ডিমলায় রফাদফায় লাশ দাফন
https://www.obolokon24.com/2016/07/dimla_90.html
বিশেষ প্রতিনিধি ২৭ জুলাই॥
সালেহা বেগম (১৪) নামের এক শিশু গৃহবধুর নির্যাতনে মৃত্যুর ঘটনার অভিযোগ উঠেছে। সেই সাথে ২১ হাজার টাকায় রফাদফা করে লাশ দাফন করা হয়। নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার পল্লীতে মঙ্গলবার রাতের এই ঘটনায় আজ বুধবার দুপুর ১২টায় সালেয়ার লাশ দাফন করা হয়েছে।অভিযোগে জানা যায়, উপজেলার গয়াবাড়ী ইউনিয়নের কলেজপাড়া গ্রামের আকবর আলীর মেয়ে সালেহা বেগম (১৪)। তার সাথে একই উপজেলা নাউতরা ইউনিয়নের আকাশকুড়ি (গোদার বাজার) গ্রামের নইজার উদ্দিনের ছেলে জসিম উদ্দিন (২০) ১ বছর আগে বিয়ে হয়। তারা স্বামী স্ত্রী দুইজনেই ঢাকায় তৈরী পোষাক কারখানায় শ্রমিকের কাজ করতো। নেই চাকুরী ছেড়ে তারা বাড়ি ফিরে আসে।
সুত্র মতে বিয়ের সময় যৌতুক হিসাবে ছেলে পক্ষকে মেয়ের বাবা ৪০ হাজার টাকা প্রদান করে। কিন্তু ছেলে পক্ষের দাবি ছিল ৫০ হাজার টাকা। যৌতুকের সেই বাকী ১০ হাজার টাকার জন্য মঙ্গলবার (২৬ জুলাই) সকালে স্বামীর বাড়ীর লোকজন ছালেহাকে টাকা জন্য শারিরিক নির্যাতন চালালে সালেহা বাড়ীর উঠানে জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। তাকে এলাকার লোকজন উদ্ধার করে ডিমলা উপজেলা হাসপাতালের ভর্তি করে। কিন্তু সালেহার অবস্থা আশঙ্কাজন হলে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রংপুর হাসপাতালে হস্তান্তর করা হয়। রংপুর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মঙ্গলবার সন্ধ্যায় মারা যায়। রাতেই রংপুর থেকে সালেহার মরদেহ গ্রামে নিয়ে আসে স্বামীর বাড়ির লোকজন। এ সময় এলাকাবাসী সালেহার স্বামী জসিম উদ্দিন ও শ্বশুড় নইজার উদ্দিনকে আটক করে।
সালেহার মা হামিদা বেগম সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করে বলেন, যৌতুকের ১০ হাজার টাকার জন্য নির্যাতনের তার মেয়ের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়লে রাতে গয়াবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদে ইউপি চেয়ারম্যান শরীফ ইবনে ফয়সাল মুন ও নাউতরা ইউপি চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম লেলিন উভয় পরিবারের মধ্যে ২১ হাজার টাকায় হাজার টাকায় আপোষ মিমাংসা করে দেয়। এ ব্যাপারে নাউতরা ইউপি চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম লেলিন সাংবাদিকদের বলেন বিচার সালিশে দেখা যায় সালেহা শারিরিকভাবে অসুস্থ্য ছিল। তাকে কোন নির্যাতন করা হয়নি। ফলে উভয় পরিবার আপোষ মিমাংসা করে ২১ হাজার টাকা মেয়ের বাবাকে দিয়ে ঘটনা নিস্পক্তি করেছে।
এদিকে খোঁজ নিয়ে জানা যায় পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলেও ডিমলা থানায় এ ঘটনায় কেউ লিখিত অভিযোগ না দেয়ায় পুলিশ কোন পদক্ষেপ গ্রহন করতে পারেনি।