ডিমলায় আওয়ামী লীগের প্রতিনিধি দলের ত্রান বিতরন

ইনজামাম-উল-হক নির্ণয়,নীলফামারী,জাহাঙ্গীর আলম রেজা,ডিমলা-
তিস্তা নদী দ্রুত সময়ের মধ্যে ডেজিং (খনন) করা হবে। শেখ হাসিনার সরকার ক্ষমতা আসার পর একটি মানুষকে না খেয়ে থাকতে হয়নি। বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ সকলের জন্য পর্যাপ্ত পরিমানের ত্রানের ব্যবস্থা করা হয়েছে। অতিতের সে কোন সরকারের চেয়ে আওয়ামী লীগ সরকার নদী ন্যাবতা নিশ্চিত করার লক্ষে কাজ করে যাচ্ছে। আজ মঙ্গলবার সকাল ১১টায় নীলফামারীর ডিমলা উপজেলা ডালিয়াস্থ্য তিস্তা নদীর বন্যা ও ভঙ্গনের শিকার দুর্গত  পরিস্থিতি পরিদর্শন ও ত্রান বিতরনের সময় এসব কথা বলেন আওয়ামী লীগের প্রতিনিধি দলের প্রধান দলের আন্তর্জাতিক-বিষয়ক স¤পাদক কর্নেল (অব.) ফারুক খান এমপির।  তিনি আরো  বলেন, বর্ষার পর তিস্তা নদী খনন করে নদীর দুই পাশে বাধ দেয়া হয়ে। ক্ষতিগ্রত পরিবারগুলোকে বাধে আশ্রয়ের ব্যবস্থা করা হবে। তিনি আরও বলেন অতিতের যে কোন সরকারের চেয়ে শেখ হাসিনার সরকার নদীতে বিশেষ গুরুত্ব নিযে খনন করার প্রস্ততি নিচ্ছে। নদীর তীরে বাধ তৈরি করে অর্থনৈতিক জোন তৈরি করার কাজ চলছে। নীলফামারীর জেলার বন্যা এলাকায় পরিদর্শনের জন্য সাবেক মন্ত্রী, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির আন্তজাতিক বিষয়ক সম্পাদক ও বেসরকার বিমান পর্যটন ও পরিবরহন মন্ত্রানলয়ের সংসদীয় কমিটির সভাপতি (কর্নেল অবসরপ্রাপ্ত) ফারুক খান এমপি নেতৃত্বে ৫ সদস্যসের প্রতিনিধি দল। প্রতিনিধির অন্যান্য সদস্যরা হলেন কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক অসিম কুমার উকিল, নীলফামারী-১ আসনের সংসদ সদস্য আফতাব উদ্দিন সরকার, সংরক্ষিত আসন-৩০২ সংসদ সদস্য এ্যাডভোকেট সফুরা বেগম, লালমনিরহাট জেলা আ”লীগ সম্পাদক ও জেলা পরিষদের প্রশাসক মতিয়ার রহমান উপস্থিত ছিলেন। প্রতিনিধি দলটি তিস্তার হেলিপ্যাড মাঠে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারগুলোর জন্য ৩০ কেজি করে চাল ও নগদ ১ হাজার টাকা  বিতরন করেন।
নীলফামারীর ডিমলায় তিস্তার ভাঙ্গনে সর্বশান্ত হয়ে দুই হাজার পরিবার বাধসহ উচু স্থানে আশ্রয় নিয়ে। মঙ্গলবার উপজেলা প্রশাসন ও ত্রান মন্ত্রানালয়ের উদ্দ্যেগে তিস্তার হেলিপ্যাড মাঠে ২হাজার পরিবারকে ৩০কেজি চাল ও ৭শ পরিবারকে ১ হাজার করে টাকা বিতরন করা হয়। ত্রান বিতরনের সময় ত্রান ও দুর্যোগ মন্ত্রনালয়ের সহকারী পরিচালক গিয়াজ উদ্দিন আহম্মেদ, জেলা ত্রান ও পুনবাসন কর্মকর্তা তাজুল ইসলাম, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান তবিবুল ইসলাম, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রেজাঊল করিম, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা নায়েমা তাবাচ্ছুম শাহ, টেপাখড়িবাড়ী ইউপি চেয়ারম্যান রবিউল ইসলাম শাহীন, খালিশা চাপানি ইউপি চেয়ারম্যান আতাউর রহমান সরকার উপস্থিত ছিলেন।
