবিধার সৃষ্টি হলে পার্শ্ববর্তী ইউনিয়ন বা অন্য কোন উপজেলা কাজ করার নিরাপদ মনে করে সরকারি হিসাবের চেয়ে দশ গুণ টাকা বেশি গ্রহণ করে নিকাহ রেজিষ্ট্রার কাজটি সম্পূর্ণ করে। ১৫টি ইউনিয়নের প্রায় অধিকাংশ কাজীই অপকর্মের সাথে জড়িত। সরজমিনে ঘুরে জানা যায় কাবিলপুর ইউনিয়নের নিকাহ রেজিষ্ট্রার সাখাওয়াত হোসেন গত ১ মাসে ১ ডজনেরও বেশি শিশু বিবাহ রেজিষ্ট্রী করেছেন। এরপর ঢাক ঢোল পিটিয়ে অনুষ্ঠানের মাধ্যমে কলেমা পড়ানোর কাজটি সম্পূর্ণ করেন। তথ্য মতে উক্ত ইউনিয়নের জামালপুর গ্রামের তৈয়ব আলী কন্যা লালদিঘী গার্লস একাডেমির ৮ম শ্রেণির ছাত্রী তানিয়া (১৪), হলদিবাড়ী গ্রামের লাল মিয়ার কন্যা গাংজোয়ার মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের ৭ম শ্রেণির ছাত্রী লাবনী (১৩), শেরপুর গ্রামের হাফিজার রহমানের কন্যা, ফরিদপুর গ্রামের আনিছুর রহমানের কন্যাসহ ১ ডজনের বেশি শিশু বিবাহ রেজিষ্ট্রী করেছেন। এব্যাপারে ইউপি চেয়ারম্যান রবিউল ইসলাম রবির সাথে কথা হলে তিনি বলেন বাল্য বিবাহ বন্ধ করার ব্যাপারে আমার পরিষদের লোক সোচ্ছার থাকলেও কাজীদের বিভিন্ন কৌশল অবলম্বনের কারনে অপকর্ম বন্ধ করা যাচ্ছে না। নিকাহ রেজিষ্ট্রার (কাজী) সাখাওয়াত হোসেনের সাথে কথা হলে তিনি বলেন পাত্রীর চেহারা দেখে আমি বুঝতে পারি সে বিবাহ যোগ্য হয়েছে কিনা। জরুরী ভিত্তিতে যথাযথ বিষয়টি আমলে নিয়ে শিশু বিবাহ বন্ধের দাবী পীরগঞ্জ উপজেলার জনগণ ও সুশিল সমাজের।