ইবিতে ‘খাদ্যের মধ্যে ক্ষতিকর কীটনাশক হ্রাসের উপায়’ শীর্ষক সেমিনার
https://www.obolokon24.com/2016/09/islamic-university_1.html
হুমায়ুন কবীর জীবন,ইবি প্রতিনিধি
শাক-সবজি, ফলমূল উৎপাদনের সময় ক্ষতিকর কীটনাশকের ব্যবহার হ্রাস করে কিভাবে সর্বোচ্চ পরিমাণে শাক-সবজি ও ফলমূল উৎপাদন করা যায় এ বিষয়ে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে এক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার ফলিত পুষ্টি ও খাদ্য প্রযুক্তি বিভাগের আয়োজনে এবং গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের অর্থায়নে বিভাগীয় হলরুমে সেমিনারটি অনুষ্ঠিত হয়।
অধ্যাপক ড. আব্দুর রউফের সঞ্চালনায় সভাপতিত্ব করেন ড. আবুল কাসেম তালুকদার। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ফলিত বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি অনুষদের ডীন অধ্যাপক ড. শামসুল আলম। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিভাগীয় সভাপতি অধ্যাপক ড. রেজাউল করিম।
অধ্যাপক ড. এ এস এম আয়নুল হক আকন্দ স্বাগত বক্তব্যে শাক-সবজি ও ফলমূল চাষের সময় কীটনাশক ব্যবহারের উপকারী ও অপকারী দিকগুলো নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন।
ড. আবুল কাসেম তালুকদার বলেন, কীটনাশক ব্যবহার যুক্ত শাক-সবজি ও ফলমূল খাওয়ার ফলে পরবর্তীতে একসময় লিভার ড্যামেজ, কিডনি ড্যামেজসহ বিভিন্ন ধরনের বড় বড় রোগে মানুষ আক্রান্ত হচ্ছে। কীটনাশক ব্যবহার ছাড়া বর্তমানে কোন শাক-সবজি ও ফলমূল চাষ হয় না। এমতাবস্থায় শাক-সবজি ও ফলমূল খাওয়ার আগে যদি আমরা ১৫ থেকে ২০ মিনিট পানিতে ভিজিয়ে রাখার পর তা খাই তাহলে কীটনাশকের ক্ষতিকর দিকগুলো ৭৫% হ্রাস করা যায়।
ফলিত পুষ্টি ও খাদ্য প্রযুক্তি বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. রেজাউল করিম বলেন, কীটনাশক ব্যবহারে শাক-সবজি ও ফলমূল ভোগকারী ও কীটনাশক ব্যবহারকারী উভয়েরই সমস্যা হয়। তাই কীটনাশক ব্যবহারে একটি নিদ্দিষ্ট লেবেল অনুসরণ করা উচিৎ। যে পরিমাণ কীটনাশক ব্যবহার করলে শাক-সবজি ও ফলমূল ভোগকারী এবং কীটনাশক ব্যবহারকারী উভয়েরই কোন সমস্যা হবে না। অতিরিক্ত কীটনাশক ব্যবহারে শাক-সবজি ও ফলমূল ভোগকারীর ক্যান্সারও হতে পারে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন বিভাগীয় শিক্ষক অধ্যাপক ড. এ এস এম আয়নুল হক আকন্দ, অধ্যাপক ড. বাবলী সাবিনা আযহার, ড. এ টি এম মিজানুর রহমান, ড. হাফিজুর রহমান, ড. সেলিম রেজা, মো. তৌফিক এলাহী, শেখ শাহিনুর রহমান, মোমিনুল ইসলাম, শাম্মী আক্তারসহ বিভাগীয় শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী ও শিক্ষার্থীরা।