রংপুরে নিখোঁজ সজলের লাশ ১১ দিন পর উদ্ধার, ৩ জন আটক
https://www.obolokon24.com/2016/08/rangpur_75.html
হাজী মারুফঃ
রংপুরে নিখোঁজের ১১ দিন পর সজল চন্দ্র নামে অষ্টম শ্রেণিতে পড়ুয়া এক স্কুলছাত্রের লাশ উদ্ধার করছে পুলিশ। গতকাল শুক্রবার দুপুওে সদর উপজেলার সদ্যপুষ্করিণী ইউনিয়নের ভুরারঘাট ফতেপুর এলাকার একটি সেপটিক ট্যাঙ্ক থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে পুলিশ তিন মহিলাকে আটক করেছে। সজল ওই এলাকার ধীরেন চন্দ্রের ছেলে।পুলিশ ও এলাকাবাসী জানায়, গত ২৬ জুলাই সকাল থেকে সজল নিখোঁজ হওয়ার পর তার বাবা ধীরেন চন্দ্র রংপুর কোতোয়ালি থানায় একটি সাধারণ ডায়রি (জিডি) করেন। এর পরদিন ওই গ্রামের মৃত মদকের ছেলে সহদর শংকর মদক, পরী মদক, শংকরের স্ত্রী জলেশ্বরী, তার ছেলে দীপ্ত ও দিপু, পরীর স্ত্রীসরস্বতী ও তার পাঁচ বছরের ছেলে অপু গা-ঢাকা দেয়। তাদের কোথাও কোনো খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। বিষয়টি সন্দেহ হলে পুলিশ অনুসন্ধান করে গতকাল সজলের লাশ উদ্ধার করে এবং এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে শংকরের বাড়ি থেকে শংকরের মা যমুনা রানী, প্রতিবেশী জ্যোত্স্না রানী ও টার্মিনাল এলাকা থেকে শংকরের ছোট ভাইয়ের স্ত্রী সরস্বতীকে আটক করে। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।সজলের বাবা ধীরেন চন্দ্র জানান, তার ছেলে সজল স্থানীয় ভুরারঘাট উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির ছাত্র। প্রতিবেশী শংকরের ছেলে দীপ্তের সঙ্গে সজলের ঘনিষ্ঠতা ছিল। তার দাবি, দীপ্তের সঙ্গে কোনো ঘটনা নিয়ে বিরোধের জের ধরে শংকরের পরিবারের লোকজন সজলকে হত্যা করে লাশ সেপটিক ট্যাঙ্কে ফেলে রাখে।
কোতোয়ালি থানার ওসি এবিএম জাহিদুল ইসলাম তিন নারীকে আটকের বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, শংকরের মাসহ তিনজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় আনা হয়েছে। সজলকে হত্যার পর তার লাশ গুম করে শংকরের পরিবার গা-ঢাকা দিয়েছিল। পলাতক অন্যদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।