“যোগাযোগ এখন আর কোন একক দেশের বিষয় নয়”-আসেম শীর্ষ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

ডেস্কঃ
সকল দেশ ও সমাজের মধ্যে শান্তি, স্থিতিশীলতা ও সমৃদ্ধি নিশ্চিত করতে নিরাপদ যোগাযোগ ব্যবস্থাকে কৌশলগত সুযোগ হিসেবে কাজে লাগানোর ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, যোগাযোগ এখন আর কোন একক দেশের বিষয় নয়। বর্তমানে যোগাযোগ ব্যবস্থা সবার জন্য কৌশলগত সম্ভাবনা ও সুযোগে পরিণত হয়েছে। তিনি আরো বলেন, টেকসই, অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রবৃদ্ধি অর্জন ও স্থিতিশীল উন্নয়নের লক্ষ্যে যোগাযোগ কাঠামোর রূপরেখা কি হবে তা তৈরি করা প্রয়োজন। আজ শুক্রবার মঙ্গোলিয়ার রাজধানী উলানবাটোরে ১১তম আসেম-এর প্লেনারি-২ অধিবেশনে ভাষণ দানকালে তিনি এসব কথা বলেন। এ সম্মেলনে বর্তমানে সংঘটিত নানামুখী রূপান্তরের প্রেক্ষাপটে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ ব্যবস্থার ওপর আলোকপাত করা হয়।
প্রসঙ্গত ‘আসেমের ২০ বছর : যোগাযোগের মাধ্যমে আগামী দিনের অংশীদারিত্ব’- শীর্ষক প্রতিপাদ্যের এ সম্মেলনে যোগ দিতে গতকাল বৃহস্পতিবার উলানবাটোরে পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপরে আজ শুক্রবার সকালে সাংরি-লা হোটেলে সম্মেলনস্থলে পৌঁছালে মঙ্গোলিয়ার প্রেসিডেন্ট সাখিয়াজিন এলবেগদোর্জ তাকে স্বাগত জানান।
প্রধানমন্ত্রী দু’দিনব্যাপী এশিয়া-ইউরোপ শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে গতকাল মঙ্গোলিয়ায় পৌঁছেন। তিনি সাঙ্গরি-লা হোটেলে সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দেন। প্রধানমন্ত্রী সম্মেলনস্থলে পৌঁছলে মঙ্গোলিয়ার প্রেসিডেন্ট তাজখিয়াজিন এ্যালবেগদোরজ তাঁকে স্বাগত জানান। শেখ হাসিনা বলেন, আজ আসেমের দেশগুলো নতুন প্রবৃদ্ধির কেন্দ্র ও সংযোগস্থলে পরিণত হচ্ছে। দীর্ঘদিনের পরিচিত বাণিজ্য ও শিল্প অংশীদাররা এখন নতুনদের জন্য পথ করে দিচ্ছে। আমাদের অর্থনীতিতে উৎপাদন ও সেবা খাতে ধারাবাহিক ও দায়িত্বশীল বাণিজ্য ব্যবস্থাপনা গড়ে উঠছে এবং পারস্পরিক আঞ্চলিক কর্মকান্ডে আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক পণ্য বিপণন ব্যবস্থাপনাও (সাপ্লাইচেইন) সম্প্রসারিত হচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, যথাযথ মান এবং সংহতি, বন্ধুত্ব, পারস্পরিক আস্থা ও সমতার মতো নীতির ভিত্তিতেই সব উন্নয়ন উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে। এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় দেশগুলোর মধ্যে বহুমুখী যোগাযোগের ক্ষেত্রে অগ্রগতির কথা তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, দক্ষিণ এশিয়ায় বাংলাদেশ, ভুটান, ভারত ও নেপাল (বিবিআইএন) এবং বাংলাদেশ, চীন, ভারত ও মায়ানমারের মধ্যে অর্থনৈতিক করিডোর (বিসিআইএম-ইসি) অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, যোগাযোগ সংযোগের ফলে বিপুল সুযোগ সৃষ্টি হবে এবং জনগণের জীবন ও জীবিকার উন্নয়ন ঘটবে। আরো সক্ষমতা ও নতুন অংশীদারিত্বের জন্য আমাদের গুরুত্বের সঙ্গে সম্পদের অনুসন্ধান করা প্রয়োজন। ই-সেবায় বাংলাদেশের অগ্রগতি তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, অভিন্ন জাতীয় ই-পোর্টালের সঙ্গে যুক্ত দেশব্যাপী ৫ হাজার ৩শ’ ডিজিটাল সেন্টার এবং প্রায় ৪৩ হাজার সরকারি অফিস এই ই-পোর্টালের অধীনে ৪ দশমিক ৫ মিলিয়ন লোক ৭০ টিরও বেশী ই-সেবা গ্রহণ করছে।
প্রধানমন্ত্রী আশা প্রকাশ করেন, বিশেষ করে সংযোগ বিষয়ক আসেম ওয়ার্কিং গ্রুপ আরো বৃহত্তর ফলাফল নিয়ে আসবে। শেখ হাসিনা মঙ্গোলিয়ায় তাঁকে এবং বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলকে আন্তরিক আতিথেয়তা জানানোর প্রশংসা করে বলেন, দেশটির ঐতিহাসিক এই নগরী পূর্ব ও পশ্চিম, উত্তর ও দক্ষিণের মধ্যে আন্তঃসংযোগের এক নীরব স্বাক্ষী।   

পুরোনো সংবাদ

প্রধান খবর 5090916224100005534

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item