চিলাহাটীতে উপবৃত্তি সংক্রান্ত বিষয়ে জটিলতা সৃষ্টির কারণে অনুষ্ঠিত অভিভাবক সমাবেশ

এ. আই পলাশ  ঃ
উপবৃত্তি সংক্রান্ত বিষয়ে জটিলতা সৃষ্টির কারণে মঙ্গলবার (২৩ আগষ্ট) ডোমার উপজেলার ভোগডাবুরী প্রামানিকপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অভিভাবক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।সমাবেশে প্রধান শিক্ষিকার স্বাগতিক বক্তব্যের মাধ্যমে জানা যায়, সম্প্রতি ২০১৫ এবং ২০১৬ সালের উপবৃত্তি প্রদানের ক্ষেত্রে নিয়ম অনুযায়ী তিনি রিপিটার শিক্ষার্থীদের জন্য চাহিদা দেননি অর্থাৎ তাদেরকে উপবৃত্তির আওতায় নিয়ে আসেননি। কিন্তু পার্শ্ববর্তী প্রতিষ্ঠান চিলাহাটি মার্চেন্টস্ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সরকারি নিয়ম ভেঙ্গে রিপিটার শিক্ষার্থীদেরকে উপবৃত্তি প্রদান করায় এ প্রতিষ্ঠানসহ অনেক প্রতিষ্ঠান বিপাকে পড়েছে। রিপিটার শিক্ষার্থীর অভিভাবকের রোষানলে পড়ে তিনি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের শরনাপন্ন হয়ে তাদের পরামর্শে অভিভাবক সমাবেশের আয়োজন করেন। প্রধান শিক্ষিকা মতিয়া বেগম অত্র সভায় উপস্থিত উপজেলা শিক্ষা অফিসার জনাব শাহাজাহান মন্ডল সাহেবের নিকট বিষয়টি খতিয়ে দেখে কার্যকরী ভূমিকা গ্রহণের অনুরোধ জানান। তিনি বলেন-অসৎ প্রধান শিক্ষকদের কারণে যারা সৎভাবে প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করছেন তারা অভিভাবকের কাছে লাঞ্চিত হওয়া অত্যন্ত দুঃখজনক ব্যাপার। সভায় আরোও বক্তব্য রাখেন-সহকারি উপজেলা শিক্ষা অফিসার জনাব রকিবুল হাসান। তিনি বলেন-রিপিটার শিক্ষার্থীকে উপবৃত্তি দেয়ার কোন নিয়ম নেই। যারা একাজ করেছেন তারা সরকারি আইন অমান্য করে সরকারি অর্থের অপচয় করেছেন ।তদন্ত সাপেক্ষে তিনি তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের অঙ্গিকার ব্যক্ত করেন।
এ বিষয়ে উক্ত বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শাহ্ এরশাদুল হকের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি। তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন সহকারি শিক্ষিকা জানান যে, তাদের প্রতিষ্ঠানে ৫টি শ্রেণিতে আনুমানিক ৫০ জন রিপিটার শিক্ষার্থী রয়েছে তবে সবাইকে উপবৃত্তি দেয়া হয়নি। তার ভাষ্যমতে ২০১৬ সালে আনুমানিক ৩৫/৪০ জন রিপিটার শিক্ষার্থীকে উপবৃত্তি দেয়া হয়েছে। অত্র প্রতিষ্ঠানটিতে গড়ে প্রতিদিন ৫০% থেকে ৬০% শিক্ষার্থী উপস্থিত থাকলেও শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি হাজিরা খাতায় বাড়িয়ে দেখানো হয়। এছাড়াও উপবৃত্তির তালিকায় ভূয়া শিক্ষার্থীর নাম থাকার কথা জানা যায়। এদিকে উক্ত প্রতিষ্ঠানের চাহিদাপত্র এবং বিতরণ তালিকার মধ্যে যথেষ্ট গড়মিল রয়েছে বলে জানা যায়।নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ২ জন অভিভাবক জানান, তাদের সন্তানের নাম দুই জায়গায় দেখানো হয়েছে। এছাড়াও বিভিন্ন শ্রেণিতে বিশেষ করে শিশু শ্রেণির অনেক শিক্ষার্থীর অভিভাবক চাকুরীগত কিংবা অন্যান্য কারণে সন্তানদের অন্যত্র ভর্তি করায় উপবৃত্তি গ্রহণ করতে না আসলেও তাদের টাকা ফেরত দেয়া হয়নি বলে গোপন সূত্রে জানা যায়। এব্যাপারে সহকারী শিক্ষা অফিসার রকিবুল হাসান এর সাথে কথা বললে তিনি বলেন-বিষয়টি দুঃখজনক এবং উপবৃত্তি প্রদানের নিয়ম বহির্ভূত। নিয়ম বহির্ভূতভাবে রিপিটার শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তি প্রদানের বিষয়টি সত্য হলে সংশ্লিষ্ট প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

পুরোনো সংবাদ

শিক্ষা-শিক্ষাঙ্গন 3353515672854032397

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item