নামেই প্রথম শ্রেণীর পৌরসভা ডিজিটাল দেশে নেই নাগরিক সুবিধা
https://www.obolokon24.com/2016/06/saidpur_80.html
মো. জহুরুল ইসলাম খোকন, সৈয়দপুর (নীলফামারী) প্রতিনিধি
নীলফামারীর সৈয়দপুর নামেই প্রথম শ্রেণীর পৌরসভায় স্বীকৃতি পেয়েছে। উত্তরাঞ্চলের শ্রেষ্ঠ কর প্রদানের স্থানসহ বাণিজ্যিক শহর খ্যাতি অর্জন করলেও নাগরিক সুবিধা নেই বললেই চলে। অথচ বিপুল পরিমাণ পৌর ট্যাক্স আদায় করা হচ্ছে পৌরবাসির কাছ থেকে।
ড্রেনেজ ব্যবস্থা, প্রশস্ত রাস্তাঘাট নির্মাণ, চিত্ত বিনোদনের জন্য পার্ক, পর্যাপ্ত পানি সরবরাহ, বিদ্যুতায়ন সহ নেই কোন পর্যাপ্ত সুযোগ সুবিধা। বিগত ২ যুগ ধরে পর্যাপ্ত বাজেট ঘোষণা করা হলেও নির্মাণ হয়নি পৌরসবার নিজস্ব পৌর ভবন। ঢাকা, দিনাজপুর ও পঞ্চগড় যোগাযোগের শহরে ভিতর দিয়ে রাস্তা হওয়ায় দূরপাল্লার গাড়িসহ মালামাল বহনের ট্রাক পিকআপ দিন রাতে চলাচল করছে ওই রাস্তা দিয়ে। ফলে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে শহরবাসী। নেই মাইক্রোবাস ও ট্রাক টার্মিনাল। ব্যাটারি চালিত অটোরিক্সার লাইসেন্স দেয়ার কথা বলে মোটা অংকের টাকা আদায় করা হলেও তাদের লাইসেন্স না দেয়ায় এবং স্ট্যান্ড না থাকায় ট্রাক, ট্যাংকলড়ি, মাইক্রোবাস ও অটোরিক্সা দ্রুগততিতে চলাচলসহ বিভিন্ন রাস্তায় দাড়িয়ে থাকছে।
এছাড়া ড্রেনেজ ব্যবস্থা একেবারেই নিম্নমানের। শহর থেকে দ্রুত পানি নিষ্কাশনে ছোট বড় ড্রেন থাকলেও পরিস্কার হয়না বছরের পর বছর। অনেক এলাকায় ড্রেন নির্মাণই হয়নি। ময়লা আবর্জনা ফেলার ডাস্টবিন না থাকায় চলাচলের রাস্তায় ফেলা হচ্ছে ময়লা আবর্জনা। ফলে সামান্য বৃষ্টিতে সেগুলি ড্রেনে পচে পানি নিষ্কাশনে বাধার কারণ হচ্ছে। বিশেষ করে শহরের বাঙ্গালীপুর নিজপাড়া, মুন্সিপাড়া, মিস্ত্রীপাড়া, নতুন বাবুপাড়া ও বাঁশবাড়ীর অবস্থা করুন। সামান্য বৃষ্টিতে ওইসব এলাকা প্রায় ২ ফুট তলিয়ে যায়।
সূত্র জানায়, সৈয়দপুর শহরে প্রায় ৪ লাখ বিভিন্ন ভাষাভাষির বসবাস। ঘরবাড়ি নির্মাণে নকশার উপর নজরদারী না থাকায় বেশকটি এলাকায় রাস্তার উপরই নির্মাণ করা হয়েছে ঘরবাড়ি, দোকানপাট বা বহুতল ভবন। এ কারণে ভয়াবহ অগ্নিকান্ডের ঘটনায় ওইসব রাস্তা দিয়ে ফায়ার ব্রিগেড সদস্যরা তাদের পানিবাহী লড়ি ঢুকাতে না পারায় প্রায় প্রতি বছরই ক্ষতি হয়ে থাকে কোটি কোটি টাকার সম্পদ। চিত্তবিনোদনের জন্য কোন পাক নেই। যে দরে কেনা, সেই দরে বিক্রির বাজেট থাকলেও পৌর কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে কোন উন্নয়ন হয়না এ শহরে। শহরবাসীর দুর্দশা দেখে বর্তমান সরকার ওয়ার্ল্ড ব্যাংকের মাধ্যমে শহর উন্নয়নে প্রায় সাড়ে ১০ কোটি টাকা পৌরসভায় বরাদ্দ দিলেও এ বরাদ্দ মোতাবেক কোন উন্নয়নই হয়নি। যেসব রাস্তাঘাট ও নির্মাণ হয়েছে সেগুলি করা হয়েছে একেবারেই নিম্নমানের। যা তদন্ত করলেই তার সত্যতা পাবেন।
অন্য একটি সূত্র অভিযোগ করেন, সৈয়দপুর জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক একাধিকবার উপজেলা চেয়ারম্যান, পৌর চেয়ারম্যান ও পৌর মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি নির্বাচিত হওয়ার আগে প্রতিবারই প্রতিশ্র“তি দিয়েছেন উন্নয়নে উন্নয়নে ভরে দেয়া হবে সৈয়দপুরকে। কিন্তু তিনি প্রতিবারই ভুলে যান প্রতিশ্র“তির কথা। শহরের উন্নয়নের কথা।