প্রাণভিক্ষা চাইবেন না মীর কাসেম আলী: কারা কর্তৃপক্ষ
https://www.obolokon24.com/2016/09/mir-kasem.html
মানবতাবিরোধী অপরাধে ফাঁসির দণ্ড প্রাপ্ত আসামী জামায়াত নেতা মীর কাসেম আলী রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষা চাইবেন না বলে জানিয়েছেন আইজি প্রিজন জেনারেল সৈয়দ ইফতেখার উদ্দিন।আজ শুক্রবার কারা মহাপরিদর্শক (আইজি প্রিজন) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সৈয়দ ইফতেখার উদ্দিন সাংবাদিকদের এ কথা জানিয়েছেন।কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কারাগার-২ এর জেল সুপার প্রশান্ত কুমার আজ শুক্রবার জানিয়েছেন, ‘প্রাণভিক্ষা চাইবেন কিনা এ নিয়ে দুপুরে মীর কাসেমকে আমরা জিজ্ঞাসা করেছিলাম। তিনি সিদ্ধান্ত নিয়েছেন রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষা চাইবেন না। আমরা বিষয়টি ঊধ্বর্তন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি।’
এদিকে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে মৃত্যুদণ্ডাদেশ পাওয়া মীর কাসেম আলীর ফাঁসি কার্যকরে নিরাপত্তা ব্যবস্থাসহ সব ধরণের প্রস্তুতি নিয়েছে কারা কর্তৃপক্ষ। ফাঁসির জল্লাদও প্রস্তুত রয়েছে। যেহেতু তিনি প্রাণভিক্ষা চাননি তাই তার ফাঁসি কার্যকরে এখন আর কোন বাঁধা নেই। এখন কারা কতৃপক্ষসুবিধাজনক সময়ে ফাঁসির দণ্ড কার্যকর করবে।গতকাল সকাল থেকেই অন্যান্য দিনের তুলনায় আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের উপস্থিতি বাড়ানো হয়েছে কাসিমপুর কারাগারের সামনে। সাদা পোষাকেও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের উপস্থিতিও রয়েছে।এর আগে কাসেমের রিভিউ খারিজের পর থেকেই কাশিমপুর কারাগার জুড়ে নেয়া হয়েছে ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা। এর আগে বুধবার প্রাণভিক্ষার বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে নিখোঁজ ছেলের সন্ধান না পাওয়া পর্যন্ত সময় চান জামায়াতের এই নেতা।অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে তাকে যৌক্তিক সময় দেয়া হবে বলে জানান কারা কর্তৃপক্ষ। একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াতের কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সদস্য মীর কাসেম আলী দেশের সর্বোচ্চ আদালতের রায় পুনর্বিবেচনার আবেদন করেছিলেন।গত মঙ্গলবার আপিল বিভাগ সেই আবেদন খারিজ করে মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখলে বিচারপ্রক্রিয়া শেষ হয়। নিয়ম অনুযায়ী এরপর তিনি রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষার আবেদন করতে পারবেন। প্রাণভিক্ষার আবেদন করবেন না বলে সিদ্ধান্ত জানালে কিংবা আবেদন করার পর নাকচ হলে যেকোন সময় তার ফাঁসি কার্যকর হতে পারে।