পীরগঞ্জে খাদ্য বিতরন কার্ডের তালিকা প্রনয়নে অনিয়ম! জরুরী সভা করেছে ইউনিয়ন চেয়ারম্যান

মামুনুর রশিদ মেরাজুল পীরগঞ্জ (রংপুর) থেকেঃ

পীরগঞ্জে হতদরিদ্রদের মাঝে কার্ডের মাধ্যমে খাদ্য বিতরন তালিকা প্রনয়নে অনিয়ম, দুর্নীতি ও উৎকোচ নেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। গতকাল সোমবার দুপুরে ওই অভিযোগে উপজেলার বড়আলমপুর ইউনিয়ন পরিষদে এক জরুরী সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
অভিযোগে জানা গেছে, ইউনিয়ন পর্যায়ে সরকার নির্ধারিত মুল্যে হতদরিদ্রদের মাঝে কার্ডের মাধ্যমে খাদ্য বিতরন কর্মসুচী চালু করতে যাচ্ছে। ওই কর্মসুচীর আওতায় পীরগঞ্জের ১৫ টি ইউনিয়নে ২১ হাজার ৬৭৯ জন হতদরিদ্রের তালিকা করা হচ্ছে। প্রতিটি ইউনিয়নে জনসংখ্যার ভিত্তিতে ৭৫ শতাংশ ও জনসংখ্যার ঘনত্বের উপর ২৫ শতাংশ করে ওই বরাদ্দ বিভাজন করা হয়েছে। আগামী ২০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে সুবিধাভোগীদের তালিকা প্রনয়ন করে উপজেলা যাচাই-বাছাই কমিটিতে প্রেরনের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। তালিকাভুক্ত প্রতিজন দরিদ্র প্রতিমাসে ৩০ কেজি করে চাল ৯ টাকা কেজি দরে নির্দিষ্ট ডিলারের কাছ থেকে ক্রয় করবেন। উপজেলার বড়আলমপুর ইউনিয়নে ওই তালিকা প্রনয়নে কয়েকজন ইউপি সদস্য হতদরিদ্রদের কাছ থেকে নাম তালিকাভুক্ত করার নামে ৫’শ থেকে ১ হাজার টাকা করে নিচ্ছে বলে অভিযোগ উঠে। ফলে ওই ইউপির চেয়ারম্যান বিষয়টি আমলে নিয়ে গতকাল সোমবার তার কার্যালয়ে এক জরুরী সভা করেন।
গতকাল সরেজমিনে ওই ইউপির ৩ নং ওয়ার্ডে অনুসন্ধানে গেলে হোসেনপুর দক্ষিন পাড়ার দরিদ্র রশিদা বেগম, আমজেদা, সোনা ভানু, বেদেনা, তারা বানু, শাফিকুল, এরশাদ আলী, এনামুল, মজমু মিয়া জানায়- ইউপি সদস্য মাহফুজার রহমান আমাদেরকে চাউলের কার্ড দেয়ার কথা বলে প্রথমে ১ হাজার টাকা করে দাবী করে। পরে ৫’শ টাকা করে নেয়। ওই ওয়ার্ডে এ রকম বেশ কয়েকজন একই অভিযোগ করেন। অপরদিকে ইউনিয়নটির ৪ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য বর্তমানে কারাবন্দী আতোয়ার রহমানের ছোট ভাই আতিয়ার রহমান বেশ কয়েকজনের কাছে নাম তালিকাভুক্ত করে দেয়ার নাম করে ৫’শ টাকা করে নিয়েছেন। এ ব্যাপারে টাকা প্রদানকারী দীঘিরপাড়া আলমপুরের সামছুল হক, হান্নান, মান্নান, নুরু, লতিফ মিয়া, মাসুদ রানা, খোকা, শাহানারা বেগম, মমেনা, রহেদ মিয়া বলেন- মেম্বারের ভাই আতিয়ার আমাদের কাছ থেকে ৫’শ টাকা করে নিয়েছি। টাকা নেয়ার বিষয়টি আমরা চেয়ারম্যানকেও জানিয়েছি। এ ব্যাপারে ওই ইউপির প্যানেল চেয়ারম্যান আব্দুল মান্নান বলেন- সরকার প্রতি বাড়ীতে চাকরী এবং প্রতি কেজি চাল ১০ টাকা মুল্যে দেয়ার নির্বাচনী ইশতেহার দিয়েছে। যারা এই কর্মসুচীতে অনিয়ম-দুর্নীতি করবে তাদেরকে ছাড় দেয়া হবে না। চেয়ারম্যান আব্দুর রহমান বলেন- আমার ইউনিয়নের ২০ মৌজার জন্য ১ হাজার খাদ্য বিতরন কার্ড বরাদ্দ পেয়েছি। এরমধ্যে ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের নেতারা সাড়ে ৩’শ টি কার্ড নিয়েছে। আর ১২ জন মেম্বারের মাঝে সাড়ে ৬’শ কার্ড ভাগ করে দিয়েছি। টাকা নেয়ার অভিযোগ পাওয়ার পরপরই আমি মেম্বারদেরকে নিয়ে আজ (গতকাল) জরুরী সভা করেছি। টাকা নেয়ার প্রমান পেলে সেই মেম্বারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব। কর্মসুচীটির উপজেলা কমিটির সদস্য সচিব উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক শহিদুল্লাহ্ বলেন- এ ধরনের অভিযোগ পেলে তাৎক্ষনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে।

পুরোনো সংবাদ

রংপুর 6840203945815535016

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item