মাদকে ভাসছে পালিচড়া ঃ ফেন্সিডিল ইয়াবা মদ গাজাঁর ভয়াল থাবায় দিশেহারা যুবসমাজ

হাজী মারুফ :

পালিচড়ায় মাদকের সর্বনাশা থাবায় যুব সমাজের মেরুদন্ড আজ ভেঙ্গে যেতে বসেছে। তাই উদ্বিগ্ন হয়ে পড়া অভিবাবক মহল তাদের উঠতি বয়সের সন্তানদের নিয়ে গভীর উৎকন্ঠায় দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। লোকাল প্রশাসনের ছত্রছায়ায় গ্রামাঞ্চলের ভিতর ও হাট বাজারে সন্ধ্যার পর মাদক ব্যবসায়ী, মাদক সেবকদের পদচারনায় সুধি সমাজ বিব্রত ও হতবিহব্বল হয়ে পড়েছেন। সেখানে মাদক ব্যবসায়ীদের গড়া শক্তিশালী সিন্ডিকেটের সদস্যরা বেপোরয়া চলাফেরা করে হুমকী-ধামকীসহ চাদাঁবাজি, ভাড়াটিয়া হিসাবে জমি দখল, অপহরন করে মুক্তিপন আদায় ও বিভিন্ন সমাজ বিরোধী অনৈতিক কর্মকান্ডের সাথে জড়িয়ে পড়েছেন।
অভিযোগ উঠেছে, রংপুর সদর উপজেলার ৪ নং সদ্যপুস্করিনী ইউনিয়নের পালিচড়াহাট এলাকায় দিননকে দিন সর্বনাশা মাদকের ছোবলে বিপদগামী লোকজনের সংখ্যা বাড়ছে তো বাড়ছেই। বিশেষ করে অত্র এলাকার পালিচড়াহাটসহ কাটাঁবাড়ি মিল বাজার,  অযোদ্ধাপুর বাবুরহাট, নয়াপুকুর কলেজ বাজার, ধাপেরহাট, ভুরারঘাট বাজারসহ বিভিন্ন হাট-বাজারের অলিতে-গলিতে মাদক কেনা-বেচা, সেবন এখন ওপেন সিক্রেট । পাশাপাশি মাদকের আইডল ইয়াবা, ফেন্সিডিলখ্যাত ভেলু বালার হাট, বড়ভিটা,  ভেলু গড়, রামজীবন সদর ঘাট এলাকায় হাত বাড়ালেই পাওয়া যাচ্ছে চোলাই মদ, গাজাঁ, ফেন্সিডিল ও ইয়াবা ট্যাবলেট । আর এসব মাদক ব্যবসা নিয়ন্ত্রন করছেন প্রভাবশালী পরিবারের বেশ ক’জন রোকজন ।
জানাগেছে, সহজলভ্য এসব মাদকদ্রব্য গুলো আন্তঃ জেলা মাদক সিন্ডিকেটের মাধ্যমে অনায়াসেই পালিচড়া এলাকায় নিয়ে আসছেন সিআইডি পরিচয়দানকারী রংপুর নগরীর ধাপ চেকপোষ্ট এলাকায় বসবাসকারী সিআইডি আলম’র সহযোগীতায়  সদ্যপুস্করিনী মালি পাড়া গ্রামের মৃত বিকাশ চন্দ্রের ছেলে মাদক স¤্রাট ইন্দ্রজিৎ ওরফে ডাইল ইন্দ্রজিৎ, একই গ্রামের ওমেদ আলীর ছেলে ইয়াবা মনোয়ারুর ইসলাম, পালিচড়া দোলাপাড়া গ্রামের মন্তাজ আলীর ছেলে বাবা জাহাঙ্গীর ওরফে কালা জাহাঙ্গীর, একই গ্রামের মৃত আজিজার রহমানের ছেলে মিজানুর রহমান দুলার ওরফে আলু দুলাল, ভেলু বালার হাট এলাকার কাষ্টম ওরফে ডাইল কাষ্টম, তার মেয়ে ডাইল সিমু, জামাই ডাইল সুজন । এদের হাত থেকে তা ছড়িয়ে পড়ছে সর্বত্র। ফলে খুব সহজেই, হাত বাড়ালেই মিলছে সবধরনের মাদক। আর এ মাদকেই বুদ হয়ে পড়েছেন স্কুল-কলেজ পড়–য়া শিক্ষার্থীসহ যুব সমাজের একটা বিরাট অংশ। তাই এ যুব সমাজকে নিয়ে চিন্তা বাড়ছে শিক্ষানুরাগী ব্যক্তিরাসহ সচেতন অভিভাবক মহলেরও। দিন যতই বাড়ছে তার সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে মাদকের প্রসারতা ও ভয়াবহতা।
