বিদ্যুতের লোড শেডিংয়ে অতিষ্ট চিলাহাটীর পিডিবি গ্রাহকরা
https://www.obolokon24.com/2016/08/domar-pdb.html
নিজস্ব প্রতিনিধিঃ
বিদ্যুতের লোড শেডিংয়ে অতিষ্ট হয়ে পড়েছে ডোমার পিডিপি’র আওতায় চিলাহাটীর গ্রাহকরা। চরম এই লোড শেডিংয়ের কারনে অফিস আদালতসহ হাসপাতাল, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান,ব্যবসা প্রতিষ্ঠান,বসত বাড়ি ও শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ায় ব্যাঘাত ঘটছে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, গত ১ মাস থেকে চলছে বিদ্যুতের বিভ্রাট। একদিকে প্রচন্ড তাপদাহ আর দিনের প্রায় ২০ ঘন্টা বিদ্যুত না থাকায় চরম বিপাকে পড়েছে এলাকাবাসী। জমির ফসল তাপদাহে ফেটে চৌচির হলেও বিদ্যুতের অভাবে এলাকায় কৃষকরা পানি দিতে পারছে না। বিদ্যুতের কারনে গরমে বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে শিশু কিশোররা। এরই ধারাবাহিকতায় সোমবার সকাল থেকে রাত পর্যন্ত মাত্র ২ ঘন্টা বিদ্যুৎ পাওয়া গেলেও লো-ভোল্টেজের কারনে চরম হতাশার এলাকাবাসী।
চিলাহাটী রেলঘুন্টির ব্যবসায়ী মান্নান জানায়, গত ১ মাস হতে নিয়মিত বিদ্যুৎ বিভ্রাট চলছে। দিনে রাতে সমান তালে চলছে বিদ্যুতের লোডশেডিং। একবার বিদ্যুৎ গেলে ১০-১২ ঘন্টা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়। অতি গরমে ও তাপদাহে দিনের আলোতে কোনভাবে বেচা কেনা করলেও রাতে চরম বিপদে পড়তে হচ্ছে ব্যবসায়ী ও গ্রাহকদের।ষ্টেশন সড়কের ঔষধ ব্যবসায়ী হাকিমুল বসুনীয়া সুফল বলেন,বিদ্যুতের অভাবে রেফ্রিজারেটরে রাখা প্রয়োজনীয় ভ্যকসিন নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।গোমনাতী বাজারের মালটিমেডিয়া কম্পিউটার দোকানের মালিক কার্ত্তিক বলেন,বলেন, গত ১ মাস থেকে দিনের বেলা বিদ্যুৎ বিভ্রাটের কারনে ব্যবসা নিয়ে চরম বিপাকে পড়তে হচ্ছে। বিদ্যুতের বিকল্প হিসেবে আপিএস নিয়ে আসলেও রাতে বিদ্যুৎ না থাকায় সেটিও চাহিদা পূরন করতে পারছেনা।তরকারী ব্যাবসায়ী হোসেন আলী বলেন,সারাদিনে আমরা কখন বিদ্যুৎ পাবো এবং কখন লোডসেডিং দেয়া হবে সেটা পূর্বেই জানিয়ে দিলে আমরা সে অনুযায়ী প্রস্তুতি নিয়ে থাকতে পারি। ডোমার বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের উপ সহকারী প্রকৌশলী এম এস সরোয়াার জাহান বলেন, ডোমার ডিমলা মিলে প্রতিদিন ৮.৫ মেগাওয়ার্ড প্রয়োজন,সেখানে আমরা প্রতিদিন পাচ্ছি ৪ মেগাওয়ার্ড ।বিদ্যুৎ উৎপাদনের ক্ষেতে যান্ত্রিক ত্রুটির কারনে প্রয়োজনের তুলনায় অর্ধেক উৎপাদিত হচ্ছে। ফলে বিদ্যুতের চাহিদা অনুযায়ী তা আমাদের পূরন করা সম্ভব হচ্ছেনা।