হত্যা মিশনের এক জঙ্গী সদস্যকে গ্রেফতার করেছে নীলফামারী গোয়েন্দা পুলিশ

ইনজামাম-উল-হক নির্ণয়, নীলফামারী ৭ জুন॥
নিষিদ্ধ ঘোষিত জেএমবির হত্যা মিশনের এক জঙ্গী সদস্য কে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছে নীলফামারীর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। সোমবার রাতে অভিযান চালিয়ে জাহেরুল ইসলাম ওরফে জাহেদকে (৩৫) দিনাজপুরের কাহারোল উপজেলার দ্বীপ নগর গ্রাম থেকে গ্রেফতার করা হয়। সে ওই এলাকার রিয়াজ উদ্দিনের ছেলে।
 মঙ্গলবার দুপুরে গ্রেফতারকৃত জঙ্গী সদস্যকে নীলফামারীর সিনিয়র জুডিশিযাল ম্যাজিষ্ট্রেট আকরাম হোসেনের আদালতে হাজির করা হয়। সে নীলফামারীতে বেশ কয়েকজন পুলিশ সদস্যকে হত্যার পরিকল্পনা এবং আগ্নেঅস্ত্র মজুদ করার বিষয়ে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তি মুলক জবানবন্দি প্রদান করে। এরপর তাকে জেলা কারাগারে পাঠানো হয় বলে জানান নীলফামারী ডিবি ওসি বাবুল আকতার। সুত্র মতে  এ নিয়ে নীলফমারী গোয়েন্দা পুলিশ ১২ জন জেএমবি সদস্য কে গ্রেফতার করলো।
 পুলিশের  গোয়েন্দা সুত্র জানায় নীলফামারী গোয়েন্দা পুলিশ হঠাৎ করে এ জেলায় জঙ্গীদের গোপন আস্তানা ও কার্যক্রম পরিচালনার সন্ধ্যায় পায়। সন্ধ্যানের সুত্র ধরে গত ৩০ এপ্রিল থেকে ৩১ মে রাত পর্যন্ত নীলফামারীর ডোমার,ডিমলা,জলঢাকা,দিনাজপুরের চিরিবন্দর ও খানসামায় অভিযান চালিয়ে  নিষিদ্ধ ঘোষিত ১১জন জেএমবি সদস্যকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে দুটি পিস্তল, ছয়টি হাতবোমা, একটি চাপাতি ও চারটি চাকু উদ্ধার করে। এই ১১ জন জঙ্গী সদস্য আদালতে ১৬৪ ধারায় বিভিন্ন হত্যাকান্ড বিকাশের ২২ লাখ টাকা ছিনতাইয়ের ঘটনার স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী প্রদান করে।
আদালতে জঙ্গীদের স্বীকারোক্তিতে জানা যায় অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টির লক্ষ্যে  জেএমবি সদস্যরা গোপনে সংঘবদ্ধ হয়ে নীলফামারীতে পুলিশ, বিচারক, পীর, খাদেমসহ ভিন্ন ধর্মাবলম্বীদের হত্যার পরিকল্পনা নিয়েছে। এ ছাড়া তারা ২০১৫ সালের ৯ আগষ্ট  জলঢাকার গোলমুন্ডা উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক মাধব চন্দ্র রায়কে গুলি করে হত্যা, ২০১৩ সালের ২৩ জুন সকাল সাড়ে ১০টায় নীলফামারীর সৈয়দপুর শহরে  বিকাশ এজেন্টের কর্মী সোহেলকে (৩০) গুলি করে হত্যার পর ২২ লাখ টাকা ছিনতাই করেছিল।
পুলিশ জানায় নীলফামারীতে পুলিশ সদস্য হত্যা পরিকল্পনায় কাহারোলের এই জঙ্গী সদস্য জাহেরুল ইসলাম নীলফামারী শহরে সবুজপাড়ায় অপর জঙ্গী সদস্য আব্বাস আলীর(৬৫) ভাড়া বাড়িতে আগ্নেঅস্ত্র মজুদ করেছিল। আব্বাস দিনাজপুরের খানসামা উপজেলার পূর্ববাঁশলীপাড়ার  মৃত ওসমান আলীর ছেলে। ওই গোপন সংবাদে গত ৪ মে রাতে পুলিশ আব্বাস আলীর ভাড়া বাড়ীতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করে। পরের দিন গ্রেফতারকৃত আব্বাস উদ্দিন কে নীলফামারীর সিনিয়র জুডিশিযাল ম্যাজিষ্ট্রেট আয়শা সিদ্দিকার আদালতে  ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তি মুলক জবানবন্দিতে পুলিশ সদস্য হত্যা পরিকল্পনা স্বীকার করে দিনাজপুরের কাহারোলের জাহেরুল ইসলামের জড়িত থাকার কথা প্রদান করেছিল।
নীলফামারী গোয়েন্দা পুলিশ জাহেরুল কে গ্রেফতারে একাধিকবার অভিযান চালিয়ে পায়নি। গোপনে সে বাড়ি এলে সোমবার রাতে তাকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।

পুরোনো সংবাদ

নীলফামারী 6308550307157656048

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item