টিসিবির পণ্য পাচ্ছেন না সৈয়দপুরের ডিলাররা

মো. জহুরুল ইসলাম খোকন, সৈয়দপুর (নীলফামারী) প্রতিনিধি

রমজানের ৮ রোজা পেরিয়ে গেলেও ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) পণ্য পাচ্ছেন না সৈয়দপুরের ডিলাররা। দোকানীরা বিপুল মুনাফা পেতে মরিয়া হয়ে উঠেছেন। এ কারণে অসহায় হয়ে পড়েছেন সাধারণ ক্রেতারা।
ক্রেতারা বলছেন, বাণিজ্যিক শহর সৈয়দপুরে পণ্যের পর্যাপ্ত মওজুদ রয়েছে। কিন্তু মূল্য কমানোর লক্ষণই নেই। ফুটপাতের ইফতারি থেকে শুরু করে নিত্যপণ্যের মূল্য দ্বিগুন বেড়ে যাওয়ায় সকল স্তরের মানুষই বিপদে পড়েছেন। রমজানের আগে চিনির মূল্য ছিল ৪৬ টাকা কিন্তু বর্তমানে নেয়া হচ্ছে ৬৫ টাকা কেজি। মাছ ও মাংসের মূল্য চলে গেছে নাগালের বাইরে। গরুর মাংস ৩২০ টাকার স্থলে নেয়া হচ্ছে ৪০০ টাকায়। দেশী মুরগি ৩৭০ থেকে ৩৯০ টাকা, সোনালী মুরগী ২৪০ ও ব্রয়লার মুরগির মূল্য নেয়া হচ্ছে ১৭০ টাকা কেজি দরে। রুই, কাতলা ও তেলাপিয়া মাছের মূল্য নেয়া হচ্ছে অস্বাভাবিক।
গতকাল মঙ্লবার শহরের বেশ কটি বাজার ঘুরে দেখা গেছে অস্ট্রেলিয়ার ছোলা ৯০ টাকা, মিয়ানমারের ছোলা ১০০ টাকা, চিকন মসুর ডাল ১৪০ টাকা, মোটা মসুর ডাল ১৩০ টাকা, বুটের ডাল ১০০ টাকা, খেসারির ডাল ৮০ টাকা ও এ্যাংকর ডাল ৬০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। ফ্রেশ পামওয়েল বিক্রি হচ্ছে ৭৫ টাকায়। অথচ রমজানের আগে এ তেলের মূল্য ছিল ৫৬ টাকা কেজি। বিভিন্ন ডালের বেসন বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা থেকে ১২০ টাকা পর্যন্ত। টিসিবির পণ্য ডিলাররা না পাওয়ায় বাড়তি দামে পণ্য কিনতে হিমশিম খাচ্ছেন সাধারণ মানুষ।
সৈয়দপুর ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রুহুল আলম মাস্টার বলেন, দফায় দফায় বাড়ানো হয়েছে সরকারি ও বেসরকারি চাকুরীজীবিদের বেতন। দ্বিগুন মূল্যে সকল পণ্যেরই ক্রয় ক্ষমতা রয়েছে তাদের। শুধু সাধারণ মানুষেরই জ্বালার শেষ নেই। সাধারণ মানুষের নুন আনতে পান্তা ফুরালেও একই দরে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য কিনতে হচ্ছে তাদের। এ কারণে হিমশিম খেয়ে পড়েছেন সাধারণ মানুষ।

পুরোনো সংবাদ

নীলফামারী 6576589052027353292

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item