কিশোরগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ওষুধ সঙ্কট চরম দূর্ভোগে রোগীরা
https://www.obolokon24.com/2016/08/drag.html
মোঃ শামীম হোসেন বাবু,কিশোরগঞ্জ,নীলফামারী
নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গত ২০ দিন যাবত রোগীদের দেয়া হচ্ছে শুধু প্যারাসিটামল। এতে প্রতিদিন আউটডোর ও ইনডোরের প্রায় শতাধিক রোগিকে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
জানা গেছে, উপজেলার হাসপাতালটিতে নামমাত্র চিকিৎসা সেবা চললেও বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হচ্ছে হাসপাতাল থেকে রোগীরা ওষুধ না পাওয়ায়। চিকিৎসা নিতে আসা রোগীদের অভিযোগ বর্তমান সরকার যেখানে গ্রাম পর্যায়ে স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করার জন্য উঠে পরে লেগেছে সেখানে হাসপাতালের ষ্টোর কিপার মাজেদুল ইসলাম ওষুদের কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে রোগীদের বাহির থেকে ওষুধ কিনতে বাধ্য করছে। এতে করে ভেস্তে যেতে বসেছে সরকারের স্বাস্থ্য কার্যক্রম। হাসপাতালে শরীর ব্যাথা , কাঁন পাকা, জ্বর ডায়রিয়া পেটের ব্যথা সমস্যাসহ সর্বরোগের চিকিৎসার জন্য দেয়া হচ্ছে প্যারাসিটামল ,আয়রন ট্যাবলেট,এন্টাসিড। সব চিকিৎসার ব্যাবস্থাপত্র লিখে দেয়া হচ্ছে।এবং বাজারের ওষুধের দোকান থেকে কেনার জন্য পরামর্শ দেয়া হচ্ছে।
উপজেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে রোগীদের যাতায়াতে প্রায় ৫০-৬০ টাকা লেগে যায়। আর সব রোগের চিকিৎসার জন্য দিচ্ছে ৭-৮ টাকা মুল্যের প্যারাসিটামল। সব রোগের একই ওষুধ দেয়ায় আর দামী দামী ওষুধের ব্যবস্থাপত্র লিখে দেয়ায় চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছে রোগীরা। উপজেলার পুটিমারী ইউনিয়নের ভেড়ভেড়ী গ্রামের শপিকুল ইসলাম ওষুধ নিতে এসেছেন, কি ওষুধ কিনছেন জানতে চাইলে তিনি বলেন,আমার হাতে প্রচুর ব্যাথা এ কারনে হাসপাতালে এসেছিলাম। হাসপাতাল থেকে শুধু প্যারাসিটামল দিয়েছে। আর ডাক্তার আরও কয়েকটি ওষুধের ব্যাবস্থাপত্র লিখে দিয়েছেন। ভিক্ষুকমুক্ত উপজেলার এক তালিকাভুক্ত ভিক্ষুক চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে এলে ডাক্তার তাঁকে ব্যাবস্থাপত্র লিখে দেন তিনি হাসপাতালে গিয়ে ওষুধ না পেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এস এস মেহেদী হাসানের কাছে যান। পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাকে স্বপন ফার্মেসী থেকে ওষুধ কিনে দেন। হাসপাতালে ভর্তি মহিলা ওয়ার্ডের রোগী কিশোরগঞ্জ সদর ইউনিয়নের দক্ষিন রাজিব গ্রামের স্বপ্না বেগম(২০) তিনি জ্বর নিয়ে এসেছেন। তিনি জানান, দুই দিন ধরে হাসপাতালে ভর্তি আছি। এখান থেকে( হাসপাতাল) শুধু প্যারাসিটামল দিয়েছে। আর ডাক্তারের ব্যাবস্থাপত্র অনুযায়ী বাকি ওষুধ বাহির থেকে কিনতে হয়েছে। মাগুড়া থেকে আসা মাসুমা আক্তারের ভাগ্যে পড়েছে আয়রন ট্যাবলেট তিনি ব্যবস্থাপত্র হাতে নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক হাসপাতালের এক কর্মকর্তা জানান, এই হাসপাতালের রোগীরা প্যারাসিটামল, আয়রন, এন্টাসিড ছাড়া আর কোন ওষুধ পায়না। সবকিছুর গাফিলতির পিছনে ষ্টোর কিপার দায়ী। এ ব্যাপারে ষ্টোর কিপার মাজেদুল ইসলামের সাথে কথা বললে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, আপনি কে? আপনাকে এসব বিষয়ে কৈফিয়ত দিতে বাধ্য নই। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ গওসুল আজিম চৌধুরীর সাথে কথা বললে তিনি বলেন, সরকারী ভাবে যে সমস্ত ওষুধ রোগীদের জন্য সাপ্লাই আছে তা অবশ্যই রোগীদের দিতে হবে। ওষুধের সঙ্কট আছে কিনা জানতে চাইলে তিনি জানান, ওষুধের কোন সঙ্কট নেই । কেউ সঙ্কট সৃষ্টি করলে তার বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা নেয়া হবে।