সাখাওয়াতের মৃত্যুদণ্ড, ৭ জনের আমৃত্যু কারাদণ্ড

ডেস্কঃ
মুক্তিযুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় যশোরের জাতীয় পার্টির সাবেক সংসদ সদস্য সাখাওয়াত হোসেনকে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়েছে। এ ছাড়া মামলার অপর ৭ আসামির আমৃত্যু কারাদণ্ডাদেশ দেয়া হয়ছে।
আজ বুধবার দুপুরে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি আনোয়ারুল হকের নেতৃত্বাধীন ৩ সদস্যর বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করে। গতকাল রায় ঘোষণার জন্য আজকের দিন ঠিক করেন ট্রাইব্যুনাল। সাখাওয়াতসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে আনিত ৫টি অভিযোগের সবগুলোই প্রমাণিত হয়।
আমৃত্যু কারাদণ্ডপ্রাপ্ত ৭ জন হচ্ছেন- মো. বিল্লাল হোসেন, মো. ইব্রাহিম হোসেন, শেখ মোহাম্মদ মুজিবর রহমান, মো. আব্দুল আজিজ সরদার, মো. আজিজ সরদার, কাজী ওয়াহেদুল ইসলাম ও মো. আব্দুল খালেক মোড়ল।
আসামিদের বিরুদ্ধে হত্যা, গণহত্যা, ধর্ষণ, অপহরণ, আটক, নির্যাতন, অগ্নিসংযোগসহ পাঁচটি মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগের মধ্যে সবগুলোই প্রমাণিত হওয়ায় পৃথক পৃথকভাবে এ সাজা পেয়েছেন তারা।
একই মামলার ওই আট আসামির মধ্যে গ্রেফতার রয়েছেন সাখাওয়াত হোসেন ও মো. বিল্লাল হোসেন। বাকি ৬ জন পলাতক।
গত ১৪ জুলাই উভয়পক্ষের যুক্তি উপস্থাপন শেষে মামলাটি রায়ের জন্য অপেক্ষামাণ রাখেন ট্রাইব্যুনাল। যুদ্ধাপরাধের ৫ অভিযোগে গত বছর ২৩ ডিসেম্বর অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে এই ৯ জনের বিচার শুরু করে ট্রাইব্যুনাল। চলতি বছর ৩১ জানুয়ারি প্রসিকিউশনের সূচনা বক্তব্যে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরুর পর মোট ১৭ জন সাক্ষ্য দেন। অন্যদিকে আসামিপক্ষে কোনো সাফাই সাক্ষী ছিলেন না।
২০১২ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি সাখাওয়াতসহ ১২ জনের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগের তদন্ত শুরু করে প্রসিকিউশনের তদন্ত দল। সাবেক সংসদ সদস্য সাখাওয়াত হোসেনকে গ্রেফতার করা হয় ২০১৪ সালের ২৯ অক্টোবর।
গত বছর ১৮ জুন তদন্ত প্রতিবেদন ট্রাইব্যুনালে দাখিল করা হয়। এরপর ২৬ জুন অভিযোগ আমলে নেয়ার বিষয়ে শুনানি হয়। ১২ জনের মধ্যে তিনজনের বিরুদ্ধে ‘অভিযোগের উপাদান’ না পাওয়ায় তাদের মামলা থেকে অব্যাহতি দেয়  ট্রাইব্যুনাল। ২০১৫ সালের ৮ সেপ্টেম্বর আদালত নয়জনের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ আমলে নেয়।
এরপর ২৪ নভেম্বর অভিযোগ গঠনের ওপর পক্ষে-বিপক্ষে শুনানি শেষে ২৩ ডিসেম্বর বিচার শুরুর আদেশ দেয় আদালত।
বর্তমানে জাতীয় পার্টিতে থাকা সাখাওয়াত এক সময় ছিলেন জামায়াত নেতা। ১৯৯১ সালে জামায়াতে ইসলামীর পক্ষে নির্বাচনে দাঁড়িয়ে যশোর-৬ আসন থেকে তিনি সাংসদ নির্বাচিত হন। কিন্তু মেয়াদপূর্তির আগেই জামায়াত ছেড়ে তিনি বিএনপিতে যোগ দেন।
মাওলানা সাখাওয়াত নামে বেশি পরিচিত এই রাজনীতিবিদ বিভিন্ন সময়ে এলডিপি ও পিডিপিতেও ঘুরে এসেছেন। গত সংসদ নির্বাচনে যশোর-৬ আসন থেকে তিনি জাতীয় পার্টির মনোনয়ন পেয়েছিলেন।

পুরোনো সংবাদ

প্রধান খবর 6560796660560987528

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item