ডিমলা গয়াখড়িবাড়ী মহিলা মহাবিদ্যালয়ে ভবন নির্মানের দাবী
https://www.obolokon24.com/2016/09/dimla_18.html
জাহাঙ্গীর আলম রেজা,ডিমলা (নীলফামারী) প্রতিনিধি:
নীলফামারী ডিমলা উপজেলায় ৫নং গয়াবাড়ী ইউনিয়নে শুটিবাড়ী-ডিমলা মহাসড়কের ডানে মনোরম পরিবেশে অবিস্থত, গয়াখড়িবাড়ী মহিলা মহাবিদ্যালয়। জনবল কাঠামোর দিকহতে প্রায় ৩৫-৪০ হাজার লোকের বাস। তন্মধ্যে একটি গয়াখড়িবাড়ী মহিলা মহাবিদ্যালয়। বিদ্যালয়টি ২০১৪ সালে স্থাপিত হয় যার ইন্ডেক্স নং- ১৩৭৭৩৭ এবং কোড নং- ৬৬৮৪। পাঠদানের অনুমতি প্রাপ্ত এই বিদ্যালয়টি দীর্ঘদিন যাবত একটি ভবনের মধ্যে পাঠদান করে আসছে। লেখা পড়ার এই প্রতিযোগীতার যুগে একটি ভবনে পাঠদান করানো অত্যন্ত কষ্টসাধ্য হয়ে পড়েছে। শিক্ষার্থীদের যুগোপযোগী করে গড়ে তুলতে উক্ত প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ জাহাঙ্গীর আলম, প্রভাষক আব্দুল হালিম, তাহানুর ইসলাম, হারুন-অর-রশিদ বলেন জাতির জনকের কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার যে প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন এবং শিক্ষিত জাতি হিসেবে বিশ্বের কাছে মাথা উঁচু করে দাড়ার যে আশা লালন করেছেন আমরা তা পূরণের অঙ্গিকারবদ্ধ। তাই সরকারের কাছে আমাদের প্রানের দাবি মহাবিদ্যালয়ের পাশে আরো কিছু ভবন নির্মান করে ছাত্রীদের লেখা পড়ার গুনগত মান বজায় রাখার জন্য বিদ্যালয়টির প্রতি কৃপাজ্ঞাপন করবেন।
মহাবিদ্যালয়টির অবকাঠামো উন্নয়ন প্রসঙ্গে ৫নং গয়াবাড়ী ইউপি চেয়ারম্যান শরিফ ইবনে ফয়সাল মুন, পাশ্ববর্তী ৯নং টেপাখড়িবাড়ী ইউপি চেয়ারম্যান রবিউল ইসলাম সাহিন. গয়াবাড়ী ইউপি সদস্য আমজাদ হোসেন, সমাজ সেবক রেজাউল করিম সরকার, গয়াবাড়ী আওমীলীগ নেতা আব্দুল ছামাদ বলেন গয়াবাড়ী হতে প্রায় ১০ কিলোমিটার দুরে একটি মাত্র মহিলা কলেজ ডিমলা। গয়াবাড়ী ইউনিয়নে অবস্থিত গয়াখড়িবাড়ী মহিলা মহাবিদ্যালয়টি স্থাপনের ফলে অত্র ইউনিয়নের মেয়েদের (ছাত্রী) কে কষ্টকরে দুরে যেতে হয় না। বাবা মায়ের বাড়তি কোন টেনশন নেই। এ প্রতিষ্ঠানটি এই ইউনিয়নের একটি মডেল বিদ্যালয় হিসেবে দেখতে চাই। এর জন্য স্থানীয় সংসদ সদস্য ও বাংলাদেশ সরকারের প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনার নিকট উক্ত গয়াখড়িবাড়ী মহিলা মহাবিদ্যালয়টিতে শিক্ষার সুস্থ্য পরিবশে বজায় রাখার জন্য সরকারী ভাবে ভবন নির্মানের জন্য এলাবাসী সহ আমরা জোড়ালো দাবী জানাচ্ছি।
উক্ত গয়াখড়িবাড়ী মহিলা মহাবিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি আলহাজ্ব রাসেল সরকার তার মতামত ব্যক্ত করে বলেন, সারা জীবন যা কিছু করিনা কেন কোনটাই সঙ্গে যাবে না ছদকায়ে জারিয়া স্বরুপ পরকালের পুজি হিসেবে থাকবে শুধু মাত্র প্রতিষ্ঠান, এই গয়াখড়িবাড়ী মহিলা মহাবিদ্যালয়ে যত মেয়ে পড়া শোনা করে মানুষের মত মানুষ হয়ে দেশ ও জাতির কল্যাণে নিজেকে আত্ম নিয়োগ করবে, তাছাড়া একজন শিক্ষিত মা একটি শিক্ষিত জাতি উপহার দিতে পারে। এই স্বপ্নকে বাস্তবে রূপদান করার জন্য আমার এই ক্ষুদ্র উদ্দ্যেগের পাশাপশি সরকারী অনুদান হলে প্রতিষ্ঠানটি পাবে তার প্রসারতা শিক্ষক কর্মচারী তারা পাবে তার শিক্ষার গুনগত মর্যদা তাই বিদ্যালয়টির উত্তরন্তর বৃদ্ধির জন্য উদ্ধর্তন কর্তৃপক্ষের আসু দৃষ্টি কামনা করছি।