ডোমার যমুনা ক্লিনিকে চলছে অনিয়ম ও দূর্নীতি কতৃপক্ষ নিরব ভুমিকায়।
https://www.obolokon24.com/2016/09/domar_42.html
আনিছুর রহমান মানিক,ডোমার(নীলফামারী) প্রতিনিধিঃ
নীলফামারীর ডোমারে যমুনা ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনষ্টিক সেন্টারে চলছে নানা অনিয়ম ও দূর্নীতি। কর্তপক্ষ নিরব দর্শকের ভুমিকা পালন করছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এনিয়ে এলাকাবাসী ও রুগীদের মাঝে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। সরেজমিনে জানাযায়, উপজেলার গোমনাতী ইউনিয়নে আমবাড়ী হাটে অবস্থিত যমুনা ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনষ্টিক সেন্টার। নেই কোন ডাক্তার ক্লিনিকের মালিকের ছেলে তরিকুল ইসলাম পল্লী চিকিৎসকের প্রশিক্ষণ দিয়ে বিভিন্ন নামধারী ডাক্তারের সাইনবোর্ড ব্যানার লাগিয়ে, ঢাক ঢোল পিটিয়ে দির্ঘদিন ধরে সাধারণ মানুষের সাথে প্রতারনা করে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়ে রমরমা ব্যবসা চালিয়ে আসছে। এতে করে গ্রামের সহজ সরল মানুষ প্রতারনার শিকার হয়ে মৃত্যুর মুখে ধাবিত হচ্ছে, এদের মধ্যে নারী ও শিশুরাই বেশী। সরকারী কোন অনুমোদন ছাড়াই শুধু মাত্র ইউনিয়ন পরিষদের ট্রেড লাইসেন্স দ্বারা অবৈধ্য ভাবে ক্লিনিক পরিচালনা করে আসছে। এলাকায় বেশ কিছু এজেন্ট ও দালালের মাধ্যমে এসব অপকর্ম চালিয়ে আসচ্ছে ভুয়া ডাক্তার তরিকুল। ক্লিনিকের সামনে চোখে পড়ে এমবিবিএস পাশ করা ডাঃ মিনহাজুল আলম শাওনের সাইনবোর্ড, কিন্তু তার সাথে কথা বলে যানাযায়, তিনি থাকেন ঢাকায় তবে ছুটিতে বাড়ীতে আসলে ওই ক্লিনিকে বসে। এক গর্ভবতী রুগী রশিদুলের স্ত্রী সাবিনা বেগম গত ১৪জুলাই সকালে দালালের মাধ্যমে আল্ট্রাসনোগ্রাম করতে যায় ক্লিনিকে। কর্তৃপক্ষ ৩৫০ টাকা ফি নিয়ে রিপোর্ট দেয় বাচ্চা প্রসব হবে ৩মাস পর অথচ সেদিন রাতেই নরমাল ডেলিভারি হয় সাবিনার। এধরনের ভুল চিকিৎসা করে শত শত নারীর সিজার করছে তারা। এতে করে অনেক মা ও নবজাতকের মুৃত্যু হয়েছে বলে একাধীক ব্যক্তি জানান। শ্যামলী আক্তার সহ নার্স রয়েছে ৩জন, তবে খোজ নিয়ে দেখা গেছে তাদের কোন প্রশিক্ষণ বা নাসিং এর সার্টিফিকেট নেই। অনুমোদনের কথা জানতে চাইলে তরিকুল জানান, জেলা সিভিল সার্জন অফিসের সহকারী মনোরঞ্জ এর কাছে মৌখিক ভাবে অনুমতি নিয়ে সেবা কাজ চালু করেছি। অবিলম্বে ক্লিনিকটি বন্ধের জোর দাবী জানান এলাকাবাসী ।