কিশোরীগঞ্জ বহুমুখী মডেল উচ্চ বিদ্যালয় জাতীয়করনের দাবী বিশিষ্ঠজনের
https://www.obolokon24.com/2016/08/kisargang_4.html
মোঃ শামীম হোসেন বাবু,কিশোরগঞ্জ(নীলফামারী)সংবাদদাতা
নীলফামারীর কিশোরীগঞ্জ বহুমুখী মডেল উচ্চ বিদ্যালয়টি জাতীয়করন না হওয়ায় বিভিন্ন পেশা শ্রেণীর মানুষ ক্ষোভ প্রকাশ করেছে। বিদ্যালয়ের এক সভায় ক্ষোভ প্রকাশ করে স্বাক্ষর করেছে তারা।
বিদ্যালয় সুত্রে জানা গেছে, গত ২০১৫ সালের ৫ সেপ্টেম্বর নীলফামারী ৪ আসনের সংসদ সদস্যের ডিও লেটারের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী বরাবর বিদ্যালয়টি জাতীয় করনের জন্য আবেদন করেন বিদ্যালয় কতৃপক্ষ। এভাবে বিভিন্ন মাধ্যমে কয়েক দফায় প্রধানমন্ত্রী বরাবর আবেদন করা হয়। কিন্তু কোন কাজ না হওয়ায় গত ২৬ জুলাই শিক্ষক, অভিভাবক ও ছাত্ররা বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে স্বারক লিপি দেন।
বিদ্যালয় সুত্র আরো জানায়, এ বিদ্যালয়টি ৭ একর ৩৩ শতাংশ জমির উপর ১৯৩৯ সালে প্রতিষ্ঠা লাভ করে। বিদ্যালয়টিতে আছে একটি জাতীয় মানের খেলার মাঠ, একটি ৩ তলা মডেল ভবন, দুটি দ্বিতল ভবনসহ একাধিক টিন সেট বিল্ডিং ।বিদ্যালয়টিতে রয়েছে নিজস্ব একটি বিজ্ঞানাগার, জেমনেসিয়াম হল, ১৮ টি কম্পিউটার ল্যাব, ৫ টি ল্যাপটপ, এবং আরো একটি সতন্ত্র বিজ্ঞানাগার । সবমিলে বিদ্যালয়টি একটি আধুনিক মানের বিদ্যালয়।এছাড়াও ২০০৯ সালে দেশের ৬৪ জেলার মধ্যে শিক্ষা মন্ত্রণালয় কতৃক ৬৪ টি মডেল বিদ্যালয় ঘোষনা দেওয়া হয়। তার মধ্যে এ বিদ্যালয়টি রয়েছে ৩৭ নম্বরে। ২০১৪ সালে সেকায়েপ কতৃক ভাল ফলাফলের জন্য উপজেলার শ্রেষ্ঠ প্রতিষ্ঠান ঘোষনা ও এক লক্ষ টাকা পুরস্কৃত করা হয়। ২০১৫ সালে জাতীয় বির্তক প্রতিযোগিতায় রংপুর বিভাগীয় চ্যাম্পিয়ন হয় এবং চারবার রার্নাস আপ চ্যাম্পিয়ন হয়।
এদিকে প্রতিবছর সিমিত আসন সংখ্যা দিয়ে ভর্তির বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়। বিদ্যালয়টিতে বর্তমান ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা ১ হাজার ৩৯৯ জন। শিক্ষক সংখ্যা ৩১ জন, চতুর্থ শেনীর কর্মচারী ৬ জন। ফলাফলে দিক থেকে বরাবরই প্রসংশা কুড়িয়ে আসছে। ২০১৪ সালে জে এস সি পরীক্ষায় অংশগ্রহন করে ২০৫ জন ছাত্রছাত্রী । এর মধ্যে পাশের হার শতকরা ১০০ ভাগ। এর মধ্যে এ প্লাস পায় ৪৬ জন। জুনিয়র বৃত্তি লাভ করে ২০জন। একই বছর এসএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহন করে ২০৮ জন। পাস করে ২০৭ জন। এ প্লাস অর্জন করে ৮৫ জন। পাসের হার শতকরা ৯৯ দশমিক ১৬। ২০১৬ সালে একই অবস্থান ধরে রাখে।
উপজেলা আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এছরারুল হক, সাধারন সম্পাদক বাবুল মিয়া, উপজেলা বিএনপির সভাপতি রাজ্জাকুল ইসলাম রাজা, জাতীয় পার্টির সাধারন সম্পাদক আলম হোসেন, উপজেলা জাতীয়পার্টির সভাপতি ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান রশিদুল ইসলামসহ শতাধিক বিশিষ্ট ব্যাক্তি প্রধান মন্ত্রীর কাছে বিদ্যালয়টি জাতীয়করনের জোর দাবী জানান। কিশোরীগঞ্জ বহুমুখী মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক গোলাম আজম বলেন, বিদ্যালয়টি জাতীয়করন করা হলে পশ্চাৎ পদ এ উপজেলার শিক্ষার মান আরো উন্নত হবে।