নীলফামারীতে ডিবি পুলিশের হাতে দুই সক্রিয় জঙ্গি সদস্য গ্রেফতার
https://www.obolokon24.com/2016/07/jmb_24.html
বিশেষ প্রতিনিধি ২৪ জুলাই॥
হত্যা মিশনের সাথে জড়িত এমন দুই জঙ্গি সদস্যকে নীলফামারী গোয়েন্দা (ডিবি)পুলিশ গ্রেফতার করেছে। এরা হলো দিনাজপুরের খানসামা উপজেলার ছাতিয়াগড় গ্রামের মৃত ইছাহাক আলীর ছেলে একরামুল হক (৫০) ও পঞ্চগড় জেলার দেবীগঞ্জ উপজেলার খুটামারা গ্রামের মৃত নুর আলম প্রধানের ছেলে নুর মোঃ আরেফিন(২৭)। শনিবার রাতে পৃথক অভিযান চালিয়ে এদের গ্রেফতার হয় । এদের মধ্যে একরামুলকে খানসামার কাজীরহাট বাজার হতে ও নুর মোঃ আরেফিনকে দেবীগঞ্জ বাজার থেকে গ্রেফতার করা হয় বলে জানায় নীলফামারী গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের ওসি বাবুল আক্তার।
সুত্র মতে এরা জঙ্গি গোষ্ঠির হত্যা ও হামলা মিশনের সক্রিয় সদস্য। আজ রবিবার বিকালে এদের নীলফামারী চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তি জবানবন্দীর জন্য পাঠানো হয়।
সুত্র মতে গত বছর (২০১৫) ২৩ অক্টোবর রাতে নীলফামারীর সৈয়দপুরে আশুরা উপলক্ষে প্রতিকী কারবালার তাজির মিছিলে বোমা হামলার চেষ্টা করেছিল জঙ্গিরা। কিন্তু আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সক্রিয় থাকায় তাদের সেই মিশন ব্যর্থ হয়। এরপর একই বছরের ১২ নবেম্বর নীলফামারীর সৈয়দপুর উপজেলায় হাতিখানা স্মরণীয় কারবালার খোলা মাঠে মাগরিবের সময় একাই নামাজ আদায় করছিল খাদেম হাসনাইন মাষ্টার(৬০) । তাকে ধারালো তরবারি দিয়ে নামাজের সেজদার সময় ঘাড়ে কুপিয়ে হত্যার চেষ্টার করে পালিয়ে যায় হামলাকারীরা। ফলে তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়েন এবং ফিনকি দিয়ে রক্ত ঝরতে থাকে। আশংকাজনক অবস্থায় এলাকাবাসী ও দমকল বাহিনী ঘটনাস্থলে ছুটে গিয়ে তাকে প্রথমে সৈয়দপুর হাসপাতালে পরে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানাতরিত করা হয়। ওই খাদেম সৈয়দপুর শহরের গোলাহাট রেলওয়ে কলোনী এলাকর মৃত গোলাম রসূলের ছেলে। দীর্ঘ চিকিৎসার পর তিনি বেঁচে যান। ওই ঘটনার সাথে গ্রেফতারকৃত এই জঙ্গি সদস্যদের যোগসুত্র রয়েছে বলে পুলিশ জানায়। এ ঘটনায় সৈয়দপুর থানায় মামলা হয়। মামলাটি ডিবি পুলিশ তদন্ত করছিল। তদন্তে ঘটনাটি জঙ্গিদের দাঁড়া সংগঠিত হয়েছিল বলে বেড়িয়ে আসে। এ ছাড়া গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে সৈয়দপুর থানায় সন্ত্রাস দমন ধারায় আরো একটি মামলা দায়ের করেছে সৈয়দপুর থানার এসআই নজরুল ইসলাম।