কল্যাণপুরের অষ্টম জঙ্গি গুলশানের প্রশিক্ষক রায়হান: পুলিশ
https://www.obolokon24.com/2016/07/jmb_46.html
ডেস্কঃ
রাজধানীর কল্যাণপুরে জঙ্গি আস্তানায় নিহত নয়জনের মধ্যে অষ্টম জঙ্গির পরিচয় পাওয়ার কথা জানিয়েছে পুলিশ।ঢাকা মহানগর পুলিশের কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের প্রধান মনিরুল ইসলাম বৃহস্পতিবার এক সংবাদ ব্রিফিং জানান, রায়হান কবির ওরফে তারেক নামের ওই তরুণ নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন জেএমবির ঢাকা অঞ্চলের সমন্বয়েকের দায়িত্ব পালন করছিলেন। গুলশান হামলায় অংশ নেওয়া জঙ্গিদের গাইবান্ধার চরে প্রশিক্ষণ দেন তিনি।আশুলিয়ায় পুলিশ চেকপোস্টে তল্লাশির সময় ছুরিকাঘাতে কনস্টেবল হত্যার ঘটনাতেও রংপুরের পীরগাছার শাহজাহান কবিরের ছেলে রায়হান জড়িত ছিলেন বলে পুলিশের ভাষ্য।কল্যাণপুরের ৫ নম্বর সড়কে তাজ মঞ্জিল নামের ছয় তলা একটি ভবনের পঞ্চম তলায় অভিযানে গিয়ে সোমবার রাতে হামলার মুখে পড়েন পুলিশ সদস্যরা। পরে মঙ্গলবার ভোরে সেখানে সোয়াটের বিশেষ অভিযানে নিহত হন সন্দেহভাজন নয় জঙ্গি।“রায়হান কবিরের ছদ্মনাম তারেক। সে আশুলিয়ার বারুইপাড়ায় পুলিশের ওপর হামলায় জড়িত ছিল এবং পুলিশের খাতায় তার নাম লেখা ছিল তারেক বলে। তাকে পুলিশ খুঁজছিল।”গত বছর ৪ নভেম্বর আশুলিয়ার বারুইপাড়া এলাকার একটি পুলিশ চেকপোস্টে তল্লাশির সময় ছুরিকাঘাতে এক কনস্টেবলকে হত্যা ও চারজনকে জখম করে জঙ্গিরা।ব্রিফিংয়ে মনিরুল বলেন, “রায়হান কবির গুলশান হামলাকারীদেরও প্রশিক্ষক ছিল। তাকে আমরা তারেক নামে চিনতাম। গুলশানে হামলার আগে গাইবান্ধার সাদুল্লাপুরের একটি চরে সাতজনকে ট্রেনিং দেওয়া হয়েছিল, যাদের মধ্যে গুলশান হামলাকারীরাও ছিল। তাদের দুই প্রশিক্ষকের একজন ছিল রায়হান ওরফে তারেক।”১ জুলাই গুলশানের হলি আর্টিজান বেকারিতে হামলা চালিয়ে ১৭ বিদেশিসহ ২০ জনকে হত্যা করে জঙ্গিরা। পরে সামরিক বাহিনীর অভিযানে নিহত হয় পাঁচ জঙ্গিসহ ছয়জন।ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার মনিরুলের দাবি এ বছরের প্রথম দিকে জেএমবির কয়েকজন সংগঠক পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে মারা যাওয়ার পর সংগঠনটির ঢাকা অঞ্চলের সমন্বয়কের দায়িত্ব পালন করছিলেন রায়হান ওরফে তারেক।