সন্ত্রাসবাদ দমন চুক্তি দ্রুত বাস্তবায়নে ঢাকা-দিল্লী সম্মত

ডেস্কঃ
সন্ত্রাসবাদ ও পরিকল্পিত অপরাধ দমনে যৌথভাবে মোকাবেলার জন্য বিদ্যমান চুক্তি অনুযায়ী দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণে ঢাকা ও নয়াদিল্লী সম্মত হয়েছে। বাংলাদেশের পরিস্থিতির প্রেক্ষাপটে এ উদ্যোগ নেয়া হয়েছে বলে ভারতীয় হাইকমিশনের পাঠানো এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে। আগের দিন রাতে ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লীতে বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান ও ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের মধ্যে অনুষ্ঠিত বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়। প্রতিনিধিদল পর্যায়ে বৈঠকের একদিন পরে ভারতীয় হাইকমিশনের দেয়া এই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সন্ত্রাসবাদ এবং পরিকল্পিত অপরাধ ও অবৈধ মাদক পাচারের বিরুদ্ধে সম্পাদিত চুক্তির দ্রুত বাস্তবায়নের প্রয়োজনীয়তার ব্যাপারে বৈঠকে দুই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সম্মত হয়েছেন। এতে বলা হয়, বাংলাদেশে পর পর দুটি সন্ত্রাসী হামলার প্রেক্ষিতে এ ধরনের সন্ত্রাসী কার্যক্রমের বিরুদ্ধে দুই মন্ত্রী তাদের নিরাপত্তা ও তদন্ত সংস্থার মধ্যে চলমান সহযোগিতা আরো বাড়াতে সম্মত হন।
বিবৃতিতে বলা হয়, প্রশিক্ষণ, সক্ষমতা বৃদ্ধি ও তথ্য আদান-প্রদান এসব কার্যক্রমের মাধ্যমে দুই দেশের নিরাপত্তা ও তদন্ত সংস্থাগুলোর মধ্যে চলমান সহযোগিতা আরো জোরদারে উভয় পক্ষ সম্মত হয়েছে। এতে বলা হয়, সন্ত্রাসবাদকে পরাস্ত করতে ২৪ ঘন্টা সন্ত্রাসবিরোধী যৌথ সতর্ক প্রহরা জোরদার প্রচেষ্টার প্রস্তাব দিয়ে রাজনাথ সিং বলেছেন, দুই দেশের শান্তি, নিরাপত্তা ও সমৃদ্ধি নিশ্চিত এবং সন্ত্রাসবাদকে পরাজিত করতে দুই দেশকে সার্বিক সতর্ক প্রহরা এবং স্থানান্তর প্রক্রিয়া চালাতে হবে। বিবৃতিতে বলা হয়, চলতি মাসে ঢাকায় ভয়ংকর সন্ত্রাসী হামলার নিন্দা এবং এ ঘটনায় নিহতদের প্রতি সভায় শোক প্রকাশ করে রাজনাথ সিং সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে বাংলাদেশকে ভারতের সমর্থন ও সহযোগিতার আশ্বাস দেন।
বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় গতরাতে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলেছে, জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে ঢাকার দৃঢ় অবস্থানকে সমর্থন করে সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে বাংলাদেশকে সব ধরনের সহযোগিতা দেয়ার ব্যাপারে ভারত তাদের প্রস্তুতির কথা পুনর্ব্যক্ত করেছে। এরই প্রেক্ষিতে ভারতীয় হাইকমিশন এই বিবৃতি দেয়। এতে বলা হয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের অবস্থানের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন রাজনাথ সিং। বৈঠকে ফেরারি ব্যক্তিদের প্রত্যার্পণ সহজ করতে ২০১৩’-এর বহির্গমন চুক্তিতে একটি বিধান সংযোজনে উভয় পক্ষ সম্মত হয়।
বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় অপর এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, প্রক্রিয়া সহজ করার জন্য ভারতের উদ্যোগের প্রশংসা করেন এবং বর্তমানে ভ্রমণকারীরা যে বন্দর দিয়ে ভারতে প্রবেশ করে সেই বন্দর দিয়ে ফেরত আসার বিধান সংশোধনে ভারতীয় কর্তৃপক্ষের প্রতি অনুরোধ জানান বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি সিনিয়র বাংলাদেশী নাগরিক এবং ১৯৭১ সালের মুক্তিযোদ্ধাদের দীর্ঘমেয়াদী ভিসা প্রদানের জন্য ভারতের প্রতি অনুরোধ জানান। বৈঠকে ভারত এ বিষয়টি বিবেচনার আশ্বাস দিয়েছে।
নয়াদিল্লীতে বাংলাদেশের হাইকমিশনার সৈয়দ মোয়াজ্জেম আলী, সিনিয়র স্বরাষ্ট্র সচিব মোজাম্মেল হক খান, আইজিপি এ কে এম শহীদুল হক, বিজিবি’র মহাপরিচালক আজিজ আহমেদ, কোস্টগার্ডের মহাপরিচালক রিয়ার এডমিরাল আওরঙ্গজেব চৌধুরী এবং সংশ্লিষ্ট অন্যান্য কর্মকর্তা বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলে অন্তর্ভুক্ত ছিলেন। ভারতীয় পক্ষে অন্তর্ভুক্ত ছিলেন- ভারতের স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী হংসরাজ গঙ্গারাম আহির ও কিরেন রিজ্জু, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভাল, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র সচিব রাজীব মেহরিশ।

পুরোনো সংবাদ

প্রধান খবর 3818553153084602373

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item