ঢাকার কল্যাণপুরে ৯জন জঙ্গি নিহত মধ্যে রায়হান কবিরের বাড়ি রংপুরে পীরগাছায়

হাজী মারুফ :

ঢাকার কল্যাণপুরে ৯জন জঙ্গি নিহত হবার ঘটনায় অপরিচিত ২ জনের মধ্যে একজনের পরিচয় নিশ্চিত হয়েছে। সে রংপুর জেলার পীরগাছা উপজেলার ৩ নং ইটাকুমারী ইউনিয়নের পশুয়া মৌজার টাঙ্গাইল পাড়া  গ্রামের শাহজাহান (বুদ্ধিহারা) কনিষ্ট পুত্র রায়হান কবির। সরেজমিনে এলাকা গিয়ে জানা যায় ইতিপূবে রংপুরের আলুটারীতে জাপানী নাগরিক হোসে কুনিও হত্যার মামলার ১ নং আসামী সোহেল রানার বাড়ির পাশে তার বাড়ি মায়ের নাম রাহেলা খাতুন। তারা ২ ভাই বোন ২ বোনের ইতিপূর্বে বিয়ে হয়েছে। এক বোন স্বামীসহ ঢাকায়  গার্মেন্সে কাজ করে। ঢাকায় এই বোনের বাসায় ছিলো তার বাবা মা দাবি করে। রায়হানের আপন চাচাত ভাই আব্দুল মান্নানের পুত্র মেহেদী হাসান প্রায় ১৪ বছর থেকে নিখোঁজ। এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায় এই মেহেদী অত্র এলাকায় জিএমবি আস্তানা গড়ে তোলে। তাদের বাড়ীর পাশে কুয়েত সরকারের অনুদানে নির্ম্মিত আহলে হাদিস মসজিদ এরা গভীর রাতে প্রশিক্ষন নিত। জাপানি নাগরিক হত্যা মামলার ২ নং আসামী ময়েজের পুত্র ইসাহাকের বাড়িও একই এলাকায়। ইসাহাকের বড় ভাই ইরাকে গিয়ে আইএস এ যুক্ত হয় এবং ইরাকি সেনাদের গুলিতে নিহত হয়। কাউনিয়া উপজেলার মধুপুরের চৈতার মোড়ে মাজারের খাদেম হত্যা মামলার এরা অন্যতম আসামী জানা যায়। মৃত রায়হান কবির  স্থানীয় দামুর চাকলা দেওয়ান সালেহ আহমদ দাখিল মাদ্রাসা ২০১৩ সালে দাখিল পাশ করে পরে দেউতি স্কুল এন্ড কলেজে ভর্তি হয়। পড়াশুনা অবস্থায় সে ঢাকায় চলে যায়। রায়হানের বড় ভাই মোঃ আব্দুর রাজ্জাক পরিবার পরিজন নিয়ে টাঙ্গাইল জেলার তাতেঁর মিলে চাকুরী করে বলে তারা জানায়। নাম প্রকাশ করার শর্তে এলাকাবাসী জানায় এই গ্রামে অনেকে অল্প বয়সি ছেলেরা জিএমবির সাথে জড়িত। উটাপাইক সরকারী প্রার্থমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক বিএমবি সংগঠিত হয় বলে জানা যায়। জঙ্গীবাদের কারণে গ্রেফতার হলেও বর্তমানে জামিনে রয়েছে।
দামুর চাকলা দেওয়ান সালেহ আহমদ দাখিল মাদরাসার সুপার গিয়াস উদ্দিন আশরাফী জানান, তার মাদরাসা থেকে ২০১৩ সালে রায়হান এ গ্রেড পেয়ে দাখিল পাশ করে। সে এলাকায় শাহীনুর ইসলাম নামে পরিচিত ছিল। তার পিতার নাম শাহজাহান আলী (বুদ্ধিহারা)।

পীরগাছা থানার ওসি আমিনুল ইসলাম জানান, জাপানি নাগরিক কোনিও হোসিও পল্লী চিকিৎসক রহমত আলী হত্যা মামলার চার্জশিটভুক্ত আসামী জেএমবি কমান্ডার মাসুদ রানার বাড়ির পাশেই রায়হানের বাড়ি। মাসুদ রানাই তাকে জেএমবিতে নিয়ে অস্ত্রের প্রশিক্ষণ দেয়।
রংপুর পুলিশের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার সাইফুর রহমান সাইফ জানান, ২০০৪ সালে সারাদেশে সিরিজ বোমা হামলার আগে জেএমবি প্রধান বাংলা ভাই এই ইউনিয়নের পশুয়া টাঙ্গাইল পাড়ায় আসে এবং ঈদের নামাজ পড়ে। তখন থেকেই এখানে জেএমবির শক্ত আস্তানা গড়ে ওঠে। তখন থেকেই মাসুদ রানা সামরিক কমান্ডার হন জেএমবির। তার নেতৃত্বে ওই এলাকায় জেএমবি শক্ত ঘাটি গড়ে তোলে। তিনি জানান, পশুয়া টাঙ্গাইল পাড়াটি পীরগাছা ও কাউনিয়া উপজেলার সীমান্তে রিমোর্ট এরিয়া। বাংলাভাইয়ের বাড়ি টাঙ্গাইল হওয়ার সুবাধে তিনি ওই এলাকায় এসে জেএমবির আস্তানা গড়ে তোলে। রংপুর পুলিশের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার সাইফুর রহমান সাইফ জানান ঢাকা থেকে আসা পুলিশের উদ্ধতন কর্মতার সাথে রংপুর ও পীরগাছা থানা পুলিশ পশুয়া টাঙ্গাই পাড়ায় যান। সেখানে গিয়ে নিহত জঙ্গি রায়ানুল কবিরের ছবি দেখালে তার মা রাহেলা বেগম পরিছয় নিশ্চত করেন। এই পুলিশ কর্মকর্তা আরও জানান পুুলিশ যাওয়ার পর থেকে তার পিতা শাহজাহান আলী পলাতক রয়েছে।

পুরোনো সংবাদ

রংপুর 3935326706356444553

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item