পীরগঞ্জে পরিবেশ দুষন করতে অবৈধ ভাবে ইট ভাটা নির্মাণের পায়তারা!
https://www.obolokon24.com/2016/08/rangpur_5.html
মামুনুর রশিদ মেরাজুল পীরগঞ্জ (রংপুর) থেকে:
রংপুরের পীরগঞ্জে সরকারকে বৃদ্ধা আঙ্গুল দেখিয়ে সরকারের পরিবেশ অধিদপ্তরের অনুমোদন ছাড়াই ইট ভাটা নির্মাণ করায় এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। জানা গেছে, উপজেলার চৈত্রকোল ইউনিয়নের ছিলিমপুর গ্রামে ভাদুরাঘাট নামক স্থানে এলাকাবাসীর বাধা উপেক্ষা করে ভেন্ডাবাড়ী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রবিউল ইসলাম প্রধান, ওই এলাকায় ভাটা নির্মাণ কাজ অব্যাহত রেখেছেন। ফলে ধবংস হয়ে যাচ্ছে সবুজ বেষ্টনী বনাঞ্চল। এতে করে ওই এলাকায় ভাটা নির্মাণ হলে ভাটার কালো ধোয়া পরিবেশ ও কৃষি ফসলের মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হবে। ইট পোড়ানো নিয়ন্ত্রণ আইনে ১৯৮৯ এবং ২০০১ সালের সংশোধিত আইন মোতাবেক সরকারী লাইসেন্স গ্রহণ ছাড়া ইট ভাটা স্থাপন ইট তৈরী করা কিংবা ইট পোড়ানো হচ্ছে করা হয়েছে। এছাড়াও লাইসেন্স এর জন্য পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র জেলা প্রশাসক বরাবরে নির্ধারিত ফি প্রদান সাপেক্ষে আবেদনের পর এডিসির নেতৃত্বে পরিবেশ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ও সংশি¬ষ্ট ইউপি চেয়ারম্যানকে নিয়ে গঠিত তদন্ত কমিটি সরে জমিন তদন্ত সাপেক্ষে সন্তোষজনক প্রতিবেদন দাখিলের পরিপ্রেক্ষিতে জেলা প্রশাসক কর্তৃক লাইসেন্স ইস্যুর পর ইট ভাটা স্থাপন সংক্রান্ত কার্যক্রম শুরুর নির্দেশনা রয়েছে। এদিকে ছিলিমপুর থেকে গোপালপুর গামী একমাত্র রাস্তা তারই পার্শ্বে ভাটা নির্মাণ হলে পার্শ্ববর্তী জমি গুলোতে গম, ভুট্ট, আলু, পাঠ, ধানসহ বিভিন্ন ব্যাপক ক্ষতি হবে এলাকার মনোয়ার হোসেন সাংবাদিকদের জানান। এই ভাটার কারণে আমে পাশের পরিবেশ ফসল উৎপাদনে বিঘœ ঘটবে। গাছের ফলমূলসহ স্থানীয় গরীব কৃষকদের ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হবে। এলাকার মানুষ সংবাদপত্রের মাধ্যমে স্থানীয় প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষন করছে। তারা ওই ভাটা বন্ধের জোর দাবী জানিয়েছেন। এ ব্যাপারে ভেন্ডাবাড়ী ইউনিয়নের নির্বাচিত চেয়ারম্যান রবিউল ইসলাম বলেন পরিবেশ অধিদপ্তর ও কৃষি অফিসে আবেদন দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে কৃষি কর্মকর্তা সমীর চন্দ্র ঘোষ জানান ভাটা নির্মাণে কোন আবেদন পায়নি। সংশি¬ষ্ট চৈত্রকোল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জিয়াউর রহমান সবুজ জানান আমার ইউনিয়নে ৮টি ভাটা রয়েছে। তবে ছিলিমপুরের ভাটা নির্মাণে এখন কেউ অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নিব।