তিস্তায় ভাঙ্গনে সর্বসান্ত ৫শতাধিক পরিবার বাধে ॥ ত্রান বিতরন

জাহাঙ্গীর আলম রেজা,ডিমলা(নীলফামারী)প্রতিনিধিঃ

তিস্তার পানি বিপদসীমার নিচে নেমে আসলে তিস্তার ভাঙ্গনে কয়েকশত পরিবার মানবেতর জীবন জাপন করছে। শুক্রবার টেপাখড়িবাড়ী ইউনিয়নের চরখড়িবাড়ী গ্রামের আরও ৪০টি পবিরার বসতভিটা বিলিন হওয়ায় বাধে আশ্রয় নিয়েছে। সরকারীভাবে বিভিন্ন  উপকরন বিতরন করা হলেও প্রয়োজনের তুলনায় তা অপ্রতুল। তিস্তা বন্যা ও ভাঙ্গনের খেলায় নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার তিস্তা অববাহিকার চর ও চরগ্রাম গুলো একে একে লন্ডভন্ড হয়ে যাচ্ছে। প্রতিদিন ভাঙ্গনের শিকার হচ্ছে অসংখ্য পরিবার বতসভিটা। জমি জিরাত সব হারিয়ে ওই সব পরিবার গুলো আশ্রয় নিয়েছে তিস্তা নদীর বিভিন্ন বাঁধ ও উঁচু স্থানে।
টেপাখড়িবাড়ী ইউনিয়নের জিঞ্জির আলীর নামে টেপাখড়িবাড়ীর জিঞ্জিরপাড়া গ্রামটি হয়েছিল সেই পরিবারটি বর্তমানে সহায় সম্বহীন হয়ে তিস্তার বাধে আশ্রয়
শুক্রবার সকালে পুর্ব ছাতনাই ইউনিয়নের ৭শ ২০জনকে ১০ কেজি করে চাল ও ১৪জনকে ৫শ করে টাকা বিতরন করা হয়েছে। এ সময় পুর্ব ছাতনাই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান প্রভাষক আব্দুল লতিফ খান, মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আহসান হাবিব উপস্থিত ছিলেন। বিকালে উপজেলা প্রশাসন ও ত্রান মন্ত্রনালয়ের উদ্দ্যেগে তিস্তার পাড়ের ২০৪টি পরিবারের মাঝে শুকনা খাবারের প্যাকেজ বিতরন করা হয়। এসব খাবারের মধ্যে রয়েছে ৫কেজি চাল, মশুর ডাল,লবন, সোয়াবিন তেল, মুড়ি চিড়া, চিনি ১ কেজি করে, দিয়াসালাই ১ বান্ডিল ও মোমবাতি ১ বান্ডিল। শুক্রবার রাতে এসব ত্রান বিতরনের উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক জাকীর হোসেন। বিকালে প্যাকেজ ত্রান বিতরন করেন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট আনোয়ার ঈমাম। এ সময় ডিমলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রেজাউল করিম, সহকারী কমিশনার ভুমি মিল্টন চন্দ্র রায়, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা নায়েমা তাবাচ্ছুম শাহ উপস্থিত ছিলেন। এ ছারা ব্্র্যাকের উদ্দ্যেগে ৪শ পরিবারের মাঝে ৫কেজি চাল ও  ১লিটার সোয়াবিন তেল, জরুরী ঔষধ বিতরন করা হয়। এ সময় ব্্র্যাকের আঞ্চলিক ব্যবস্থাপক বিদ্যুত কুমার শাহা, জেলা প্রতিনিধি রইজ উদ্দিন, এরিয়া ম্যানেজার লিয়াকত হোসেন, শাখা ব্যবস্থাপক আবু বক্কর সিদ্দিক, রেজাউল করিম, তন্ময় কুমার রায়, কামাল উদ্দিন, কামরুল ইসলাম মাছুম উপস্থিত ছিলেন।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তায়ন কর্মকর্তা নায়েমা তাবাচ্ছুম শাহ বলেন, বৃহস্পতিবার পর্যন্ত তিস্তার ক্যাঞ্জার বাধে (কলম্বিয়া) ১৫০টি পরিবার, তেলির বাজার সংলগ্ন বাধে ২৫টি পরিবার, সিলট্রাপের বাধে ৩৫টি পরিবার, লালমনিরহাট জেলার হাতিবান্ধা উপজেলার সানিয়াজন বাধে ৪০টি ও যৌথ বাধে ১০৪টি পবিবার আশ্রয় নিয়েছে। নতুন করে যে সব পরিবার আসবে তাদের তালিকা তৈরি করা হচ্ছে।

পুরোনো সংবাদ

নীলফামারী 2920990152094427077

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item