সৈয়দপুর বিমানবন্দর নিরাপত্তা ঝুঁকির মুখে

মো. জহুরুল ইসলাম খোকন, সৈয়দপুর (নীলফামারী) প্রতিনিধি

দেশের সকল বিমানবন্দরে বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। সেই হিসাবে দেশের উত্তরের নীলফামারীর সৈয়দপুর বিমানবন্দরেও কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। এরমধ্যে রয়েছে ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা (সিসি ক্যামেরা), যাত্রী তল্লাশীর জন্য মেটাল ডিটেক্টর, স্ক্যানার, পুলিশ, আনসার, এভিয়েশন কর্মী ও নিরাপত্তা টহল। কর্তৃপক্ষের দাবি, নিশ্চিদ্র নিরাপত্তার চাদরে ঢাকা রয়েছে সৈয়দপুর বিমানবন্দর।
অনুসন্ধানে দেখা গেছে কর্তৃপক্ষের গৃহিত ব্যবস্থা ‘বজ্র আঁটুনি ফঁসকা গেঁড়ো’র মতো। স্থানীয় সূত্রগুলো জানায়, টার্মিনাল ভবনের সামনে কর্তৃপক্ষের কঠোর নজরদারী থাকলেও বিমানবন্দরের অভ্যন্তরে নিরাপত্তা বিধানে ভ্রুক্ষেপ নেই কর্তৃপক্ষের। নিচু সীমানা প্রাচীর, একাধিক ফাঁক, প্রাচীরের নিচে সুড়ঙ্গপথ বিমানবন্দরের নিরাপত্তা বাঁধাগ্রস্ত করছে বলে দাবি সূত্রগুলোর।
গতকাল সরেজমিনে গেলে বিমানবন্দরের সীমানা প্রাচীরের পশ্চিম অংশে নিরাপত্তা বিঘিœত হতে পারে এমন অসংখ্য ফাঁক ও সুড়ঙ্গপথ লক্ষ্য করা গেছে। ওইসব সুড়ঙ্গপথ ব্যবহার করে কুকুর, গরু-ছাগল ও বহিরাগত লোকজন অনায়াসে রানওয়েতে ঢুকে পড়ছে। তথ্য সংগ্রহকালে লক্ষ্য করা গেছে, একজন মহিলা সুড়ঙ্গপথ দিয়ে রানওয়ে থেকে বের হচ্ছেন। নিজের নাম পরিচয় গোপন রেখে ওই নারী রানওয়েতে ঢুকে পরার কথা স্বীকার করেন। প্রাচীরের নিচের সুড়ঙ্গপথ দেখিয়ে তিনি বলেন, এলাকার অনেকে ওই পথ দিয়ে রানওয়েতে ঢুকেন। গরু-ছাগলও চড়ান তারা। তবে সিকিউরিটি গার্ডকে তারা এড়িয়ে চলেন বলে জানান ওই নারী।
পশ্চিমদিকের সীমানা প্রাচীরটি তুলনামূলক নিচু হওয়ায় রানওয়েসহ ‘বে’ (বিমান দাঁড়ানোর নির্ধারিত স্থান) পর্যন্ত স্পষ্ট দেখা যায়। বিমান ওঠা-নামার সময় প্রাচীরের ওপর দর্শনার্থীকে বসে থাকতেও দেখা গেছে। সীমানা প্রাচীর লাগোয়া প্রত্যক বাড়িতে বাঁশের সিঁড়ি (মই) রয়েছে। যা বেয়ে তারা রানওয়েতে প্রবেশ করেন বলে অভিযোগ করেছেন এলাকাবাসী। টার্মিনাল ভবনের উত্তর গেট দিয়ে রানওয়েতে ঢুকে পড়েন বিমানবন্দর এলাকার বাসিন্দারা। নিরাপত্তা ব্যবস্থা তাই প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে।
বিমানবন্দরের একটি সূত্র মতে, রানওয়েতে অবাঞ্ছিত জনসমাগম কিংবা গরু-ছাগল বিচরণ করলে বিমানের উড্ডয়ন, অবতরণ ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠে। এতে করে যেকোন সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশংকা রয়েছে। কাজেই নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও জোরদার হওয়া জরুরি বলে মন্তব্য তাদের।
নিরাপত্তা নিয়ে কথা হয় সৈয়দপুর বিমানবন্দর ব্যবস্থাপক শাহিন আহম্মেদের সাথে। তিনি বলেন, ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা, স্ক্যানিং, পরিচয়পত্র ও গাড়ি টহলের মাধ্যমে বিমানবন্দরের নিরাপত্তা বজায় রাখা হয়। তবে তিনি পিছনের সীমানা প্রাচীর নিচের সুড়ঙ্গপথের কথা অস্বীকার করেন। তিনি দাবি করেন, বহিরাগত কোন লোকজন বিমানবন্দরে প্রবেশ করেন না।

পুরোনো সংবাদ

নীলফামারী 6639059780868573003

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item