হানিফ ও নাবিল পরিবহনের সুপারভাইজারের সততা ও মানবতায় উদ্ধার হওয়া দেড় লক্ষটাকা যাত্রীর স্বজনের হাতে তুলে দিলে
https://www.obolokon24.com/2016/08/rangpur_775.html
হাজী মারুফ ।
চট্রগ্রাম থেকে ছেড়ে আসা হানিফ পরিবহনের যাত্রীর অজ্ঞান পার্টির খপ্পরে পরে খোয়া যাওয়া দেড় লক্ষ টাকা যাত্রীর স্বজনদের হাতে তুলে দিয়ে সততা ও সাহসের পরিচয় দিলেন হানিফ ও নাবিলের দুইজন স্টাফ। ঘটনায় জানা যায়, চট্টগ্রাম জেলার বোয়ালখালী পৌরসভার পূর্ব গোমছন্দী এলাকার সাবেক আনসার ভিডিপির সদস্য এরশাদ হোসেন গরু ব্যবসায়ী চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালের হানিফ এন্টারপ্রাইজ বাস টিকিট কাউন্টার থেকে টিকেট কেটে রংপুর আসার উদ্দেশ্য রওনা হয়। ২৬ আগষ্ট শুক্রবার সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম থেকে হানিফ পরিবহনে রংপুর আসার পথে গরু ব্যবসায়ী মলম পাটির খপ্পরে পড়ে। মলম পাটির লোকজন নেশা জাতীয় পানি পান করিয়ে তাকে অচেতন করে গরু ব্যবসায়ীর ব্যাগে থাকা টাকা নিয়ে সটকে পরে। গাড়ি রংপুর কামার পাড়া কোচ স্টান্ডে সবাই নামলেও যাত্রী এরশাদ অজ্ঞান অবস্থায় পড়ে থাকে। পরে হানিফ এন্টার প্রাইজের কর্মরত সুপারভাইজার নুরুজ্জামান দিপু ও নাবিল পরিবহনের স্টাফ হানিফ এন্টার প্রাইজের রংপুরের টিকিট কাউন্টারের কর্মরত ম্যানেজার আসাদুজ্জামান বাপ্পীর সহযোগিতায় গরু ব্যবসায়ী এরশাদ হোসেন কে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয়। অসুস্থ্য এরশাদের পকেট থেকে ১ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা ও মানিব্যাগে ৫ শত টাকা পাওয়া যায়।
এরশাদ হোসেনের কাছে থাকা ঠিকানা অনুযায়ী তাঁর স্ত্রী শিরিন আক্তার এর সাথে ০১৮১৫৮০৬৯০০ মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করে জানা যায়, সে ২ লক্ষ ৭০ হাজার টাকা নিয়ে রংপুরে গরু কেনার উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয়েছিলো। পরে স্ত্রীর কথামতো রংপুর হানিফ এন্টারপ্রাইজ টিকিট কাউন্টারের ম্যানেজার আসাদুজ্জামান বাপ্পী এরশাদের চাচাতো ভাই ইদ্রিস আলী ও তাঁর বন্ধু মোত্তালেব এর হাতে গতকাল বিকেলে পকেটে থাকা পাওয়া ১ লক্ষ ৫০ হাজার ৫ শত টাকা সকলের উপস্থিতিতে তুলে দেন। এসময় উপস্থিত ছিল দুলু, কামারপাড়া ঢাকা কোচ স্ট্যান্ডের নেতা আবু হানিফ বোছা, শাহিন সহ কোচ ষ্ট্যান্ডের অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
উল্লেখ্য অজ্ঞান পার্টির খপ্পরে পরা এরশাদ এখনও রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।