তিস্তা নদীর ভরাট হওয়ায় ফলে গত ১৫দিনে তিস্তার মুল অংশের বাইরে চরখড়িবাড়ী হয়ে নতুন একটি চ্যানেল তৈরি হয়েছে। টেপাখড়িবাড়ী ইউনিয়নের চরখড়িবাড়ী, মধ্য খড়িবাড়ী, পুর্ব খড়িবাড়ী, একতার বাজার, দীঘির পাড়, টাবুর চর সহ ১০টি গ্রামের ২ হাজার ২৪০টি পরিবার বসবাস করলেও ইতিমধ্যে ১ হাজার ৬শ পবিবারের বসতভিটা, আবাদী জমি, বিদ্যালয়, রাস্তাঘাট. পুল কালভার্ট বিলিন হয়েছে। ঝুনাগাছ চাপানি ইউনিয়নের ছাতুনামা ও ফরেষ্টের চরের ৩৪৫টি পরিবার নদী গর্ভে বিলিন হয়েছে। খগাখড়িবাড়ী ইউনিয়নের কিসামত ছাতনাই গ্রামের ৩৫টি পরিবার ও খালিশা চাপানি ইউনিয়নের ২৫টি পরিবারের বসতভিটা তিস্তা নদীতে বিলিন হয়েছে।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিস সুত্রে জানা যায়, তিস্তার বাধসহ উচু স্থানে ১ হাজার ৮৭৫টি পরিবার বসতভিটা ভেঙ্গে বাধে আশ্রয় নিয়েছে। উপজেলা প্রশাসন ও ত্রান মন্ত্রানালয়ের উদ্দ্যেগে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থদের তালিকা প্রস্তুত সহ সহযোগীতার জন্য ৭টি তথ্য কেন্দ্র খোলা হয়েছে। তথ্য কেন্দ্রে সুত্রে জানা যায়, তিস্তার সিলট্রাপে ৫১৬টি পরিবার, তিস্তার ক্যাঞ্জার ড্যাম (কলম্বিয়া বাধে) ১৪৭টি পরিবার, তেলির বাজার ১২০টি, চেয়ারম্যান বাড়ী সংলগ্ন বাধে ৮৪টি, যৌথ বাধে ১৭৭টি, সানিয়াজান বাধে ২১৭টি, ফ্লাড ফিউজ সংলগ্ন বাধে ১৮৭টি পরিবার, খগাখড়িবাড়ী ইউনিয়নের দোহলপাড়া বাধে ৫০টি পরিবার, কালীগঞ্জ যৌথ বাধে ৪০টি পরিবার, ঝুনাগাছ চাপানি ইউনিয়নের পুর্ব ছাতুনামা ৩৪৫টি পরিববার আশ্রয় নিয়েছে। তিস্তা নদীর নতুন করে চ্যানেল তৈরি হওয়ার ফলে চরখড়িবাড়ী হয়ে নতুনটি প্রবাহিত হওয়ায় নীলফামারীর ডিমলা ও লালমনিরহাট জেলার হাতিবান্ধা উপজেলার ৪টি ইউনিয়নসহ ৪হাজার পরিবার ও তিস্তার ফ্লাড ফিউজ চরম হুমকির মধ্যে পড়েছে।
বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারগুলো সরকার নিকট ত্রান চায় না বাচার জন্য তিস্তা নদীতে চরখড়িবাড়ী এলাকায় বাধ চায়। এলাকাবাসী জানায় তিস্তার ভাঙ্গনের নিঃস্ব পরিবারগুলোকে ত্রান দিয়ে সমস্য সমাধান করা যাবে না।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রেজাউল করিম বলেন, তিস্তার ভাঙ্গনের ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের জন্য ৩শ ৬ মেট্রিক টন চাল ও নগদ ৮ লক্ষ ৫৫ হাজার টাকা ও শুকনো খাবারের ২ হাজার প্যাকেজ পাওয়া গেছে। তিস্তার ভাঙ্গনে প্রতিটি পরিবারকে ৪ দফায় ৭০কেজি করে চাল, নগদ অর্থ ও শুকনো খাবার দেয়া হয়েছে।

পুরোনো সংবাদ

প্রধান খবর 1524976710254612339

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item