কিশোরগঞ্জে পল্লী বিদ্যুতের তার ছিড়ে দুর্ঘটনা। পল্লী বিদ্যুতের উচ্চ পর্যায়ে তদন্ত টিমের ঘটনাস্থল পরিদর্শন

ইনজামাম-উল-হক নির্ণয়, নীলফামারী ২৩ আগষ্ট॥

নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার গাড়াগ্রাম ইউনিয়নের খামার গাড়াগ্রামে পল্লী বিদ্যুতের ১১ হাজার কেভির তার ছিড়ে দুর্ঘটনা তদন্তে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির উচ্চ পর্যায়ের তিন সদস্য বিশিস্ট তদন্ত টিম আজ মঙ্গলবার দুপুরে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। সেই সাথে এলাকাবাসীর সাথে তারা ঘটনা নিয়ে কথা বলেন।
এ সময় তদন্ত টিমের প্রধান বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের উত্তরজোনের পরিচালক (অপারেশন) মো. মতিউর রহমান উপস্থিত গনমাধ্যম কর্মীদের জানান সুষ্ঠুভাবে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিল করা হবে। এতে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির নীলফামারীর কর্মকর্তা ও কর্তচারীদের গাফলাতি প্রমানিত হলে তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ভাবে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।  তিনি বলেন ইতোমধ্যে নীলফামারী পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির মহা ব্যবস্থাপক ইনসের আলী ,টেপার হাট অভিযোগ কেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ফারুক আহম্মেদ ও লাইনম্যান রুবেল হোসেনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
উল্লেখ যে,গত রবিবার (২১ আগষ্ট) রাত আটটার দিকে  উপজেলার গাড়াগ্রাম ইউনিয়নের খামার গাড়াগ্রাম গ্রামের বিপ্লব হোসেনের ঘরের ওপর পল্লী বিদ্যুতের ১১ হাজার কেভি সরবরাহ লাইনের তার ছিড়ে পড়লে ঘটনাস্থলে নিহত হন গ্রামের জাবেদ আলীর ছেলে সাজেদুর রহমান বাবু (৩০) ও রংপুর মেডিকেল হলেজ হাসপাতালে নেয়ার পথে মারা যান কফিল উদ্দিনের ছেলে তারিকুল ইসলাম (২৮)। আহত আরও ৯ জনকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
 রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ণ ইউনিটের বিভাগীয় প্রধান মারুফুল ইসলাম নাঈমের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। নাইম রংপুর জেলার তারাগঞ্জ উপজেলার সয়ার ইউনিয়নের ফরিদাবাদ গ্রামের মো. ভুট্টোর ছেলে। সে খামার গাড়াগ্রামে নানা তহুর উদ্দিনের বাড়িতে থেকে খামার গাড়াগ্রাম উচ্চ বিদ্যালয়ে অষ্টম শ্রেনীতে পড়তো।
  স্থানীয়রা জানায় ঘটনার দিন রাত সারে সাতটার দিকে গাড়াগ্রাম ইউনিয়নের খামার গাড়াগ্রাম গ্রামের বিপ্লব হোসেনের ঘরের ওপর পল্লী বিদ্যুতের সরবরাহ লাইনের তার ছিড়ে পড়ে। এসময় বিপ্লব হোসেনের স্ত্রী রাশিদা বেগম বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ঘরের মেঝেতে পড়ে যান। আশপাশে আগুন জ্বলতে থাকে। তার চিৎকারে প্রতিবেশিরা পল্লী বিদ্যুৎ বিভাগের অভিযোগ কেন্দ্রে মোবাইলে যোগাযোগ করে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করান। এসময় বিপ্লব হোসেন বাড়িতে ছিলেন না। পরে তাকে খবর দেওয়া হলে তিনি বাড়িতে এসে স্ত্রীকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়ে দিয়ে প্রতিবেশিদের নিয়ে আগুন নেভাতে ঘরের ভেতর ঢোকেন। ঘটনার প্রায় আধা ঘণ্টা পর আবারও কয়েক সেকে-ের জন্য বিদ্যুত সরবরাহ চালু হলে  ওই ঘরে প্রবেশকারীদের মধ্যে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ঘটনাস্থলে মারা যান সাজেদুর রহমান বাবু, আহত হন ১০জন, আহতদের রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পথে মারা যান তারিকুল ইসলাম। সাজেদুর রহমান একটি মসজিদে ইমামতি করতেন এবং তারিকুল রংপুর কারমাইকেল কলেজ থেকে এমএ পাশ করার পর চাকুরী খুজছিলেন।
  নীলফামারী ৩ জলঢাকা কিশোরীগঞ্জ আসনের সংসদ সদস্য গোলাম মোস্তফা পল্লী বিদ্যুত সমিতির অবহেলার কারণে এ দুর্ঘটনাটি ঘটেছে দাবি করে ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
কিশোরীগঞ্জ থানার ওসি বজলুর রশীদ বলেন,  মঙ্গলবার সকাল সারে ১০টা পর্যন্ত আমরা তিন জনের মৃত্যুর ব্যাপারে নিশ্চিত হয়েছি। নিহত সাজেদুর রহমানের বাবা জাবেদ আলী বাদী হয়ে সোমবার একটি অপমৃত্যু (ইউডি) মামলা করেছেন।
   রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এখন চিকিৎসাধীন আছেন,বিপ্লব হোসেন (৩০) স্ত্রী রাশিদা বেগম (২৭) তাহেরা বেগম (৪৫), আরিফুল (২৩), শাহরিয়ার (২৭), মোসাফ আলী (৬০), মাজু (২২), বাবু মিয়া(২৬) ও রতœা (২২)। আহতরা রণচ-ি ও গাড়াগ্রাম ইউনিয়নের খামার গাড়াগ্রামের বাসিন্দা বলে জানান এলাকাবাসী।

পুরোনো সংবাদ

নীলফামারী 4980370794963608171

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item