গুলসানের ঘটনায় ভারত সীমান্ত জুড়ে নজরদারি বৃদ্ধি
https://www.obolokon24.com/2016/07/gulshan_4.html
বিশেষ প্রতিনিধি,৪ জুলাই॥
রাজধানী ঢাকার গুলশানের হলি আর্টিজান বেকারি রেস্তোরাঁয় জঙ্গি হামলার ঘটনা ও জঙ্গি মোকাবিলায় উত্তরাঞ্চলের নীলফামারীর ৫১ কিলেমিটার সহ অন্যান্য ২ হাজার ২১৬ কিলোমিটার ভারত সীমান্তের ফাঁকফোকর গলে জঙ্গি-প্রবেশ আটকাতে ভারতের পক্ষে কঠোরভাবে নজরদারি বৃদ্ধির খবর পাওয়া গেছে। সেই সাথে সীমান্ত জুড়ে টহল জোরদার করা হয়েছে। সীমান্তে নজরদারিতে মহিলা জওয়ানদেরও নামানো হয়েছে । এ ছাড়া সীমান্ত লাগোয়া গাড়িগুলিতেও তল্লাশি চালাচ্ছে বিএসএফ ও বিজিবি।
নীলফামারীর ডোমার চিলাহাটি,ডিমলা উপজেলার ঠাকুরগঞ্জ,তিস্তা নদীর ভারত সীমান্ত এলাকায় ভারতীয় সীমান্ত রক্ষীদের কড়া পাহাড়ার খবর দিয়েছে এলাকাবাসী। এদিকে ভারতের ন্যায় বাংলাদেশের অংশের সীমান্তেও বিজিবি কড়া পাহাড়া সহ নজরদারি বৃদ্ধি করেছে।
সুত্র মতে ঢাকার গুলশনে জঙ্গি হামলার জেরে ব্যাপক ধরপাকড় শুরু হয়েছে বাংলাদেশে। ফলে নিজেদের রক্ষার্থে চোরাপথে অবৈধভাবে সীমান্ত পেরিয়ে পশ্চিমবঙ্গে ঢোকার চেষ্টা করে করেত পারে জঙ্গিরা। এ কারনে ভারতের সীমান্ত জুড়ে বিএসএফ এর টহল জোড়দার সহ নজরদারি বৃদ্ধি করেছে।
একটি সুত্র বলছে জঙ্গীরা উত্তরের নীলফামারী সংলগ্ন লালমনিরহাট জেলার বুড়িমারী স্থলবন্দরকে বেশী ব্যবহার করে থাকে। এই পথে বেশ কিছু চিহিৃশ দালাল রয়েছে। তারা মোটা অর্থের বিনিময়ে অবৈধ ভাবে সীমান্ত পার করে দেয় মানুষকে। অভিযোগ রয়েছে এই পথে অবৈধভাবে ভারতে অনুপ্রবেশ করে কোচবিহারেই অধিকাংশ অপরাধী বা জামাত সদস্যরা লুকিয়ে আছে । ফলে স্বভাবতই সতর্ক করা হচ্ছে। এ ছাড়া বাংলাদেশের সাথে ভারতের ২ হাজার ২১৬ কিলোমিটার সীমান্তের ফাঁকফোকর গলে জঙ্গি-প্রবেশ আটকাতে ভারতের পক্ষে কঠোর নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে। দীর্ঘ সীমান্ত পথে জঙ্গি কিংবা জামায়াত বা শিবির সদস্যদের অনুপ্রবেশ আটকাতে বিশেষ ব্যবস্থায় প্রশাসনের পাশাপাশি জনপ্রতিনিধি এবং গ্রামবাসীদের কাছেও সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে। এ ছাড়া সীমান্তের জেলাগুলিতে অচেনা, সন্দেহভাজন লোক দেখলেই প্রশাসনকে খবর দিতে বলা হয়েছে।
এদিকে ভারতেরপক্ষে সীমান্ত সিল করার চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে। আগামী ৬ জুলাই একই দিনে ইদ ও রথযাত্রা। তাই এখন প্রশাসনকে অতি-সতর্ক থাকার নির্দেশ দিয়েছেন দেয়া হয়েছে। বাংলাদেশের সীমান্ত রক্ষী বাহিনী বিজিবির এক কর্মকর্তা বলেন ভারতের ন্যায় বাংলাদেশের অংশের সীমান্তে বিজিবি কড়া নজরদারি সহ টহল বৃদ্ধি করেছে। এ এলাকার পঞ্চগড়,ঠাকুরগাঁও,দিনাজপুর,কুড়িগ্রাম ও নীলফামারীর জেলা প্রশাসন,পুলিশ প্রশাসন, বিজিবি এ বিষয়ে সর্তকাবস্থা গ্রহন করেছে বলে জানানো হয।