স্থায়ী ভাবে বাঁধ ও নদী ড্রেজিং প্রয়োজন । কাউনিয়ায় ২ শতাধিক বাড়িঘর ১শ ৫০ হেক্টর ফসলী জমি নদী গর্ভে বিলীন

রংপুর অফিস.

তিস্তা নদীর পানি কমার সাথে সাথে নদী ভাঙ্গনের তীব্রতা বৃদ্ধি পেয়েছে। ১৫দিনের ব্যবধানে তিস্তা তীরবর্তী প্রায় ২শতাধিক পরিবারের ঘরবাড়ি ভিটেমাটি ও প্রায় ২শ৫০ হেক্টর ফসলী জমি নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। হুমকির মুখে পড়েছে নিজপাড়া, তালুকশাহবাজ, হরিচরন শর্মা, চরগনাই,চর আজমখাঁ,বিশ্বনাথ চর,হয়বতখাঁ চর,টাপুর চর,ঢুসমারা চরের আরও ২শতাধিক পরিবার,মসজিদ সহ ফসলী জমি। হয়বত খাঁ চরের নদী ভাঙ্গা কবলিত বিশ্বনাথ গ্রামের ছাবিহা বেওয়া সহ অনেকে জানায় এ নিয়ে তারা ৪/৫ বার করে বাড়ি ঘর সরিয়ে নিয়েছে। নদী তাদের পিছু ছাড়ছে না। বালাপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান আনছার আলী ও টেপামধুপুর ইউপি চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম জানান নদীর ভাঙ্গন ভয়াবহ রুপ নিয়েছে। প্রতিদিন কোন কোন বাড়ি ঘর নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যাচ্ছে। নদী ভাঙ্গন রোধে সরকারী ভাবে কোন স্থায়ী পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে না। সরকারী ভাবে যে বরাদ্দ পাওয়া যায় তাতে তাদের কিছুই হয় না। তিস্তা নদীর পানি প্রাবাহ ঠিক রাখতে ও নদী ভাঙ্গন রোধে স্বাধীনতার ৪৫ বছরেও তিস্তা নদী ড্রেজিঙ করা হয়নি। স্থায়ী ভাবে নদী ভাঙ্গন রোধে নদী ড্রেজিং করা ও গাডব্যাংক তৈরী করা প্রয়োজন। উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন দপ্তর থেকে নদীতে বিলীন হয়ে যাওয়া  পরিবার গুলোর  তালিকা ও টাকার চাহিদা সহ জেলা প্রশাসকের দপ্তরের প্রেরণ করা হয়েছে। সে অনুযায়ী ইতি মধ্যে ২ লাখ ৩০ হাজার টাকা বরাদ্দ পেয়ে তা বিতরণ করা হয়েছে। সরকারী ভাবে নদী ভাঙ্গা পরিবার গুলোকে ২ হাজার টাকা করে প্রদান করা হয় ,যা দিয়ে তাদের কিছুই হয় না। নদী ভাঙ্গা এলাকা গুলো উপজেলা নির্বাহী অফিসার সৈয়দ ফরহাদ হোসেন,প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আঃ আজিজ ও সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যান গণ  পরিদর্শন করেছেন। এলাকাবাসী  ভাঙ্গন রোধে জরুরী ভিত্তিতে নদী ডেজিং করা ও বোল্ডার দিয়ে স্থায়ী ভাবে বাঁধ নির্মানের দাবী জানিয়েছে।

পুরোনো সংবাদ

রংপুর 5937711343298080850

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item