ডিমলায় জামায়াতের হরতালের কোন প্রভাব নেই
https://www.obolokon24.com/2016/09/dimla_5.html
জাহাঙ্গীর আলম রেজা,ডিমলা প্রতিনিধিঃ
মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে মীর কাসেম আলীর ফাঁসির প্রতিবাদে জামায়াতে ইসলামীর ডাকা হরতালের প্রভাব পড়েনি নীলফামারীর ডিমলায়। জামায়াত বা তাদের ছাত্রসংগঠন ইসলামী ছাত্রশিবিরের কোনো পিকেটিং বা কর্মসূচি লক্ষ্য করা যায়নি। হরতালবিরোধীদের কর্মকাণ্ডও সেভাবে নজরে পড়েনি। জনজীবন ছিল স্বাভাবিক।গত শনিবার রাতে গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগারে মীর কাসেমের ফাঁসি কার্যকর হয়। ওই দিনেই এর প্রতিবাদে জামায়াত সারা দেশে হরতাল ডাকে। আজ সোমবার বেলা দুইটায় এই হরতাল কর্মসূচি শেষ হবে।সকালে ডিমলার সড়কগুলোতে অন্যান্য দিনের মতোই যান চলাচল করতে দেখা গেছে। প্রতিটি স্কুল-কলেজও খোলা। ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোও স্বাভাবিক সময়ের মতোই খোলা রয়েছে।হরতালবিরোধী বা হরতালের সমর্থনে কোনো কর্মসূচি দেখা যায়নি। দুরপাল্লার লঞ্চ, বাসের সময়সূচির কোনো বদল হয়নি। সময়মতোই এগুলো গন্তব্যের উদ্দেশে যাত্রা করেছে। আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ের সামনে দলের নেতা-কর্মীদের তেমন ভিড় ছিল না।উল্লাস পরিবহনের কাউন্টার ম্যনেজার আব্দুর রশীদ,রিমা ও লাকি পরিবহনের কাউন্টার ম্যানেজার আশেকুর রহমান লেলিন জানান,প্রতিদিনের মত সকালে তাদের গাড়ি ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে গেছে।কাপড় ব্যবসায়ী আলম ক্লথ ষ্টোরের সত্বাধিকারী মহুবার রহমান বলেন, ঈদের আগেই তাঁদের বিক্রি বেশি। এ কারণে হরতালে দোকান বন্ধ রাখা যাবে না।হামিদ কসমেটিকস্ এর মালিক আব্দুল হামিদও অনুরূপ কথা বলেন।তরিকুল ষ্টোরের সত্বাধিকারী তরিকুল ইসলাম বললেন, সকাল সকাল দোকান খুলতে হয়। কেননা, এই এলাকায় অফিসে লোকজন সকালে আসেন। ডিমলা সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবুল কাশেম সরকারের কাছে হরতাল প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ফাঁসি হলে জামায়াতের হরতাল ডাকা একটা নিয়মে পরিণত হয়েছে। কিন্তু হরতালের কোনো প্রভাব থাকে না।অনেক দিন ধরে দেখছি, মানুষ এখন আর হরতাল মানে না।’