মানুষের মনে পরিবর্তন প্রয়োজন॥ নীলফামারীতে শুদ্ধাচার কর্মশালায় মন্ত্রী পরিষদ সচিব

ইনজামাম-উল-হক নির্ণয়, নীলফামারী ১৭ জুন॥
মন্ত্রী পরিষদ বিভাগের সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম বলেছেন “রূপকল্প ২০২১ অনুযায়ী আগামী এক দশকে ক্ষুধা, বেকারত্ব ও দারির্দ্যমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ে বর্তমান প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার আন্তরিকভাবে কাজ করে যাচ্ছে। এ লক্ষ্য বাস্তবায়ন করতে হলে আমাদের সমাজ ও দেশ থেকে অনিয়ম, দুর্নীতি ও অপরাধ কর্মকান্ড রোধে প্রত্যেককে শুদ্ধাচারী হতে হবে। এ জন্য  জনগণের মাঝে ইতিবাচক মানসিকতা গড়ে  তুলতে হবে। আর মানুষের মনের পরিবর্তন হলে সবকিছু শুদ্ধ হয়ে যাবে। আজ শুক্রবার দুপুর আড়াইটায় নীলফামারী জেলা প্রশাসনের সম্মেলন কক্ষে মন্ত্রী পরিষদ বিভাগ ও জেলা প্রশাসন আয়োজিত জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল সংক্রান্ত কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্য তিনি এসব কথা বলেন।
নীলফামারী জেলা প্রশাসক জাকীর হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রি পরিষদ সচিব (সমন্বয় ও সংস্কার) এন এম জিয়াউল আলম, সমবায় অধিদপ্তরের নিবন্ধক ও মহাপরিচালক মফিজুল ইসলাম, রংপুর বিভাগীয় কমিশনার কাজী হাসান আহমেদ।
অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন , পুলিশ সুপার জাকির হোসেন খান, পৌর মেয়র দেওয়ান কামাল আহমেদ, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক(সার্বিক) এ,জে,এম এরশাদ আহসান হাবিব, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক(রাজস্ব ও আইসিটি) মুজিবুর রহমান, সিভিল সার্জন ডাঃ আব্দুর রশিদ,জেলার ছয় উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও নির্বাহী কর্মকর্তাগন এবং জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা ,সহকারী কমিশনার (ভূমি), নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, সাংবাদিক ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিবৃন্দ।
প্রশাসনে শুদ্ধাচার চর্চার ওপর গুরুত্ব আরোপ করে প্রধান অতিথি বলেন  আমাদের সমাজ ও দেশ থেকে অনিয়ম, দুর্নীতি ও অপরাধ কর্মকান্ড রোধে প্রত্যেককে শুদ্ধাচারী হতে হবে। দুর্নীতির বিরুদ্ধে সরকারের পরিকল্পনার কথা তুলে ধরতে গিয়ে মোহাম্মদ শফিউল আলম বলেন, জনগণের কাছে সেবা পৌঁছে দেওয়ার পদ্ধতি আরো সহজ করে মাঠপর্যায়ে প্রশাসনকে ঢেলে সাজানো হচ্ছে। সরকারি সেবা নিতে গিয়ে জনগণ যাতে হয়রানির শিকার না হয় সেদিকে খেয়াল রেখে সরকারের প্রত্যেক কর্মকর্তা-কর্মচারীকে আতœশুদ্ধি অর্জন করে স্বচ্ছতা, দক্ষতা ও জবাবদিহিতার সাথে অর্পিত দায়িত্ব পালন করতে হবে। আগামীতে স্কুল-কলেজের পাঠ্যসূচিতে দুর্নীতিবিরোধী লেখা সংযুক্ত করার পাশাপাশি সকলকে নিয়ে দুর্নীতির বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে সরকারের পরিকল্পনা রয়েছে। প্রধান অতিথি বলেন, নাগরিক সেবায় গত দুই বছরে উদ্ভাবনী সংস্কৃতির একটি শক্তিশালী ধারা গড়ে উঠেছে। সারাদেশের বিভাগীয় কমিশনার ও জেলা প্রশাসকগণ সরকারের এ ধরনের কর্মকান্ডে সহায়তা করেছে। পাশাপাশি মন্ত্রণালয় থেকেও আমরা সহায়তা করে যাচ্ছি। এই উদ্ভাবনী সংস্কৃতিকে আরো শক্তিশালী করতে হলে সরকারের বিভিন্নস্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সততা ও শুদ্ধাচারের কোনো বিকল্প নেই। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বরাত দিয়ে সচিব বলেন, প্রশাসনের কর্তাব্যক্তিদের চরিত্রের পরিবর্তন না হলে এই অভাগা দেশের ভাগ্য ফেরানো যাবে না।
স্বজনপ্রীতি ও দুর্নীতির উর্ধ্বে থেকে আমাদের সকলকে আতœসমালোচনা, আতœসংযম ও আতœশুদ্ধির চর্চা করতে হবে। তিনি জানান, জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশলের আওতাধীন রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলো হচ্ছে- নির্বাহী বিভাগ ও জনপ্রশাসন, জাতীয় স¤পদ, বিচার বিভাগ, নির্বাচন কমিশন, অ্যাটর্নি জেনারেলের কার্যালয়, সরকারি কর্মকমিশন, মহা হিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রকের কার্যালয়, ন্যায়পাল, দুর্নীতি দমন কমিশন ও স্থানীয় সরকার। আর অরাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান হচ্ছে- রাজনৈতিক দল, বেসরকারি খাতের শিল্প ও বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান, এনজিও সুশীল সমাজ, পরিবার, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও গণমাধ্যম।
মন্ত্রী পরিষদ সচিব জানান,জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশলের মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদী সুপারিশগুলো হচ্ছে- সিভিল সার্ভিস আইন প্রণয়ন, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য কর্মজীবন উন্নয়ন পরিকল্পনা প্রণয়ন, কর্মকর্তা-কর্মচারী কর্মকালীন প্রশিক্ষণ ও প্রশিক্ষক প্রতিষ্ঠানগুলোর সক্ষমতা বৃদ্ধি, জীবনযাত্রার ব্যয়ের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ বেতন কাঠামো নির্ধারণ এবং ই-গভর্নেন্স প্রবর্তন ও প্রসার। এসব সুপারিশ বাস্তবায়ন হলে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে শুদ্ধাচার প্রতিষ্ঠিত হবে।
কর্মশালায় জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয় মাল্টিমিডিয়ার মাধ্যমে তুলে ধরা হয়। এরমধ্যে জাতীয় শুদ্ধচার কৌশল ও সুশাসন সংক্রান্ত ও জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল ও সোশ্যাল মিডিয়া উপস্থাপন।

পুরোনো সংবাদ

নীলফামারী 7840003312472073380

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item