জাপানি নাগরিক কুনিও হত্যা মামলার চার্জশিট দাখিল
https://www.obolokon24.com/2016/07/kunio.html
হাজী মারুফ,রংপুর ব্যুরোঃ
জাপানি নাগরিক কুনিও হোসি হত্যা মামলার চার্জশিট দাখিল করা হয়েছে। এর সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে ৮ জেএমবি সদস্যের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দেয়া হয়েছে। রবিবার বিকেলে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলি আদালতের বিচারক কামরুজ্জামানের কাছে চার্জশিট দাখিল করেন কাউনিয়া থানার ওসি আব্দুল কাদের জিলানী। তাদের মধ্যে জেএমবি সদস্য মাসুদ রানা, এহসাক, লিখন ও আবু সাইদ কারাগারে এবং সদস্য সাদ্দাম হোসেন, আহসান উলাহ, নজরুল ইসলাম ও সাখাওয়াত হোসেন পলাতক রয়েছে। হত্যাকান্ডের ১০ মাস পর আসামীদের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করা হলো। এদিকে গ্রেপ্তারকৃত হুমায়ুন কবির হীরা, রাশেদুন নবী বিপ্লব, মেরিল সুমন, কাজল ভরসা ও ব্লাক রুবেলকে অব্যহতি দেয়া হয়েছে।গত বছরের ৩ অক্টোবর রংপুর নগরীর অদুরে কাউনিয়ার আলুটারিতে জাপানি নাগরিক কুনিও হোসিকে ৩ দুর্বৃত্ত মোটর সাইকেলে এসে গুলি করে হত্যা করে। হত্যার পর পরই কুনিওর ব্যবসায়িক পার্টনার হুমায়ুন কবির হিরাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তাকে ২ দফায় ১৫ দিন রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করে। পরে পুলিশ আরেকটি হত্যা মামলায় হিরাকে আবারও গ্রেপ্তার দেখিয়ে ১০ দিনের রিমান্ডে নেয়। অন্যদিকে এ মামলায় বিএনপি কেন্দ্রীয় নেতা হাবিবুন্নবী খান সোহেলের ছোট ভাই রাশেদুন্নবী খান বিপ্লবকে রংপুরের বাসা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাকেও ১০ দিনের রিমান্ডে নেয় পুলিশ। কিন্তু রিমান্ড শেষ হওয়ার আগেই বিপ্লবকে কারাগারে পাঠায় পুলিশ।
অপরদিকে গত ১২ নভেম্বর রংপুর মহানগর যুবদলের সদস্য রাজিব হাসান সুমন ওরফে মেরিল সুমন, যুবদলের সদস্য জুম্মাপাড়ার নওশাদ হোসেন রুবেল ওরফে কালা রুবেল এবং শালবন এলাকার কাজল চন্দ্র বর্মণ ওরফে ভরসাকে র্যাব সদস্যরা চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে গ্রেপ্তার করে। তাদের কুনিও হত্যার আসামী দেখিয়ে রিমান্ডে নেয়া হয় এবং রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠানো হয়। পরে রংপুরের পীরগাছা থেকে জেএমবির সামরিক শাখার নেতা মাসুদ রানাকে গ্রেপ্তার করা হয়। আদালতে গত বছরের ৭ ডিসেম্বর ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়ে কুনিও হত্যাকান্ডের বিস্তারিত বর্ণনাও দেন মাসুদ রানা। মাসুদ রানা কিভাবে কুনিওকে হত্যা করেছে, কারা কারা তার সাথে ছিল, হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত মোটরসাইকেল কারা সরবরাহ করেছে এসব তথ্য তিনি জবানবন্দিতে জানান।
জবানবন্দিতে রানা জানান, তিনি নিজেই কুনিওকে গুলি করে হত্যা করেন। তার সঙ্গে এসাহাকসহ আরও একজন ছিলো। কাউনিয়া থানার ওসি মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা আব্দুল কাদের জিলানী জানান, তদন্ত শেষে তিনি নিজেই কাউনিয়া সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যজিস্ট্রেট আদালতে ৮ জেএমবি সদস্যের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেছেন। মামলার অপর আসামীদের এ অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।