উদ্বৃত্ত থাকবে প্রায় দেড় লাখ পশু দেশী গরু-খাসি দিয়ে মিটবে রংপুর অঞ্চলের কোরবানির চাহিদা

রংপুর অবোলকন অফিস :

এবার ঈদুল আযহায় ভারতীয় গরু না আসলেও রংপুর অঞ্চলে কোরবানীতে এর কোন প্রভাব পড়বে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। স্থানীয় খামারী পালিত গরু খাসি দিয়ে এ অঞ্চলের চাহিদা মেটানো যাবে বলে জানিয়েছেন প্রাণি সম্পদ কার্যালয়। শুধু তাই নয় এই অঞ্চলের কোরবানির চাহিদা মিটিয়ে প্রায় দেশের অন্যান্য অঞ্চলে দেড় লাখ পশু সরবরাহ করা যাবে মনে করছেন রংপুর অঞ্চলের খামারীরা।
রংপুরের ছোট বড় ২১২টি পশুরহাট ইতিমধ্যে জমে উঠতে শুরু করেছে। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে হাটগুলোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোড়দার করা হয়েছে। 
জেলা প্রাণি সম্পদ বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, রংপুরের ৮ উপজেলায় কোরবানী ঈদের জন্য বাণিজ্যিক খামারসহ পারিবারিকভাবে পালন করা হচ্ছে ৮ লাখ ৬০ গরু। কোরবানী ঈদকে সামনে পরখে পশুর পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় কাটাছে রংপুর অঞ্চলের কয়েক হাজার খামারি। প্রাণি সম্পদ বিভাগ থেকে গরু মোটাতাজাকরণে প্রাকৃতিক পদ্ধতি অনুসরণের পরামর্শ দেয়া হয়েছে খামারিদের।
খামারিরা বলেন, ভূষি, ধানের গুড়ো, ঘাস, মুসরির ছাল খাওয়ানো হয় গরুকে। কোনো প্রকার মেডিসিন, মোটাতাজা করার জন্য কোনো ওষুধ দেয়া হয় না গরুকে।
রংপুর জেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, জেলার ৮ উপজেলায় এবার ২১২টি হাটে কোরবানীর পশু কেনা বেচা হবে। বড় বড় হাটগুলোতে জাল টাকা প্রতিরোধে বিশেষ টিম থাকবে। এছাড়াও ভ্রাম্যমান আদালত হাটগুলো মনিটিরিং করবে। উপজেলা পর্যায়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা গরুর হাটের প্রতি বিশেষ নজরদারী করবেন।
মাহিগঞ্জ এলাকার খামারী আব্দুল গনি জানান, এবার ভারতীয় গরু না আসায় দেশী গরুর চাহিদা রয়েছে প্রচুর। দামও গত বছরের চেয়ে পাওয়া যাবে বেশ ভালো। এতে করে তারা লাভের মুখ দেখতে পারবেন।
নীলকণ্ঠ এলাকার খামারী ওয়াহেদ মিয়া জানান, গত কয়েক বছর কোরবানির সময় ভারতীয় গরুতে রংপুরের হাটগুলো ভরে যাওয়ায় স্থানীয় খামারীরা লোকসানের মুখে পড়ে। এবার যেহেতু ভারতীয় গরু আসছে না সেজন্য ভালো দাম পাবো এমনটাই আশাবাদী এই খামারী। তিনি বলেন, দাম ভালো পেলে খামারীরা গরু পালনে আরো আগ্রহী হয়ে উঠবে।
রংপুর প্রাণি সম্পদ কার্যালয়ের উপ-পরিচালক স্বপন কুমার পাল জানান ভারত থেকে গরু না আসলেও আমাদের কোন সমস্যা নেই বরং দেশীয় খামারীরা উপকৃত হবে। এবার  রংপুর অঞ্চলের ৮ জেলায় কোরবানী দেওয়ার মত গরু ছাগল রয়েছে প্রায় প্রায় ৮ লাখ ৬০ হাজার। আর এই অঞ্চলের কোরবানীর পশু চাহিদা রয়েছে প্রায় ৬ লাখ। এতে করে উদ্বৃত্ত থাকছে প্রায় দেড় লাখ পশু। যা দিয়ে দেশের অন্যান্য অঞ্চলের কোরবানীর চাহিদা মেটানো সম্ভব।

পুরোনো সংবাদ

রংপুর 6246597483555983798

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item