জলঢাকায় ভ্যানচালকের গলা কাটলো দূর্বৃত্তত্বরা

বিশেষ প্রতিনিধি ৯ জুন॥

নীলফামারীর জলঢাকায় দুর্বৃত্তত্বরা গলা কাটলো সাদেক হোসেন(৫০) নামের এক ব্যাটারী চালিত ভ্যান চালকের। বুধবার রাতে এই ঘটনায় আহত সাদেক হোসেনকে প্রথমে জলঢাকা উপজেলা হাসপাতালে ও আজ বৃহস্পতিবার রাত ১২টায় আশংঙ্কাজনক অবস্থায় রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। ভ্যান চালক সাদেক জলঢাকা পৌর এলাকার ডাকুরডাঙ্গা মহল্লার মৃত ইসলাম উদ্দিনের ছেলে।

এ ঘটনার মতোই গত ৩ জুন রাতে নীলফামারী সদরের পলাশবাড়িতে সুধীর চন্দ্র রায়(৩২) নামের এক ব্যাটারী চালিত ভ্যানচালকে গলা কেটে হত্যা করেছিল দূর্বৃত্তত্বরা।

এলাকাবাসী ও পুলিশ সুত্র মতে বুধবার (৮ জুন) রাত ৮টার দিকে জলঢাকা ট্রাফিকমোড়ে অজ্ঞাত চার ব্যাক্তি ওই ব্যাটারী চালিত ভ্যানচালককে জলঢাকার কাঠালী ইউনিয়নের দেশীবাই পাঠানপাড়া যাওয়ার জন্য দুইশত টাকায় ভাড়া করে। ভ্যানচালক ওই চার অজ্ঞাত নামা যাত্রীকে তিস্তা সেচ ক্যানেলের পরিদর্শন সড়ক দিয়ে গন্তব্যে নিয়ে যাচ্ছিল।  পথে কাঠালী ইউনিয়নের দেশীবাই গ্রামের পৌছার আগে রাত সোয়া ৯টার দিকে বসুনিয়া পাড়া নামকস্থানে অজ্ঞান যাত্রী ওই চার ব্যাক্তি ভ্যান থামাতে বলে। এরপর তারা ভ্যান চালককে নামিয়ে দিয়ে বলে তুমি অপেক্ষা করো, আমরা ঘুরে এসে তোমার ভ্যান ফেরত দিবো। এই বলে অজ্ঞাত  ব্যাক্তিরা ভ্যানটি নিয়ে চলে যেতে থাকে। কিন্তু ভ্যান চালক চিৎকার করে দৌড়ে দিয়ে  ভ্যানটি টেনে ধরে।  এ অবস্থায় অজ্ঞাত ব্যাক্তিরা তাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে বাম পার্শ্বের হাতে কোপ মারে এবং গলা কেটে দিয়ে ভ্যানটি নিয়ে পালিয়ে যায়। এ সময় ভ্যান চালকের আতœ চিৎকারে এলাকাবাসী ছুটে এসে তাকে উদ্ধার করে।

ওই এলাকার মানিক মিয়া নামের এক ব্যাক্তি জানান গলা ও বাম হাত কাটা অবস্থায় মোটরসাইকেলে করে ভ্যানচালককে রাত ১০টা ২০ মিনিটে জলঢাকা হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়।

জলঢাকা হাসপাতালের জরুরী বিভাগের ডাঃ সামছুল হক জানান ভ্যানচালকের গলায় এখানে সেলাই করা সম্ভব হয়নি। তার বাম হাতে বেশ কিছু স্থানে সেলাই করা হয়। তার অবস্থা আশংঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে।

জলঢাকা থানার ওসি দিলওয়ার হাসান ইনাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান খবর পেয়ে তাৎক্ষনিকভাবে ঘটনাস্থলে ছুটে যায় পুলিশ। বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালালেও ভ্যান সহ ওই অজ্ঞাত চার ব্যাক্তির সন্ধ্যান পাওয়া যায়নি। তিনি বলেন বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে। 

উল্লেখ যে গত ৩ জুন রাত সাড়ে আটটার দিকে নীলফামারীর পলাশবাড়ি বাজার থেকে অজ্ঞাত চার ব্যাক্তি খেতারডাঙ্গা যওয়ার জন্য ব্যাটারীচালিত ভ্যান ভাড়া করে। ভ্যান চালক সুধীর (৩২) তাদের গন্তব্যে নিয়ে যাওয়ার পথে ওই অজ্ঞাত ব্যাক্তিরা মালিরকুড়া ব্রীজ নামক স্থানে সুধীরের  গলা কেটে ফেলে পালিয়ে যায়। এলাকাবাসী তাকে উদ্ধার করে প্রথমে নীলফামারী সদর আধুনিকহাসপাতালে ও পরে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করে। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সেদিন রাত ১২টায় তার মৃত্যু হয়। সুধীর উক্ত পলাশবাড়ি ইউনিয়নের জ্ঞানদাস কানাইকাটা গ্রামের ধৌলু রায়ের ছেলে।