অভিযোগ রয়েছে, মাদক স¤্রাট ইন্দ্রজিৎ ও তার সহযোগী সদস্যরা মাদক ব্যবসার পাশাপাশি প্রশাসনের কতিপয় নামধারী অসাধু সদস্যের সাথে সখ্যতা গড়ে তোলে বিভিন্ন ব্যবসায়ী লোকজনকে অপহরন করে মুক্তিপন আদায়, চাদাাঁ দাবী, ভাড়াটিয়া হয়ে জমি দখল, ব্লাক মেইল ও বিচার শালিশের মাধ্যমে অর্ধ আদায় এখন তাদের নিত্য নৈমিত্তিক ঘটনা হয়ে দাড়িঁয়েছে। যার উপর নজর পড়ছে, তারসাথে কৌশলে সু-সম্পর্ক গড়ে তোলে পাতানো ফাদেঁ ফেলে ব্লাকমেইল করাই এখন তাদের মূল পেশা । অনুসন্ধানে প্রশাসনের গুটিকয়েক সদস্যদের মধ্যে অন্যতম সহযোগী সিআইডি আলম এর প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ সহযোগীতায় ক্রোস ফায়ার করে হত্যা ও রংপুরের চাঞ্চল্যকর জাপানিজ হত্যা মামলায় জড়ানোর ভয় দেখিয়ে অর্থ হাতিয়ে নেয়ার একাধিক সত্যতাও পাওয়া গেছে।
একটি গোয়েন্দা সুত্র মতে জানা যায়, রংপুর নগরীর ধাপ চেকপোষ্ট এলাকায় বসবাসকারী সিআইডি আলম’র সহযোগীতায়  সদ্যপুস্করিনী মালি পাড়া গ্রামের মৃত বিকাশ চন্দ্রের ছেলে মাদক স¤্রাট ইন্দ্রজিৎ ওরফে ডাইল ইন্দ্রজিৎ, একই গ্রামের ওমেদ আলীর ছেলে ইয়াবা মনোয়ারুর ইসলাম, পালিচড়া দোলাপাড়া গ্রামের মন্তাজ আলীর ছেলে বাবা জাহাঙ্গীর ওরফে কালা জাহাঙ্গীর, একই গ্রামের মৃত আজিজার রহমানের ছেলে মিজানুর রহমান দুলার ওরফে আলু দুলাল সম্প্রতি পালিচড়া হাট ইজারার ও দর্শনা সুত্রাপুর এলাকার বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মিজানুর রহমান মিজুকে কৌশলে অপহরন করে নিয়ে এসে লালবাগ কলেজ পাড়ায় ইন্দ্রজিৎ’র মালিকানাধীন ছাত্রাবাসের একটি রুমে আটকিয়ে ২ লাখ টাকা মুক্তিপন দাবী করে তার উপর চালানো হয় অমানুষিক নির্যাতন । এ ছাড়াও এই মাদক সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে রংপুরের চাঞ্চল্যকর জাপানিজ হত্যা মামলায় জড়ানোর ভয় দেখিয়ে পালিচড়া এলাকার সাইফুল নামে এক ব্যবসায়ীর কাছ থেকে ৫০ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয়ার একাধিক সত্যতাও গোয়েন্দা সংস্থার হাতে রয়েছে বলে জানা যায়।
অপহরন ও মুক্তিপন আদায়ের ব্যাপারে হাট ও বাজার ইজারার ব্যবসায়ী মিজানুর রহমান মিজু তাকে অপহরন ও ক্রোস ফায়ারের ভয় দেখিয়ে ৪০ হাজার টাকা মুক্তিপন নেয়ার ঘটনার সত্যতা স্বিকার করে আমাদের এ প্রতিবেদককে জানান, কিছুদিন পূর্বে মাদক স¤্রাট ইন্দ্রজিৎ ,মনোয়ারুল, আলু দুলাল ও জাহাঙ্গীর আলম নামে এক সিআইডি সদস্যকে পরিচয় করিয়ে দেন। মাঝে মধ্যেই তারা দলবল নিয়ে আমার এক বন্ধুর ইটভাটায় যাওয়া আসা করত । সম্প্রতি আমাকে পালিচড়া হাট থেকে কৌশলে তুলে নিয়ে আসে আটকে রেখে ২ লাখ টাকা মুক্তিপন দাবী করেন। এসময় সিআইডি আলম ও তার সহযোগীরা তাকে শারিরিক ও মানুষিক ভাবে মধ্যযুগীয় কায়দায় বর্বর নির্যাতন করেন। এক পর্যায় পকেট থেকে পিস্তল বের করে মাথায় ঠেকিয়ে ক্রোস ফায়ারের ভয় দেখায় । পরে তাদের এক সহযোগীর মাধ্যমে পালিচড়া হাটে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান  থেকে  ৪০ হাজার টাকা নিয়ে আসা হলে পরে তাকে ছেড়ে দেন।

পুরোনো সংবাদ

রংপুর 5652100114604811338

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item