স্ত্রীকে গাছে বেঁধে নির্যাতন, স্বামী-ভাসুর আটক
https://www.obolokon24.com/2016/07/gaibandha.html
গাইবান্ধা:
গাইবান্ধার সদর উপজেলার মধ্য ফলিয়া গ্রামে ২০ হাজার টাকা যৌতুকের দাবিতে আতিয়া বেগম (২৪) নামে এক গৃহবধূকে গাছে বেঁধে নির্যাতনের অভিযোগে স্বামী ফারুক হোসেন (৩৮) ও ভাসুর জাহিদুল ইসলামকে (৪৪) আটক করেছে পুলিশ।সোমবার (১১ জুলাই) ভোরে তাদের আটক করা হয়। এ ঘটনায় নির্যাতিত আতিয়া বেগম বাদী হয়ে রোববার রাতে গাইবান্ধা সদর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করেছেন।প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয়রা জানান, জেলার সদর উপজেলার মধ্য ফলিয়া গ্রামের বাসিন্দা আতিকুল্লাহ সরকারের মেয়ে আতিয়া বেগমের সঙ্গে ১০ বছর আগে একই গ্রামের মোজা মিস্ত্রির ছেলে ফারুক হোসেনের বিয়ে হয়। বিয়ের সময় আতিয়ার বাবা তার মেয়ের সুখের কথা ভেবে যৌতুক হিসেবে ফারুককে ৮০ হাজার টাকা দেন। বাকি থাকে আরও ২০ হাজার টাকা। এই ২০ হাজার জন্য ফারুকের সঙ্গে আতিয়ার মনোমালিন্য চলে আসছিল।শনিবার বিকেলে ময়না তার বাবার বাড়ি থেকে শ্বশুরবাড়ি এলে ফারুকসহ তার পরিবারের লোকজন জানতে চান, যৌতুকের টাকা নিয়ে এসেছে কিনা। আতিয়া টাকা নিয়ে আসে নাই জানালে ফারুক ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন। এসময় তার দেবর সঞ্জু, সুমন, আব্দুর রশিদসহ বাড়ির লোকজন তাকে ধরে টেনে হেঁচড়ে প্রকাশ্যে বাড়ির পাশে নিয়ে গাছের সঙ্গে বেঁধে বেদম মারধর শুরু করেন। এতে আতিয়া অসুস্থ হয়ে পড়লে শনিবার রাতে নব নির্বাচিত ইউপি মেম্বর বাচ্চু মিয়া লোকজন নিয়ে তাকে উদ্ধার করে গাইবান্ধা আধুনিক সদর হাসপাতালে ভর্তি করান।সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) একেএম মেহেদী হাসান জানান, যৌতুকের দাবিতে দিন-দুপুরে গাছে বেঁধে আতিয়াকে নির্যাতনের অভিযোগ পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে অভিযান চালিয়ে তার স্বামী ও ভাসুরকে আটক করা হয়।ওসি আরো জানান, এ ঘটনায় থানায় একটি মামলা দায়ের হয়েছে। আটক দুইজনকে আদালতের মাধ্যমে গাইবান্ধা জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।