ডোমার মির্জাগঞ্জে শিক্ষক কর্তৃক দশম শ্রেনীর ছাত্রী নির্যাতন। শিক্ষক গণধোলাইয়ের শিকার।
https://www.obolokon24.com/2016/09/domar_8.html
আনিছুর রহমান মানিক, ডোমার(নীলফামারী) প্রতিনিধিঃ
নীলফামারীর ডোমার মির্জাগঞ্জে দশম শ্রেনীর ছাত্রীকে নির্যাতন করেছে এক শিক্ষক, এনিয়ে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। বিক্ষুপ্ত জনতা শিক্ষককে গণধোলাই দিয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে, উপজেলার জোড়াবাড়ী ইউনিয়নের মির্জাগঞ্জ দ্বি-মূখী উচ্চ বিদ্যালয়ে।বিদ্যালয়ের একাধিক শিক্ষার্থী জানায়, উক্ত বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক তোজাম্মেল হক তোজা প্রায় বিদ্যালয়ের বিভিন্ন ছাত্রীকে কারণে অকারনে গালে থাপ্পর, চুল ও গাল ধরে টানাটানী করে এবং অঙ্গীভঙ্গী করে অকথ্য ভাষায় গালী গালাছ করে। এরই ধারবাহিকতায় ৬সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার দশম শ্রেনীর এক বিবাহিত ছাত্রী তার বান্ধবীর সাথে কথোপোকথন কালে শিক্ষক তজো সবার সামনে গালে ও পিঠে মারতে থাকে। তার বান্ধবী বাঁধা নিষেধ করলে তাকেও শিক্ষক মারধর করে। শিক্ষকের আঘাতে ছাত্রী দুজন অসুস্থ হয়ে পড়ার ঘটনাটি আশে পাশে ছড়িয়ে পড়লে তাদের অভিভাবক ও বিক্ষুপ্ত জনতা স্কুলে অবস্থান নেয় এবং শিক্ষককে গণধোলাই দেয়। পরে অন্যান্য শিক্ষকগন তাকে জনরোষ থেকে উদ্ধার করে ক্লাশ রুমে অবরুদ্ধ করে রাখে। এ বিষয়ে নির্যাতিত ছাত্রীটি জানায়, আমি আগে ওই শিক্ষকের কাছে প্রাইভেট পড়তাম তার আচরণ খারাপের কারনে গত কয়েক মাস ধরে অন্য শিক্ষকের কাছে পড়ি। যার কারণে তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে প্রতিশোধ নিয়েছে আমাকে মেরে। আমি বিহাহিত জেনেও নির্যাতনের বিষয়টি ভালো চোখে দেখছে না আমার শশুর বাড়ীর লোকজন। ছাত্রীটির পিতা বলেন, আমরা সন্তানদের স্কুলে পাঠাই শিক্ষকের ভরসায়, কিন্তু শিক্ষকের এধরনের আচরণ হলে আমরা কোথায় যাবো। তবে ওই লম্পট শিক্ষক এর আগেও স্কুলের ছাত্রীদের সাথে অসৎ আচরন করেছে এবং একাধীকবার স্থানীয় ভাবে বিচার সালিশ হয়েছে বলে একাধিক ছাত্রী জানায়। এবিষয়ে তোজা মাস্টারের কাছে জানতে চাইলে তিনি মারধরের বিষয়টি অস্বীকার করেন। এবং বিদ্যলয়ের প্রধান শিক্ষক এএসএম আব্দুুল কাদের ব্যাস্ততা দেখিয়ে কোন কিছু বলতে রাজি হননি।তোজাম্মেল হক তোজা মাস্টারের অব্যাহতি সহ দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির জোর দাবী জানান নির্যাতিত ছাত্রীর পরিবার।