বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ দাবি

 মামুনুর রশিদ মেরাজুল রংপুর থেকে ঃ

বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক-ক্ষেতমজুরদের ক্ষতিপূরণ দেওয়া, তাদের পুনর্বাসন এবং বিজিএমসি পরিচালিত রংপুরের ৩টি বন্ধ পাট ক্রয়কেন্দ্র চালুর দাবিতে সমাজতান্ত্রিক ক্ষেতমজুর ও কৃষক ফ্রন্ট রংপুর জেলা শাখার উদ্যোগে মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
সোমবার (২৯ আগষ্ট) সকালে রংপুর প্রেসক্লাব থেকে মিছিলটি শুরু হয়ে মহানগরীর প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে কাচারী বাজারে সমাবেশে মিলিত হয়।
সমাজতান্ত্রিক ক্ষেতমজুর ও কৃষক ফ্রন্ট রংপুর জেলা শাখার আহ্বায়ক কমরেড মমিনুল ইসলামের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন- সংগঠনের কেন্দ্রীয় সদস্য ও বাসদ জেলা সমন্বয়ক কমরেড আব্দুল কুদ্দুস, কৃষক ফ্রন্টের জেলা সদস্য আতিয়ার রহমান, মিজানুর রহমান, আরিফুর রহমান প্রমুখ।
নেতৃবৃন্দ বলেন, দেশের অর্থনীতির গুরুত্বপূর্ণ খাত হচ্ছে কৃষিখাত। কিন্তু কৃষকরা ফসল উৎপাদন করতে গিয়ে ঠকে, আবার বিক্রি করতে গিয়েও ঠকে। তার ওপর এবারের বন্যা কৃষকদের জন্য মরার ওপর খাড়ার ঘা হয়ে দাঁড়িয়েছে।
বন্যায় টাঙ্গাইল, জামালপুর, বগুড়া, গাইবান্ধা, কুড়িগ্রাম, নীলফামারী, রংপুর, লালমনিরহাটসহ সারাদেশে প্রায় অর্ধকোটি কৃষক-ক্ষেতমজুর-ভূমিহীন পরিবার ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে উল্লেখ্য করে তারা আরো বলেন, কৃষকের ফসল-বীজতলা নষ্ট হয়েছে। হাঁস-মুরগী-গরু-ছাগলের প্রাণহানী ঘটেছে। বাড়ী-ঘর ভেঙ্গে গৃহহীন হয়েছে। কিন্তু ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ দেওয়া ও পুনর্বাসনে সরকারের পক্ষ থেকে কোন দৃশ্যমান উদ্যোগ লক্ষ্য করা যাচ্ছে না। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে প্রাকৃতিক দুর্যোগে কৃষি-কৃষক ক্ষতিগ্রস্ত হলে সরকার ক্ষতিপূরণ দেয়। কিন্তু আমাদের দেশে এরকম কোন ব্যবস্থা নেই বলেও অভিযোগ করেন।
এসময় নেতৃবৃন্দ অবিলম্বে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক-ক্ষেতমজুরদের ক্ষতিপূরণ দেওয়া ও পুনর্বাসনের দাবি জানান। সেই সাথে রংপুরে বন্ধ পাট ক্রয়কেন্দ্রগুলো চালুর দাবিও জানানো হয়।
সমাবেশ শেষে উপরোক্ত দাবিসহ বিভিন্ন দাবিতে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে কৃষিমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি পেশ করা হয়।

পুরোনো সংবাদ

সমাজ-সংগঠন 4150814528760460732

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item