নীলফামারীতে ভ্যান চালক হত্যা মামলায় চার স্কুল ছাত্র গ্রেফতার
https://www.obolokon24.com/2016/08/nilphamari_31.html
ইনজামাম-উল-হক নির্ণয়, নীলফামারী ৩১ আগষ্ট॥
নীলফামারীর পল্লীতে সুবিধ চন্দ্র রায় (৩২) নামের এক ব্যাটারীচার্জার চালিত ভ্যান চালককে ধারালো অস্ত্র দিয়ে গলা কেটে ও কুপিয়ে হত্যার ঘটনার সাথে জড়িত চার স্কুল ছাত্র গ্রেফতার হয়েছে। ঘটনার প্রায় তিন মাসের মাথায় আজ বুধবার ভোর রাতে নীলফামারী থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে এই চারজনকে গ্রেফতার করে।গ্রেফতারকৃত চারজনই জেলা সদরের পলাশবাড়ি পরশমনি উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্র ও পলাশবাড়ি ইউনিয়নের বামনডাঙ্গা গ্রামের বাসিন্দা। এরা হলো ওই গ্রামের নিলচরন রায়ের ছেলে দশম শ্রেনীর ছাত্র সুজয় চন্দ্র রায়, আতিয়ার রহমানের ছেলে দশম শ্রেনীর ছাত্র ফরিদুল ইসলাম, সুনীল চন্দ্র রায়ের ছেলে নবম শ্রেনীর ছাত্র কমল চন্দ্র রায় ওরফে উত্তম ও ফারুক ইসলামের ছেলে সপ্তম শ্রেনীর ছাত্র জাকির হোসেন। এদের মধ্যে তিনজনকে তাদের নিজবাড়ি হতে ও সুজয় চন্দ্র রায়কে জেলা শহরের কানছিড়া মহল্লার একটি ছাত্রবাস হতে গ্রেফতার করে পুলিশ।
এরা চারজনেই পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে পকেট খরচের টাকা জোগাতে ছিনতাইয়ের কাজে নেমে পড়েছিল। ফলে এই হত্যাকান্ড ঘটে। নীলফামারী থানার ওসি বাবুল আকতার বিষয়টি নিশ্চিত করেন। গ্রেফতারকৃতদের কিশোর অপরাধ ধারায় আদালতে বিচার করা হবে বলে জানানো হয়।
ঘটনার প্রথম দিকে এই হত্যাকান্ডটি জঙ্গিরা করেছে বলে প্রচারনা ছড়িয়ে পড়লেও পুলিশের তদন্তে প্রকৃত ঘটনা বেরিয়ে আসে ।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানায় চলতি বছরের ৩ জুলাই শুক্রবার সন্ধ্যায় ইউনিয়নের খেতারডাঙ্গা যাওয়ার কথা বলে পলাশবাড়ি বাজার হতে ভ্যানচালককে ভাড়া করে ওই চার ছাত্র। রাত আটটার দিকে মালিরকুড়া ব্রীজ নামক স্থানে ভ্যানটি এলে তারা ভ্যানচালকের মোবাইল ও টাকা ছিনতায়ের চেস্টা করে ব্যর্থ হয়ে সঙ্গে থাকা পশু কুড়াল, চাকু ও খুর দিয়ে আঘাত করে। এ সময় ওই রাস্তায় পথচারী দেখতে পেয়ে তারা পালিয়ে যায়।
পুলিশ সুত্র মতে পথচারীরা প্রথমে আহত অবস্থায় ভ্যানচালকে নীলফামারী সদর আধুিনক হাসপাতালে ও পরে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৪ জুলাই শনিবার ভোরে মারা যায় ভ্যান চালক।
জানা যায় একই ইউনিয়নের জ্ঞানদাস কানাইকাটা গ্রামের ধৌলরাম রায়ের ছেলে সুবিধ চন্দ্র রায়। তার স্ত্রী লিলি রানী ও ৫ বছরের মেয়ে সূর্বনা রয়েছে।
এ ঘটনায় নিহত ভ্যান চালকের বাবা বাদী হয়ে অজ্ঞাত আসামী করে থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছিল।