সরকারি রেটে কৃষকের ধান ক্রয় এবং সারা বছর কাজের দাবিতে রংপুর খাদ্য ভবন ঘেরাও, বিক্ষোভ ও স্মারকলিপি পেশ

জাকির :

সরকার নির্ধারিত রেটে সরাসরি কৃষকের কাছ থেকে ধান ক্রয় কর, গ্রামীণ রেশনিং চালু ও কৃষক ক্ষেতমজুর বাঁচাতে বাজেটে পর্যাপ্ত বরাদ্দ দাও।’- এই ¯ে¬াগানকে সামনে রেখে ৭ দফা সুনির্দিষ্ট দাবিতে বাংলাদেশ কৃষক সমিতি, বাংলাদেশ ক্ষেতমজুর সমিতি, সমাজতান্ত্রিক ক্ষেতমজুর ও কৃষক ফ্রন্ট গতকাল বুধবার শহরে এক বিক্ষোভ মিছিল এবং জেলা খাদ্য কর্মকর্তার কার্যালয়ে অবস্থান কর্মসূচী পালন করেছে।
প্রবীণ কৃষক নেতা চন্দন ঘোষের সভাপতিত্বে এসময় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ কৃষক সমিতির সাধারন সম্পাদক আব্দুল জলিল, সমাজতাস্ত্রিক ক্ষেতমজুর ও কৃষকফ্রন্টের রংপুর  জেলার আহবায়ক মমিনুল ইসলম, কমিউনিস্ট পার্টির রংপুর জেলার সভাপতি  বীর মুক্তিযোদ্ধা শাহাদাত হোসেন, বাসদ -এর রংপুর জেলার আহ্বায়ক আব্দুল কুদ্দুস, বাংলাদেশ ক্ষেতমজুর সমিতির রংপুর জেলার সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম, সমাজতাস্ত্রিক ক্ষেতমজুর ও কৃষক ফ্রন্টের রংপুর জেলার সদস্য সচিব অমল সরকার, কমিউনিস্ট পার্টির রংপুর জেলার সাধারণ সম্পাদক শাহীন রহমান সহ আরও অনেকে।
বক্তারা বলেন, বাংলাদেশ কৃষি প্রধান দেশ। জাতীয় আয়ে কৃষির অবদান ১৬%। গ্রামের ৮৭ শতাংশ মানুষের জীবন-জীবিকা কৃষির এখনও উপর নির্ভরশীল। কিন্তু কৃষি ও কৃষির সাথে সম্পর্কিত কৃষক-ক্ষেতমজুর সহ জনগণ বারেবারেই অবহেলার শিকার। কৃষক কিনতে এবং বেচতে দুইবারেই ঠকে। একদিকে কৃষি উপকরণের দাম বেশি,  আর এক দিকে উৎপাদিত ফসলের দাম কম। এতে করে গরীব ও মাঝারী কৃষক ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। অন্যদিকে মধ্যস্বত্তভোগী  ফড়িয়া ব্যবসায়ী - আড়তদারেরা আঙুল ফুলে কলাগাছ হচ্ছে।  এবছরেও চলতি বোরো মৌসুমে ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। খাদ্য মন্ত্রী গতকালও বলেছেন যে, ধানের  সরকার নির্ধারিত দাম  মণ প্রতি  ৯২০টাকা । কিস্তু আসল চিত্র হলো এই- বর্তমানে বাজারে ধান ৪৫০ টাকা থেকে ৫০০ টাকা মণ দরে বিক্রি হচ্ছে। সরকারি হিসাবেই উৎপাদন খরচ পড়েছে ৭০০ থেকে ৭৫০ টাকা। এতে কৃষকের লোকসান হচ্ছে মণ প্রতি ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা। এ অবস্থার হাত থেকে কৃষি-কৃষক বাঁচাতে,  কৃষক- ক্ষেতমজুর সংগঠনসমূহ দীর্ঘদিন ধরে দাবি জানিয়ে আসছে- প্রতি ইউনিয়নে সরকারি ক্রয় কেন্দ্র খুলে সরাসরি কৃষকের কাছ থেকে সরকার নির্ধারিত দামে ধান ক্রয় করার। কিন্তু তা আজো বাস্তবায়িত হয়নি। এ সময় বক্তারা একথাও বলেন যে, ক্ষেতমজুর ভূমিহীনদের সারা বছরের কাজ ও খাদ্যের নিরাপত্তা দিতে ১২০ দিনের কর্মসৃজন প্রকল্প চালু , ৫০০ টাকা দৈনিক মজুরি নির্ধারণ  এবং স্বল্প দামে গ্রামীণ রেশনিং চালুর যে দাবি আমরা দীর্ঘদিন ধরে করে আসছি, সেটিও  আজও বাস্তবায়িত হয়নি। এসময় নেতৃবৃন্দ তাদের দাবি মেনে নেয়ার জন্য সরকারের প্রতি আহবান জানান। অবস্থান কর্মসূচী শেষে উপস্থিত কৃষক ও ক্ষেতমজুর নেতৃবৃন্দ জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের মাধ্যেমে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেন।

পুরোনো সংবাদ

সমাজ-সংগঠন 7692364105479709379

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item