অভিযোগের তীর প্রধান শিক্ষকদের বিরুদ্ধে,জলঢাকায় ব্যাপক অনিয়ম -অভিযোগের মধ্যে শেষ হল উপবৃত্তির টাকা বিতরন

(ছবি:এভাবেই কখনো স্কুল কক্ষ, কখনো মাঠে উপবৃত্তির টাকা নিয়ে ঘুরছেন শৌলমারী কৈবতপাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক ঊর্মি রহমান)
মর্তুজা ইসলাম,জলঢাকা(নীলফামারী) প্রতিনিধি:
নীলফামারীর জলঢাকায় ব্যাপক অনিয়ম-অভিযোগের মাঝে আজ মঙ্গলবার শেষ হল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের উপবৃত্তির টাকা বিতরন। অনুপস্থিত শিক্ষার্থীদের উপস্থিত দেখিয়ে, দুই কিস্তির টাকা না দিয়ে এক কিস্তির টাকা শিক্ষার্থীদের দিয়ে বিপুল পরিমান টাকা হাতিয়ে নিয়েছে স্ব-স্ব প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষকসহ ব্যাংক কর্মকর্তারা এমন অভিযোগ উঠেছে। এদিকে কিছু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষকদের বিরুদ্ধে  উপবৃত্তির টাকা প্রদানে অনিয়মের অভিযোগ এনে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন দায়িত্বরত সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তারা।

  কিছু প্রতিষ্ঠান প্রধানের বিরুদ্ধে লোক দেখানো তদন্ত হলেও বাকী প্রতিষ্ঠান প্রধানগন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের ম্যানেজ করে রয়েছেন ধরা-ছোয়ার বাইরে। অভিযোগ করছেন শিক্ষার্থীসহ অভিভাবকরা। উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা যায়, ২৩৮ টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে ২০৩টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৫ কোটি ৫৪লাখ ৮০হাজার ২শ টাকা বিতরন করা হয়।  সরেজমিন  উপজেলার সিংড়িয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ও কালিরডাঙ্গা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় উপবৃত্তি বিতরন কেন্দ্র ঘুরে দেখা যায় এমন অনিয়মের চিত্র। কেন্দ্রটিগুলিতে শিক্ষার্থীসহ অভিভাবকেরা অভিযোগ করেন, শিক্ষার্থীদের টাকা কম দেওয়াসহ অফিসের কথা বলে নাস্তা খাওয়ার টাকা কেটে নেওয়া হচ্ছে এখানে।শিক্ষার্থীর অভিভাবক  আমেনা বেগম, নুরনাহার বেগম, নিভা রানী ও রুস্তম আলী জানান, এখানে শিক্ষার্থীদের দুই কিস্তির টাকার বিপরীতে এক কিস্তির টাকা বিতরন করা হচ্ছে সেখানেও কম দিচ্ছেন প্রধান শিক্ষকসহ সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের দায়িত্বরত কর্মকর্তারা। সেখানে দায়িত্বরত সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা শেখ মোশফেকুর রহমানকে অভিযোগ করেন চতুর্থ শ্রেনীর ছাত্রী দিপা রানী। ছাত্রীটি জানায়, আমি দুই কিস্তির ১২০০  টাকা পাবো, সেখানে আমাকে এক কিস্তির ৬০০টাকা দেওয়া  হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা উপস্থিত সংবাদকর্মীদের নিয়ে ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষক মেঘনাদ রায়ের নিকট টাকা কম দেওয়ার বিষয়টি জানতে চাইলে কোন উত্তর না দিয়ে তড়িঘড়ি করে বাকী ৬০০ টাকা ফেরত দেন। এমন চিত্র উপজেলার ১১টি ইউনিয়নের প্রতিটি উপবৃত্তি বিতরন কেন্দ্রের। এ বিষয়ে কথা হলে সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা শেখ মোশফেকুর রহমান বলেন,'এক সাথে অনেকগুলো উপবৃত্তির টাকা বিতরন কেন্দ্র হওয়ায়  এমন অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।  ' তিনি আরও জানান একদিনে একটি করে কেন্দ্রে টাকা বিতরন করলে অনিয়মের মাত্রা অনেকাংশে কমে যাবে।  এবিষয়ে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো: শাহাজাহান জানান,' শিক্ষকদের বিরুদ্ধে কয়েকটি অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। '

পুরোনো সংবাদ

শিক্ষা-শিক্ষাঙ্গন 2116869665903280286

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item