নীলফামারীতে খাইট্টা বিক্রি চলছে
https://www.obolokon24.com/2016/09/eid_8.html
ইনজামাম-উল-হক নির্ণয়, নীলফামারী ১২ সেপ্টেম্বর॥
আগামীকাল মঙ্গলবার পবিত্র ঈদুল আযহা। তাই মানুষের চাহিদার কথা বিবেচনা করে ক্ষুদ্র ও মৌসুমি ব্যবসায়ীরা খাইট্টার পসরা নিয়ে বসেছেন। নীলফামারীর শাখামাছার বাজার ,ডোমার,সৈয়দপুর,জলঢাকা শহরের মোড়ে মোড়ে এই ব্যবসা জমে উঠেছে। বিভিন্ন মাপের বিভিন্ন দামের এসব খাইট্টা বিক্রি হচ্ছে বিভিন্ন দামে। যেমন ৫০ টাকা হতে সর্বোচ্চ ৫০০ টাকার মধ্যে তেতুঁল কাঠের খাইট্টা মিলছে। খাইট্টা বিক্রেতা রবিউল, জাহিদ, লিটন, বাবু, মতুর্জা,আসলাম ও নূর এ সাফা, রাজা সহ অনেকে বলেন কাঠের মধ্যে তেঁতুল গাছের কাঠ অত্যন্ত শক্ত ও মজবুত।ঈদের দিন গরু ও ছাগল জবাইয়ের পরপর প্রথম যেটি দরকার হবে সেটি হচ্ছে চাটাই ও খাইট্টা। দা-বটি, ছুরি, ডেউয়ের পাশাপাশি এই জিনিসগুলোও অপরিহার্য।
আজ সোমবার কোরবানীর প্রয়োজনীয় এসব উপকরন সংগ্রহের বাজার জমে উঠে। ঈদকে সামনে রেখে বিক্রির অবস্থা মোটামুটি বলে জানান ব্যবসায়ীরা।
খাইট্টার কদর সব থেকে ভাল তেতুঁল কাঠ। এটি অপেক্ষাকৃত শক্ত। তাই পশুর মাংস কাটার কাজে এই কাঠের খাইট্টা ব্যবহার করে থাকেন কসাইরা। কোরবানী ঘিরে সাধারণ মানুষজনও এই কাঠের খাইট্টা কিনে থাকেন।
খাইট্টার ক্ষুদ্র মৌসুমি ব্যবসায়ীরা বিভিন্ন করাতকল ও মহাজনের কাছ থেকে কাজে লাগে না এমন ছোট ছোট কাঠের গুঁড়ি কেনেন। এরপর সেগুলো মাংস কাটার উপযোগী করে নির্দিষ্ট মাপে টুকরা করে খাইট্টা তৈরি করেন।তাই কোরবানির পশুর মাংস কাটতে এই কাঠের খাইট্টা ক্রয় করে থাকেন ক্রেতাসাধারণ। কসাইরা সারা বছরই এই কাঠের খাইট্টা ব্যবহার করেন।