রমজান ও ঈদকে পুঁজি করে সৈয়দপুরে ভেজাল পণ্য উৎপাদন হচ্ছে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি

মো. জহুরুল ইসলাম খোকন, সৈয়দপুর (নীলফামারী) প্রতিনিধি

ফুটপাত থেকে অভিজাত সুপার মার্কেটে একদিকে পণ্যে ভেজাল অন্যদিকে মূল্য নিয়ে কারসাজি চলছে ভোগ্য ও খাদ্যপণ্য প্রতিষ্ঠানে। রমজানকে পুঁজি করে ইচ্ছামতো হাকিয়ে নিচ্ছে ব্যবসায়ীরা। ভোক্তাদের স্বার্থে অদ্যবধি ভেজাল বিরোধী অভিযান না চালানোর ফলে বুক ফুলিয়ে ভোক্তাদের নাজেহাল করছে দোকানিরা।
রমজানের আগে, খাদ্যপণ্যে ভেজাল ও মূল্য বৃদ্ধি করলে প্রশাসনের মাধ্যমে কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার কথা। জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সৈয়দপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সমন্বয়ে অভিযানে নামার কথাও শুনা গিয়েছিল। কিন্তু রমজানের রহমতের দিনগুলোতেও কোন অভিযানই লক্ষ্য করা যায়নি।
ভেজাল বিরোধী অভিযান সম্পর্কে জানতে চাইলে সৈয়দপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবু সালেহ মো. মুসা জঙ্গী বলেন, ২/৪ দিনের মধ্যেই কঠোর ভেজাল বিরোধী অভিযানে নামা হবে। এ অভিযানে ভেজাল পণ্য জব্দের পাশাপাশি বড় রকমের জরিমানাও করা হবে। শহর বা গ্রামের কোথায় কোথায় ভেজাল পণ্য উৎপাদন ও বাজারজাত করা হচ্ছে। এনিয়ে গোয়েন্দা সংস্থার মাদ্যমে লিস্টও করা হচ্ছে। এছাড়া ভেজাল পণ্য ও বাশি খাদ্য বিক্রেতাদের বিরুদ্ধেও কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। যদি কেউ বাজেট মূল্যের চেয়ে পণ্যের মূল্য বেশি নেয়ার সত্যতা মেলে তাহলে তারাও এ অভিযানে ছাড় পাবে না।
গতকাল সোমবার শহরের আধুনিক রেলবাজার, সবজি বাজার সহ পাড়া মহল্লায় দেখা গেছে ভেজাল পণ্যের বিক্রি। এছাড়া মূল্য তালিকাও প্রদর্শন করা হয়নি। মেয়াদোত্তীর্ন পণ্য বিক্রয় হচ্ছে প্রকাশ্যে। রমজান ও ঈদ-উল-ফিতরকে পুঁজি করে পাল্লা দিয়ে তৈরী হচ্ছে নিম্নমানের লাচ্ছা সেমাই।স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে কোন প্রকার বৈধ কাগজপত্র দেয়া না হলেও সৈয়দপুর শহরের পাড়া মহল্লায় গড়ে উঠেছে অসংখ্য ভেজাল লাচ্ছা সেমাইয়ের কারখানা। তৈরীকৃত ওইসব লাচ্ছা প্যাকেটজাত করা হচ্ছে দেশের নামিদামি লাচ্ছা কোম্পানির মোড়কে। এ কারণে একদিকে ভোক্তারা ওইসব লাচ্ছা খেয়ে স্বাস্থ্যহানীর সম্মুখিন হচ্ছেন তেমনি বিপুল পরিমাণ রাজস্ব হারাচ্ছেন সরকার।
ভেজাল খাদ্য খেয়ে ক্ষতিগ্রস্থ কজন ভোক্তা বলেন, জোবায়ের হাজি নামের এক ব্যক্তি ওইসব নিম্নমানের লাচ্ছা সেমাই ফ্যাক্টরীর মালিকদের মদদ দিয়ে চলেছেন। ভেজাল বিরোধী অভিযান নামলে তিনি নিম্নমানের লাচ্ছা ফ্যাক্টরীর মালিকদের কাছ থেকে অভিযান বন্ধ করার কথা বলে তাদের মোটা অংকের অর্থ উত্তলন করেন বলে ভোক্তাদের অভিযোগ।
জেলা আওয়ামী যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক মোস্তফা ফিরোজ জানান, আওয়ামী লীগ সরকার জনগণের জানমালের নিরাপত্তায় বদ্ধপরিকর। যেখানে অন্যায়, সেখানেই প্রতিবাদ করতে ঝাঁপিয়ে পড়ে যুবলীগ নেতাকর্মীরা। অন্যায়ের ছাড় দেয়না আওয়ামীলীগ। তিনি বলেন, সৈয়দপুর শহরের উৎপাদিত ভেজাল পণ্য বাশি খাবার পরিবেশনকারীসহ ভেজাল লাচ্ছা উৎপাদন ও বাজারজাতকারীদের বিরুদ্ধে এখনই কঠোর অভিযান পরিচালনা করা হলে সৈয়দপুর ভেজাল মুক্ত শহরে পরিণত হবে। পাশাপাশি স্বাস্থ্যহানি থেকে রক্ষা পাবে শহরবাসী।

পুরোনো সংবাদ

নীলফামারী 125834159168238054

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item