পীরগঞ্জে বেকার যুবক, গৃহিনী ও কৃষকেরা ঘাস চাষকে তাদের বাড়তি আয় হিসেবে বেছে নিয়েছে

মামুনুর রশিদমেরাজুল-পীরগঞ্জ (রংপুর) থেকে ঃ

রংপুরের পীরগঞ্জ প্রাণি সম্পদ সম্পর্কিত আধুনিক প্রযুক্তি কৃষকদের দোর গোড়ায় পৌছয়ে দেওয়ার ফলে প্রাণী সম্পদের উৎপাদন শীলতা বৃদ্ধি এবং দরিদ্র, ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের আয় বৃদ্ধির পাশাপাশি উন্নত জাতের ঘাস চাষের মাধ্যমে নতুন কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হয়েছে। আধুনিক পদ্ধতিতে গরু মোটাতাজাকরণ, গাভীর খামার হাঁস-মুরগির খামার স্থাপনের মাধ্যমে আত্মকর্মসংস্থান ছাড়াও বেকার যুবক, গৃহিনী এবং কৃষকেরা উন্নতজাতের ঘাস চাষকে তাদের বাড়তি আয়ের উৎস হিসেবে বেছে নিয়েছে। উপজেলার বাহাদুরপুর এবং বড় গোপিনাথপুর গ্রামের অনন্ত আশি জন মহিলা বাণিজ্যিক ভিত্তিতে ঘাস চাষের সহিত জড়িত। বাহাদুরপুর গ্রামের মন্ডল ও দক্ষিণ পাড়া মহিলাদের সহিত আলাপ করে জানা যায় ইন্টিগ্রেটেড এগ্রিকালচারাল প্রডাক্টিভিটি প্রকল্পের আওতায় উপজেলা প্রাণিসম্পদ বিভাগ এর মাধ্যমে তারা উন্নত জাতের ঘাস চাষের উপর প্রশিক্ষণ লাভ করে। প্রথমে নিজেরদের গবাদি প্রাণির জন্য চাষাবাদ শুরু করলেও এখন তারা বাণিজ্যিক ভিত্তিতে ঘাস উৎপাদন ও বাজার জাত শুরু করেছেন। তাদের এ সফলতা দেখার জন্য সুদুর আমেরিকা থেকে আমেরিকার ট্রেজারী ডিপার্টেমেন্টের প্রতিনিধি দল সহ ঢাকাস্থ বিশ্বব্যাংকের প্রতিনিধিগণ তাদের গ্রামে এসেছেন। বর্তমানে পীরগঞ্জ উপজেলায় প্রায় ২০০ একর জমিতে নেপিয়ারের ঘাস চাষ করে কৃষিকের তাদের গো খাদ্য সংকট দুর করেছে। অনেক জমিতেই নেপিয়ার ঘাস এখন ক্ষেতের বেড়া হিসাবে ব্যবহার হচ্ছে। বিকাল হলেও দেখা যায় লোকজন মটর সাইকেলে পিছে রিক্সা-ভ্যান ও হাতে করে ঘাস কিনে বাড়ী নিয়ে যাচ্ছে। যারা এখন ঘাষ চাষ শুরু করেন নাই প্রতিদিন ঘাস ক্রয় করে তাদের অন্যান্য পণ্যের মতো এটিও একটি আবশ্যিক। কৃষকদের সহিত আলাপ করে জানা যায় উন্নত জাতের ঘাস খাওয়ার ফলে গাভীর মাংস ও দুধের উৎপাদন যেমন বৃদ্ধি পায় তেমনি উৎপাদন খরচ কম হয়। গবাদী পশুর রোগব্যধি প্রকোপ কম দেখা দেয়। সবুজ ঘাস খাওয়ার ফলে গবাদি পশু যেমন স্বাচ্ছন্দবোধ করে তেমনি ভাবে পশুর মালিকও আত্ম তুষ্টি লাভ করেন। উপজেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা ডা: মাসুদার রহমান জানান বর্তমানে পীরগঞ্জ উপজেলায় ১৯৪৯ জন কৃষক উন্নত জাতের ঘাস চাষ করছে। উপজেলা ১০টি জায়গায় স্থায়ী ভাবে ঘাসের বাজার সৃষ্টি হয়েছে। ২০০ জনের অধিক কৃষক উন্নত জাতের ঘাস উৎপাদন ও বিপনন তাদের পেশা হিসেবে বেছে নিয়েছে। ৫/৬ কেজি ওজনের একটি ঘাসের আটি ১০/- টাকা এবং একটি ঘাসের মুল সত্তর পয়সা দরে বিক্রি হচ্ছে। প্রতি শতক জায়গায় প্রতি কাটিং এ ২৫০ কেজি ঘাস পাওয়া যায়। ঘাস লাগানোর ২ মাস পর প্রথম কাটিং এবং তার পর প্রতি একমাস পরপর বৎসরে ৭/৮ টি কাটিং দেওয়া সম্ভব। বর্তমান বছরে ১৮ হাজার মেট্রিকটনের অধিক উন্নত জাতের ঘাস উৎপাদন হচ্ছে বলে জানা যায়। উন্নত জাতের ঘাস খাওয়ানোর ফলে পশুর উৎপাদনশীলতা ৫২% হারে বৃদ্ধি পায়। ঘাসের ক্ষেতকে আমরা দুধের ক্ষেত হিসেবে আখ্যায়িত করছি বলে প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা: মাসুদার রহমান জানান।

পুরোনো সংবাদ

রংপুর 7093035905901096328

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item