কিশোরগঞ্জে কালবৈশাখী ঝড়ে বিধ্বস্থ বিদ্যালয় ২ বছরেও মেরামত হয়নি

মোঃ শামীম হোসেন বাবু,কিশোরগঞ্জ(নীলফামারী) প্রতিনিধি॥

কিশোরগঞ্জ উপজেলার গাড়াগ্রাম সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দুটি টিনসেড  ঘর ঝড়ে বিধ্বস্ত হওয়ার পর দুই বছর পেরিয়ে যাচ্ছে কিন্তু আজ অবধি তা মেরামত করা হয়নি। তাই কখোনো গাছতলায়,কখোনো বারান্দায় আবার কখোনো খোরা আকাশের নিচে কমলমতি শিক্ষার্থীদেও পাঠদান চলছে।
সরেজমিন ও বিদ্যালয় সুত্রে জানা গেছে, ১৯৩৭  সালে গাড়াগ্রাম ইউনিয়নের গাড়াগ্রাম বাজারে বিদ্যালয়টি স্থাপিত হয়। বিদ্যালয়ে শিক্ষকের পদ ১০টি। শিক্ষক আছেন ৮ জন। বিদ্যালয়ে ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা ৬২৭জন। ২০১৪ সালের এপ্রিল মাসের মাঝামাঝি সময়ে বয়ে যাওয়া কালবৈশাখীতে বিদ্যালয়ের  টিন শেট ঘরটি বিধ্বস্থ হয়। এখন পর্যন্ত ঘরটি বিধ্বস্থ অবস্থায় রয়েছে। শ্রেণী কক্ষের অভাবে কখোনো গাছ তলায় কখোনো বারান্দায় আবার কখোনো খোলা আকাশের নিচে পাঠদান করতে হচ্ছে। মাঝে মাঝে বিধ্বস্থ ঘরেও পাঠদান করা হয়। বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণীর ছাত্র বাধন ও চতুর্থ শ্রেণীর ছাত্র মুনতাশা জানায়, রোদে কষ্ট করে ক্লাস করা যায় কিন্তু বৃষ্টির সময় পাঠদান করা হয়না। আকাশে মেঘ দেখলেই বিদ্যালয় ছুটি দেওয়া হচ্ছে। বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক শাহনেওয়াজ শাহ বলেন, শ্রেণী কক্ষ সংষ্কারের জন্য তৎকালীন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সিদ্দিকুর রহমান স্যারসহ উদ্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করে ছিলাম। তিনি পরিদর্শন করেও গেছেন। কিন্তু তার পরেও কোন কাজ হয়নি। তাই শিশু শিক্ষার্থীদের নিয়ে অনিশ্চয়তার মধ্যে রয়েছি। এখন অনেক শিক্ষার্থী বিদ্যালয়ে আসা বন্ধ করে দিয়েছে। এভাবে কষ্ট করে পাঠদান কঠিন হয়ে পরেছে। অভিভাবক আনিছুল ইসলাম বলেন, বিদ্যালয়ের টিন শেট ঘরটি বিধ্বস্থ হওয়ার দুইবছর পেরিয়ে গেলেও সংষ্কার না হওয়ায় শিশু শিক্ষার্থীদের পড়ালেখায় মনেযোগ নষ্ট হচ্ছে। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সাজ্জাদুল করিম বলেন, বিদ্যালয়টি দ্রুত সংষ্কারের জন্য উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা বরাবর আবেদন দেয়া হয়েছে। কিন্তু কোন কাজ হচ্ছেনা।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মাসুদুল হাসানের সাথে কথা বললে তিনি জানান, আমি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা স্যারকে নিয়ে ওই স্কুল পরিদর্শনে গিয়েছিলাম সেখানে নতুন ভবন নির্মানের জন্য উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষ বরাবর লিখিত আবেদন করেছি।
এ বিষয়ে কিশোরগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান ও শিক্ষা কমিটির সভাপতি রশিদুল ইসলাম জানান, বিদ্যালয়টিতে ছাত্রছাত্রী অনেক বেশি তাই খুব দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ার জন্য প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে নির্দেশ দিয়েছি।

পুরোনো সংবাদ

শিক্ষা-শিক্ষাঙ্গন 905325726131698329

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item