কিশোরগঞ্জে শিক্ষা কর্মকর্তার লাগামহীন দুর্নীতি

মোঃ শামীম হোসেন বাবু,কিশোরগঞ্জ (নীলফামারী) সংবাদদাতা॥
নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার লাগামহীন অনিয়ম ও দূর্নীতিতে মুখ থুবরে পড়েছে বিদ্যালয় উন্নয়ন কাজ । ১৫৩ টি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের রুটিন মেনটেনেন্স বাবদ বরাদ্দ  ও প্রধান শিক্ষকদের মাসিক সভার সম্মানী ভাতাসহ ৮ লাখ ১৯ হাজার টাকা কোন কাজ না করে পকেটস্থ করেছেন বলে অভিযোগ  পাওয়া গেছে।
অভিযোগে জানা গেছে,গত ২০১৫-২০১৬ অর্থ বছরের প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের রাজস্ব তৃতীয় উন্নয়ন কর্মসূচী (পিইডিপি-৩) ১৫৩টি বিদ্যালয়ের রুটিন মেনটেনেন্স কাজের জন্য ৭লাখ ৬৫হাজার ও একই অর্থ বছরে প্রধান শিক্ষকদের মাসিক সভা সফল করার জন্য ৫৪হাজার টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়। কিন্তু উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মাসুদুল হাসান মুষ্টিমেয় কয়েকজন শিক্ষক নেতাকে ম্যানেজ করে সম্পূর্ণ বরাদ্দকৃত টাকা আত্মসাৎ করেন। সরেজমিন অনুসন্ধানে গিয়ে দেখা যায়, রুটিন মেনটেনেন্সের বরাদ্দের ৫হাজার টাকা দিয়ে শুধুমাত্র একটি মোটা কাগজে কলম দিয়ে শিক্ষকদের নামের তালিকা শ্্েরণী ভিত্তিক ছাত্র ছাত্রীদের উপস্থিতির তালিকা দেয়ালে ঝুলিয়ে দেয়া হয়েছে।
 গাড়াগ্রাম ইউনিয়নের দক্ষিন সয়রাগন্ধা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল হাই ও সহকারী শিক্ষক এমদাদুল হক জানান, শিক্ষা কর্মকর্তাকে খুশি করে যে বরাদ্দ পাওয়া যায় এতে পুরোকাজ করা যায় না।
মৌলভীর হাট সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল্লাহিল কাফি জানায়,আমি রুটিন মেনটেনেন্স কিংবা মাসিক সভার কোন টাকাই পাইনি। এসব টাকা দূর্নীতিবাজ শিক্ষা কর্মকর্তা সব আত্মসাৎ করেছেন। এ রকম অভিযোগ করেছেন অনেক সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকরা।
এ ব্যাপারে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মাসুদুল হাসানের সাথে কথা হলে তিনি সম্পূর্ণ বিষয় অস্বীকার করেন।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা দিলীপ কুমার বণিকের সাথে কথা হলে তিনি জানান,ওই অফিসারের বিরুদ্ধে অনেক অভিযোগ পেয়েছি। বিদ্যালয় সংস্কার ও উন্নয়ন কাজের টাকা দূর্নীতির কারণে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

পুরোনো সংবাদ

নীলফামারী 4297259855423406054

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item