ডোমারে প্রতারক চক্রের হোতা আমিনুর উধাও হাজারো নারী দিশেহারা।
https://www.obolokon24.com/2016/08/domar_24.html
আনিছুর রহমান মানিক, ডোমার, (নীলফামারী) প্রতিনিধিঃ
নীলফামারী ডোমারে বিভিন্ন ইউনিয়নে হাজারো সহজ সরল মহিলাদের চাউল ও টিন দেয়ার নাম করে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়ে, প্রতারক চক্রের হোতা আমিনুর উধাও হয়েছে। টাকা ফেরত পেতে ভুক্তভুগীরা আমিনুর সহ চক্রের সহযোগীদের বাড়ীতে ধন্না দিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছে। অনুসন্ধানে জানাযায়, উপজেলার জোড়াগাড়ী ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের জামিয়ারের স্কুল সংলগ্ন গ্রামের মৃত আব্দুল লতিফের ছেলে আমিনুর রহমান দাড়িয়া(৬০) ঢাক ঢোল পিটিয়ে বিদেশী সংস্থার অনুদানের নাম করে প্রতি মাসে ৫০কেজি করে চাউল ১বছর ও ৫বান টিন দেয়ার লোভ দেখিয়ে জোড়াবাড়ী, বামুনিয়া, গোমনাতী, কেতকীবাড়ী, ডোমার সদর ইউনিয়নে হাজারো সদস্যের কাছে জনপ্রতি ২১৫০ টাকা নিয়ে গাঁ ঠাকা দিয়েছে। সংস্থাটি নামের সাধারণ মানুষের দৃষ্টি আর্কষন করতে এলাকার সুনামধণ্য পরিবারের ২০/২৫ জন মহিলাকে গ্রুপ লিডার বানিয়ে সাইবোর্ড হিসাবে ব্যবহার করে। বিশ্বাস স্থাপন করার জন্য কিছু সদস্যকে ১বস্তা করে ও কয়েকবান টিন দেয় তারা। আমিনুরের মুল সহযোগী হিসাবে ছিলেন ডোমার ভাঙ্গা বাজারের চাউল ব্যবসায়ী মতিয়ার রহমান। বেশ কিছু কেন্দ্রে মতিয়ারকে এনজিওর বড় অফিসার হিসাবে পরিচয় দিয়ে তার মটর সাইকেলে সদস্যের বাড়ীবাড়ী গিয়ে টাকা উত্তোলন করে এসব করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এই অপকর্মের সাথে আমিনুর দাড়িয়ার ছেলে মোমিনুর, হাচান, চিলাহাটির লিমন সহ বেশ কয়েকজন জড়িত রয়েছে। অনুসন্ধানে আরো যানানযায়, চান্দখানা গ্রামের লিটার সপ্নার গ্রুপের ২৮০জন, ফরিদার গ্রুপের ৭৫জন, রেজিনার গ্রুপের ৯০জন, শরিফার গ্রুপের ২০০জন, বামুনিয়া মনোয়ারার গ্রুপের ৫৩০জন, ডোমার কলেজ পাড়ার পুস্পর গ্রুপের ৩৮৫ জন সহ জুলেখা, নুরমা, রমিছা, লাকী,মমেনা সহ শত গ্রুপ লিডারের কাছ থেকে হাজারো সদস্যের প্রায় ৭০লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেয় তারা। গত ৩মাস ধরে প্রতারকের দেখা না পাওয়ায় প্রতিদিন শতশত ভুক্তভুগী তাদের বাড়ীতে ভীড় জমায়। উক্ত প্রতারক সহ সকল সহযোগীর বিরুদ্ধে প্রতারনার মামলা দায়ের করবে বলে গ্রুপ লিডারগণ জানান।