রংপুরে কিশোর ছাব্বির হত্যার দেড় মাসেও বিচার পায়নি দরিদ্র পরিবার

হাজী মারুফ :

একমাত্র উপার্জনক্ষম দরিদ্র পরিবারের কিশোর  কাজের প্রলোভনে নিয়ে গিয়ে এক সপ্তাহ পর লাশ হয়ে ফিরলেও বিচার পায়নি রংপুরের গঙ্গাচড়ার অসহায় দিনমজুর পিতামাতা। স্থানীয় শালিশে ক্ষতিপুরন দেয়ার নামে চলছে মাতব্বরদের প্রহসন। হত্যাকান্ডের দেড় মাসেও খুনিদের গ্রেফতার ও বিচার না হওয়ায় নিরাপত্তাহীনতায় ভূগছে অসহায় পরিবারটি।
প্রতক্ষ্য অনুসন্ধানে গিয়ে দেখা  যায়, রংপুরের তিস্তার ভাঙ্গনে ক্ষতিগ্রস্থ গঙ্গাচড়ার মহিপুরের একটি বিচ্ছন্ন চড় শংকরদহ গ্রাম। তিস্তার কোল ঘেষে ভাঙ্গনের শিকার সবহারা আব্দুল জব্বারের পরিবার। সাতজনের পরিবারে  পাচ ছেলে মেয়ের মধ্যে কিশোর ছাব্বির অসহায় এই পরিবারের একমাত্র উপার্জনের অবলম্বন। প্রতিবেশি লেবার সর্দার ও টিউবওয়েল মিস্ত্রি আব্দুর রশিদের কাজের প্রলোভনে বিশ্বাস করে কিশোর ছেলেকে আয় রোজগারের আশায় নেত্রকোনার কমলাকান্দা থানার কেশবপুরে যেতে দেয় হতদরিদ্র পরিবারটি। কাজের কথা বলে ১৬ বছরের এই কিশোর হত্যাকান্ডের শিকার হয়ে লাশ ফিরবে এমন ভাবেনি পিতা মাতা ও আত্মীয় স্বজন। এই হত্যাকান্ডে হতবাক ও শোকাহত পরিবারের আহাজারিতে বাতাস হয়েছে ভারি। নিহত ছাব্বিরের পিতা আব্দুল জব্বার জানান, ৪৯ দিন আগে ১লা আগষ্ট প্রতিবেশি রশিদের কথা বিশ্বাস করে ছেলে ছাব্বিরকে কাজে পাঠায় । কিন্তু এক সপ্তাহ পরে তার করুন মৃত্যু মেনে নিতে পারছেনা এখনও তা পরিবার। শুধু পিতা মাতাই নয় স্বজনরাও ক্ষুদ্ধ এই হত্যাকান্ডে। পরিবারের সদস্যদের জিম্মি করে রাখায় প্রভাবশালীদের হুমকিতে অশিক্ষিত দরিদ্র পরিবারটি আইনি সহায়তা পাচ্ছে না । মিমাংসার নামে কালক্ষেপন করে মামলা করলে প্রান নাশের হুমকিতে আতংকিত পরিবারটি। আসামিদের গ্রেফতার ও বিচার না পেয়ে পরিবারটি ঘুরছে স্থানীয় মাতব্বরদের দ্বারে দ্বারে। 
সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ফরহাদ আশরাফী বলেন, ছাব্বিরের অর্ধ গলিত মৃত দেহ গঙ্গাচড়ার মহিপুর ঘাটে আসামিরা ফেলে পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয় লোকজন দিয়ে শালিশ মীমাংশার কথা বলে লাশ দাফন করা হয়। শালিস বৈঠকে মাতব্বররা বলেন অন্য কোন ঝামেলার প্রয়োজন নেই যেহেতু দেওয়াল চাপা পড়ে মারা গেছে এটা একটা দূঘটনা, তাই নিহতের পরিবারকে কিছু টাকা ক্ষতিপুরন দিয়ে বিষয়টা সমাধান হয়ে যায়। তখন আমি এর বিরোধীতা করি এবং রাগ হয়ে সেখান থেকে চলে আসি। নাম না বলার স্বর্থে গ্রামের একজন নারী বলেন, শতাধিক পরিবারের বসতি ছোট্র এই গ্রামে আসামিদের দাপটে কেহ মুখ খুলতে নারাজ। তবে এবিষয়ে গ্রামে ছড়িয়েছে  বিভিন্ন রটনা টাকা দিয়ে এবিষয়ে সমাধান করেছেন। গঙ্গাচড়া মডেল থানার  ওসি জিন্নাত আলী বলেন, এ হত্যাকান্ড সর্ম্পকে তিনি অবগত নয়। এবং ক্যামেরার সামনে কোন বক্তব্য দিবেন না, বক্তব্য নিতে হলে এসপি স্যারের অনুমতি লাগবে অথবা এএসপি স্যারের বক্তব্য নেয়ার কথা বলেন। পরে গনমাধ্যম কর্মীরা তাকে অবগত করলে নিহতের পরিবারের নিরাপত্তায় ব্যবস্থা গ্রহনের আশ্বাস দেন তিনি। কিশোর ছাব্বির হত্যার দেড় মাস পার হয়ে প্রায় দুমাসের কাছাকাছি বিচার না পেয়ে আসামিদের হুমকি দিশেহারা কন্যাদায়গ্রস্থ পিতা-মাতা। বিচারের বানী যাতে নিভৃতে না কাঁেদ এমনই প্রত্যাশা স্বজনদের।

পুরোনো সংবাদ

রংপুর 1801207636831003914

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item