পাগলাপীরে লাহেড়ীরহাট শ্যামপুর সড়ক পরিদর্শন করলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার

হাবিবুর রহমান সেলিম,পাগলাপীর প্রতিনিধিঃ
অবলোকনে সংবাদ প্রকাশের ৩ মাস পর অবশেষে রংপুরের পাগলাপীরে লাহেড়ীর হাট শ্যামপুর বদরগঞ্জ পাগলাপীর সড়কের কার্পেটিং উঠে গর্তের সৃষ্টি হয়ে বেহাল ভগ্ন দশা সড়কটি পরিদর্শন করলেন সদর উপজেলার নির্বাহীর অফিসার মোঃ জিয়াউর রহমান। তিনি গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে সড়কটির জিরো পয়েন্ট পাগলাপীর বন্দরের বিশ্বরোড সংলগ্ন মেসার্স সুমন ইলেক্ট্রনিক্স দোকানের সামন হতে হাসি শিশু শিক্ষালয় পর্যন্ত ৫শ ফিট সড়কটির বিভিন্ন স্থানে কার্পেটিং পাথর খোয়া উঠে গর্তের সৃষ্টি হয়ে জলাশয় ডোবা পরিণত হওয়া ভগ্নদশা স্থানগুলো পরিদর্শন করেন। পরিদর্শন কালে এসময় তার সঙ্গে অন্যান্যদের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন অত্র পাগলাপীর হরিদেবপুর ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ ইকবাল হোসেন, এলজিইডি রংপুর ও সদর উপজেলার প্রকৌশলী সহ স্থানীয় সুধীবৃন্দ। পরিদর্শন কালে উপজেলা নির্বাহী অফিসার জিয়াউর রহমান স্থানীয় সুধীসহ সড়কে চলাচলরত ভুক্তভোগীদের উদ্যোশ্যে বলেন, সড়কটি যেহেতু এলজিইডির সেহেতু তাদের সঙ্গে আলাপ আলোচনা করে যতদ্রুত সম্ভব সড়কটি সংস্কারের কাজ পুনরায় শুরু হবে বলে তিনি আশ্বস্ত করেন। তবে ইউপি চেয়ারম্যান ইকবাল হোসেন উপজেলা নির্বাহী অফিসারের উদ্যোশ্য করে সড়কটি সংস্কারের বিষয়ে দাবী করে বলেন, ন্যুনতম উক্ত সড়কটি ১টি উচু করতে হবে এবং প্রায় ১ কিঃমিঃ উচু ব্রিজ পর্যন্ত পানি নিষ্কাশনের জন্য একটি ড্রেন নির্মান করতে হবে। অন্যথায় ড্রেন নির্মান না করিয়ে শুধুমাত্র সড়কটির ভগ্ন দশা গুলো সংস্কার করলে পুনরায় সড়ক বেহাল ভগ্নদশায় থাকবে বলে তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করেন। জানাগেছে পাগলাপীর লাহেড়ীর হাট শ্যামপুর বদরগঞ্জ সড়কের জিরো পয়েন্ট পাগলাপীর বন্দরের সুমন ইলেক্ট্রনিক্স দোকানের সামন হতে হাসি শিশু শিক্ষালয় পর্যন্ত সড়কটির বিভিন্ন স্থানে কার্পেটিং পাথর খোয়া উঠে গর্তের সৃষ্টি হয়ে জলাশয় ডোবায় পরিনত হওয়ায় সড়কে  যানবাহন চলাচল অযোগ্য হয়ে পড়ছে। তবুও প্রয়োজনের তাগিদে প্রতিনিয়ত বিভিন্ন যানবাহন জীবনের ঝুকি নিয়ে চলাচল করতে গিয়ে দুর্ঘটনা সহ নানা অপ্রতিকর ঘটনা শিকার হচ্ছেন। এই মর্মে গত ৭/৮ মাস পুর্বে প্রথম দফা সংবাদপত্রে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হলে ২০১৫ইং সালের ডিসেম্বর মাসে সদর উপজেলার চেয়ারম্যান , ইউপি চেয়ারম্যান ও উপজেলা প্রশাসন সহ এলজিইডি প্রকৌশলীগণ পরিদর্শন করে দরপত্র আহ্বান করেন। দরপত্রের আহ্বানের পরিপ্রেক্ষিতে চলতি ২০১৬ বছরের মার্চ মাসে সড়কটির সংস্কারের কাজ শুরু হয়। সংস্কারের কাজ কিছু দিন যেতে না যেতে লোকসানের ভয়ে বাস্তবায়নকারী ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান সড়কের সংস্কার কাজ বন্ধ করে দেন। ফলে এ নিয়ে  গত ৩/৪ মাস পূর্বে আরোও একটি প্রতিবেদন সংবাদপত্রে প্রকাশ হলে অবশেষে গতকাল ২৮ জুলাই সদর উপজেলার নির্বাহী অফিসার পরিদর্শনে এসে পুনরায় সড়কটির সংস্কারের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের আশ্বাস প্রদান করেন।

পুরোনো সংবাদ

রংপুর 4248927412024339405

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item